ভিয়েনা ১১:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঝালকাঠিতে জমে উঠেছে ঈদ মার্কেট

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৯:৫৬:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ মার্চ ২০২৪
  • ৯ সময় দেখুন

ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠিতে জমে উঠেছে ঈদ বাজার। পোশাকের দোকানগুলোতে রমজানের মাঝামাঝি সময়ে রমরমা বেচাকেনা। কিন্তু দাম নিয়ে অসন্তোষ ক্রেতাদের। তবে গুণগত মানের কারণে দাম বেশি পড়ছে বলে দাবি করেছেন বিক্রেতারা।

জানা যায়, রুচিশীল পোশাক-পরিচ্ছদে প্রাচীন বন্দর ঝালকাঠির মানুষ বরাবরই ঢাকার সাথে পাল্লা দিয়ে চলে। তাই ঈদ আয়োজনের কমতি নেই এ জেলায়। রমজানের মাঝামাঝি সময়ে ঈদ বাজারে ক্রেতাদের ঢল নেমেছে। পছন্দের পোশাকের মধ্যে মেয়েদের বিশেষ আকর্ষণ নাহেরা ও বাবা ড্রেস। পাশাপাশি সিল্ক ও সুতির থ্রিপিসসহ রঙ বেরঙের শাড়ির চাহিদাও রয়েছে। ছেলেদের পাঞ্জাবি, টিশার্ট, জিন্স প্যান্ট, পাজামাসহ আকর্ষণীয় পোশাকও রয়েছে শপিং মলে। জামা কাপড়েরর সঙ্গে বেড়েছে জুতার বেচাকেনা। তবে এবছর দাম যেন আকাশ ছোঁয়া। পছন্দের পোশাকের দাম নাগালের বাইরে থাকলেও ঈদে নতুন পোশাক কিনতে তো হবেই। দুই হাজার থেকে দশ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে আকর্ষণীয় পোশাক।

বিক্রেতারা বলছেন আকর্ষণীয় পোশাকের একটু দাম বেশি পড়াটা স্বাভাবিক। গুণগত মান বিচারে দাম হেরফের করছে। এ বছর বেচাকেনা অনেকের কাছে ভালো হলেও কেউ কেউ বলছেন উচ্চ দামের কারণে ক্রেতারা পছন্দের পোশাক কিনতে পারছেন না।

ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে দিন রাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ক্রেতা-বিক্রেতার। ২০ রোজার পর পা রাখারাও জায়গা থাকবে না শহরের পোশাক মার্কেটগুলোতে,  এমনটাই বলছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা।

ঝালকাঠি শহরের কাঠপট্টি এলাকার সিমা আক্তার বলেন, বাজারে সব ধরণের পোশাক রয়েছে, পছন্দও হচ্ছে কিন্তু দাম আকাশ ছোয়া। উচ্চ দামের কারণে পছন্দের পোশাক কিনতে হিমশিম খাচ্ছি। তবুও ঈদ আসে ঘুরে ফিরে, তাই কিনতে তো হবেই, ছেলের জন্য একটি পাঞ্জাবি ও জুতা কিনলাম। পরিবারের অন্য সদস্যদের জন্যও কেনাকাটা চলছে।

আগরবাড়ি এলাকার আলমগীর হোসেন বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর ঈদের বাজারে পোশাকের দাম অনেক বেশি। আগে যে ড্রেস এক হাজার টাকায় কিনেছি, এখন তা দুই হাজার টাকায় কিনতে হচ্ছে। এভাবে দ্বিগুন বাজার বাড়লে ক্রেতারা যাবে কোথায়? বাজার দর নিয়ন্ত্রণে বিক্রেতাদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

শহরের মৌ ফ্যাশনের মালিক ব্যবসায়ী লিটু তালুকদার বলেন, এ বছর অনেক ভালো ড্রেস এসেছে ঝালকাঠিতে। আমাদের দোকানে ছেলেদের সকল ড্রেস পাওয়া যাচ্ছে, দামও ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে। এখানে কিনতে এসে কেউ ফিরে যাচ্ছে না। বেচা কিনা জমে উঠেছে।

বধূয়া বস্ত্র বিতানের মালিক সশাংঙ্ক চক্রবর্তী বলেন, সব বয়সী মানুষের জন্য নতুন নতুন পোশাক এনেছি। ভালো পোশাকের দাম যাই হোক না কেন, ক্রেতারা পছন্দ করছে।

