ভিয়েনা ০১:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ৩০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ভোলা-৩ আসনে এনসিপি’র মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ইঞ্জি. সালাউদ্দিন ইইউ-তুর্কি সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করার আহ্বান-জার্মানির চ্যান্সেলর মের্জ শুক্রবার স্বর্ণের দাম আবার কিছুটা হ্রাস পেয়েছে যুক্তরাজ্যের আশ্রয় নীতিতে বড় ধরনের রদবদল আসছে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে বাংলায় দিক নির্দেশনা আগামীকাল লালমোহনে মেজর অব. হাফিজকে গণসংবর্ধনা দেবে বিএনপি লালমোহনে বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত পশ্চিম তীরে দুই কিশোরকে হত্যা করেছে ইসরাইলি বাহিনী সরকারের আচরণে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে ‘গভীর সন্দেহ’ তৈরি হয়েছে : তাহের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে সেনাপ্রধানের আহ্বান

সাগরে নিষেধাজ্ঞা, কাঙ্খিত ইলিশ নেই নদীতে, জেলে পরিবারগুলোতে বোবা কান্না

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০১:০৩:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ জুন ২০২৩
  • ১২ সময় দেখুন

জাহিদ দুলাল, লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি: ইলিশের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন ও সংরক্ষণের লক্ষে গত ২০ মে থেকে সাগরে মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। যা চলবে আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত। মোট ৬৫ দিনের এ নিষেধাজ্ঞায় সাগরে মাছ শিকারে যেতে পারবেন না জেলেরা। নিষেধাজ্ঞা মেনে ভোলার লালমোহনের জেলেরা সাগরে না গিয়ে নদীতে মাছ শিকার করছেন। তবে নদীতেও নেই কাক্সিক্ষত ইলিশ। এতে করে ধার-দেনায় জড়িয়ে বোবা কান্না জেলে পরিবারগুলোতে।

নদীর বর্তমান চিত্র তুলে ধরে লালমোহনের মেঘনা নদী এলাকার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের বাত্তিরখাল মৎস্যঘাটের জেলে মো. রুহুল আমিন মাঝি বলেন, শুক্রবার রাতে ১০ জন জেলেসহ ৬ হাজার টাকার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রসহ নদীতে মাছ শিকারে বের হয় তার ট্রলারটি। শনিবার দুপুরে মাছ শিকার শেষে ঘাটে ফিরেন তারা। নদীতে গিয়ে শিকার করা মাছ ঘাটে এসে বিক্রি করে পেয়েছেন মাত্র ২২‘শ টাকা। এতে করে লাভ তো দূরের কথা লোকসান গুনতে হয়েছে অন্তত ৩৮‘শ টাকা। নদীতে কাক্সিক্ষত ইলিশ না থাকায় ইতোমধ্যেই পরিবার চালাতে গিয়ে স্থানীয় মুদি ও তৈলের দোকানে তিনি দেনা হয়েছেন প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকার মতো।

জানা গেছে, লালমোহনে নিবন্ধিত মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর জেলের সংখ্যা ২৩ হাজার ১৭৮ জন। যার প্রকৃত সংখ্যা আরো কয়েকগুণ বেশি। এছাড়া, দুই নদী মিলিয়ে উপজেলায় প্রধান মৎস্যঘাট রয়েছে অন্তত ১১টি।

উপজেলার তেতুলিয়া নদী এলাকার পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের খালগোড়া মৎস্যঘাটের মনির মাঝি বলেন, পাঁচজন জেলেসহ তার ট্রলারটি দিয়ে তেঁতুলিয়া নদীতে মাছ শিকার করেন। গত তিনদিন নদীতে গিয়ে কোনো মাছ না পেয়ে এখন আর মাছ শিকারে বের হননি তারা। এখন তার ৫ সদস্যের  সংসার চলছে টানাপোড়নে। ধার-দেনায় কোনো রকমে চলছে মনির মাঝির সংসার। শিগগিরই নদীতে মাছ পাওয়া না গেলে অন্য পেশা বেছে নিতে হবে তাকে।

এ ব্যাপারে লালমোহন উপজেলা সামুদ্রিক মৎস্য কর্মকর্তা মো. তানভীর আহমেদ জানান, নদীতে এখন ইলিশ নেই বললেই চলে। এর কারণ আবহাওয়া পরিবর্তন ও নদীর নাব্যতা সঙ্কট। তবে জুনের মাঝামাঝি সময়ে বৃষ্টি হলেই নদীতে আশা করছি ব্যাপক মাছ আসবে। তখন জেলেরা তাদের প্রত্যাশার চেয়েও অনেক বেশি মাছ পাবেন। এছাড়া, জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার।

ভোলা/ইবিটাইমস 
জনপ্রিয়

ভোলা-৩ আসনে এনসিপি’র মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ইঞ্জি. সালাউদ্দিন

Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

সাগরে নিষেধাজ্ঞা, কাঙ্খিত ইলিশ নেই নদীতে, জেলে পরিবারগুলোতে বোবা কান্না

আপডেটের সময় ০১:০৩:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ জুন ২০২৩

জাহিদ দুলাল, লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি: ইলিশের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন ও সংরক্ষণের লক্ষে গত ২০ মে থেকে সাগরে মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। যা চলবে আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত। মোট ৬৫ দিনের এ নিষেধাজ্ঞায় সাগরে মাছ শিকারে যেতে পারবেন না জেলেরা। নিষেধাজ্ঞা মেনে ভোলার লালমোহনের জেলেরা সাগরে না গিয়ে নদীতে মাছ শিকার করছেন। তবে নদীতেও নেই কাক্সিক্ষত ইলিশ। এতে করে ধার-দেনায় জড়িয়ে বোবা কান্না জেলে পরিবারগুলোতে।

নদীর বর্তমান চিত্র তুলে ধরে লালমোহনের মেঘনা নদী এলাকার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের বাত্তিরখাল মৎস্যঘাটের জেলে মো. রুহুল আমিন মাঝি বলেন, শুক্রবার রাতে ১০ জন জেলেসহ ৬ হাজার টাকার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রসহ নদীতে মাছ শিকারে বের হয় তার ট্রলারটি। শনিবার দুপুরে মাছ শিকার শেষে ঘাটে ফিরেন তারা। নদীতে গিয়ে শিকার করা মাছ ঘাটে এসে বিক্রি করে পেয়েছেন মাত্র ২২‘শ টাকা। এতে করে লাভ তো দূরের কথা লোকসান গুনতে হয়েছে অন্তত ৩৮‘শ টাকা। নদীতে কাক্সিক্ষত ইলিশ না থাকায় ইতোমধ্যেই পরিবার চালাতে গিয়ে স্থানীয় মুদি ও তৈলের দোকানে তিনি দেনা হয়েছেন প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকার মতো।

জানা গেছে, লালমোহনে নিবন্ধিত মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর জেলের সংখ্যা ২৩ হাজার ১৭৮ জন। যার প্রকৃত সংখ্যা আরো কয়েকগুণ বেশি। এছাড়া, দুই নদী মিলিয়ে উপজেলায় প্রধান মৎস্যঘাট রয়েছে অন্তত ১১টি।

উপজেলার তেতুলিয়া নদী এলাকার পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের খালগোড়া মৎস্যঘাটের মনির মাঝি বলেন, পাঁচজন জেলেসহ তার ট্রলারটি দিয়ে তেঁতুলিয়া নদীতে মাছ শিকার করেন। গত তিনদিন নদীতে গিয়ে কোনো মাছ না পেয়ে এখন আর মাছ শিকারে বের হননি তারা। এখন তার ৫ সদস্যের  সংসার চলছে টানাপোড়নে। ধার-দেনায় কোনো রকমে চলছে মনির মাঝির সংসার। শিগগিরই নদীতে মাছ পাওয়া না গেলে অন্য পেশা বেছে নিতে হবে তাকে।

এ ব্যাপারে লালমোহন উপজেলা সামুদ্রিক মৎস্য কর্মকর্তা মো. তানভীর আহমেদ জানান, নদীতে এখন ইলিশ নেই বললেই চলে। এর কারণ আবহাওয়া পরিবর্তন ও নদীর নাব্যতা সঙ্কট। তবে জুনের মাঝামাঝি সময়ে বৃষ্টি হলেই নদীতে আশা করছি ব্যাপক মাছ আসবে। তখন জেলেরা তাদের প্রত্যাশার চেয়েও অনেক বেশি মাছ পাবেন। এছাড়া, জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার।

ভোলা/ইবিটাইমস