বাধন রায়/ইবিটাইমস 

জনপ্রিয়
Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

ঝালকাঠিতে জমে উঠেছে ঈদ মার্কেট

আপডেটের সময় ০৯:৫৬:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ মার্চ ২০২৪

ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠিতে জমে উঠেছে ঈদ বাজার। পোশাকের দোকানগুলোতে রমজানের মাঝামাঝি সময়ে রমরমা বেচাকেনা। কিন্তু দাম নিয়ে অসন্তোষ ক্রেতাদের। তবে গুণগত মানের কারণে দাম বেশি পড়ছে বলে দাবি করেছেন বিক্রেতারা।

জানা যায়, রুচিশীল পোশাক-পরিচ্ছদে প্রাচীন বন্দর ঝালকাঠির মানুষ বরাবরই ঢাকার সাথে পাল্লা দিয়ে চলে। তাই ঈদ আয়োজনের কমতি নেই এ জেলায়। রমজানের মাঝামাঝি সময়ে ঈদ বাজারে ক্রেতাদের ঢল নেমেছে। পছন্দের পোশাকের মধ্যে মেয়েদের বিশেষ আকর্ষণ নাহেরা ও বাবা ড্রেস। পাশাপাশি সিল্ক ও সুতির থ্রিপিসসহ রঙ বেরঙের শাড়ির চাহিদাও রয়েছে। ছেলেদের পাঞ্জাবি, টিশার্ট, জিন্স প্যান্ট, পাজামাসহ আকর্ষণীয় পোশাকও রয়েছে শপিং মলে। জামা কাপড়েরর সঙ্গে বেড়েছে জুতার বেচাকেনা। তবে এবছর দাম যেন আকাশ ছোঁয়া। পছন্দের পোশাকের দাম নাগালের বাইরে থাকলেও ঈদে নতুন পোশাক কিনতে তো হবেই। দুই হাজার থেকে দশ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে আকর্ষণীয় পোশাক।

বিক্রেতারা বলছেন আকর্ষণীয় পোশাকের একটু দাম বেশি পড়াটা স্বাভাবিক। গুণগত মান বিচারে দাম হেরফের করছে। এ বছর বেচাকেনা অনেকের কাছে ভালো হলেও কেউ কেউ বলছেন উচ্চ দামের কারণে ক্রেতারা পছন্দের পোশাক কিনতে পারছেন না।

ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে দিন রাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ক্রেতা-বিক্রেতার। ২০ রোজার পর পা রাখারাও জায়গা থাকবে না শহরের পোশাক মার্কেটগুলোতে,  এমনটাই বলছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা।

ঝালকাঠি শহরের কাঠপট্টি এলাকার সিমা আক্তার বলেন, বাজারে সব ধরণের পোশাক রয়েছে, পছন্দও হচ্ছে কিন্তু দাম আকাশ ছোয়া। উচ্চ দামের কারণে পছন্দের পোশাক কিনতে হিমশিম খাচ্ছি। তবুও ঈদ আসে ঘুরে ফিরে, তাই কিনতে তো হবেই, ছেলের জন্য একটি পাঞ্জাবি ও জুতা কিনলাম। পরিবারের অন্য সদস্যদের জন্যও কেনাকাটা চলছে।

আগরবাড়ি এলাকার আলমগীর হোসেন বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর ঈদের বাজারে পোশাকের দাম অনেক বেশি। আগে যে ড্রেস এক হাজার টাকায় কিনেছি, এখন তা দুই হাজার টাকায় কিনতে হচ্ছে। এভাবে দ্বিগুন বাজার বাড়লে ক্রেতারা যাবে কোথায়? বাজার দর নিয়ন্ত্রণে বিক্রেতাদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

শহরের মৌ ফ্যাশনের মালিক ব্যবসায়ী লিটু তালুকদার বলেন, এ বছর অনেক ভালো ড্রেস এসেছে ঝালকাঠিতে। আমাদের দোকানে ছেলেদের সকল ড্রেস পাওয়া যাচ্ছে, দামও ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে। এখানে কিনতে এসে কেউ ফিরে যাচ্ছে না। বেচা কিনা জমে উঠেছে।

বধূয়া বস্ত্র বিতানের মালিক সশাংঙ্ক চক্রবর্তী বলেন, সব বয়সী মানুষের জন্য নতুন নতুন পোশাক এনেছি। ভালো পোশাকের দাম যাই হোক না কেন, ক্রেতারা পছন্দ করছে।

বাধন রায়/ইবিটাইমস