ভিয়েনা ০৯:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ওসমান হাদীর ওপর হামলার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল দেশের মানুষ গণতন্ত্রের সু-বাতাস পাওয়া শুরু করেছে : টুকু সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং মাঠ নিশ্চিত করা হয়নি : নিজামুল হক নাঈম  মাভাবিপ্রবিতে মাওলানা ভাসানীর ১৪৫তম জন্মবার্ষিকী পালিত সবাই নিয়ে নির্বাচন করলে অংশ নেবে কৃষক জনতা লীগ : কাদের সিদ্দিকী অস্ট্রিয়ার দক্ষিণের দুই রাজ্যের মধ্যে নতুন রেলপথ কোরালম রেলওয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বন্ধে এরদোগানের মধ্যস্থতার প্রস্তাব এভারকেয়ারে নেয়া হলো গুলিবিদ্ধ ওসমান হাদীকে হাদির ওপর হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ ঢাকা-১০ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন আসিফ মাহমুদ

ভুয়া নাম ব্যবহার করে চাকুরী ! ৩৫ লাখ টাকা আত্মসাত

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৪:৪০:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৩
  • ২০ সময় দেখুন

ভোলা সদর প্রতিনিধিঃ ভুয়া নাম ব্যবহার করে চাকুরী করে ৩৫ লাখ টাকা আত্মসাত এবং হত্যার হুমকি দেন চরফ্যাশন উপজেলার এওয়াজপুর ইউনিয়নের সিবা এলাকার মোঃ সুজন। অথচ চাকুরী নেয়ার সময় সুজন নিজেকে রুবেল নামে পরিচয় দেন। তিনি অত্র এলাকার বাবুল ও মাহমুদার সন্তান।

সূত্রে জানা যায়, ভোলা সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী’র মায়ের দোয়া ও সাবাব ব্রিকস এর মালিক মোঃ আমির হোসেন এর গাড়ী চালক ছিলেন মোঃ সুজন। ২০২১ সাল থেকে তিনি বিশ্বস্ততার সাথে চাকুরী করার সুবাদে আমির হোসেন তাকে ইট বেচ-কেনা ও ব্যাংকিং কাজের দায়িত্ব দেন। এই সুযোগে সুজন ৩৫ লাখ ৫০ হাজার টাকার সরিয়ে ফেলেন। হিসাব-নিকাশের এক পর্যায়ে আমির হোসেন ওই টাকার জন্য চাঁপ প্রয়োগ করলে সুজন চাকুরী ছেড়ে পলান।

পরবর্তীতে সুজনের খোজে সিবা এলাকায় গেলে জানা যায় সুজন রুবেলসহ একাধিক নামে পরিচয় দিয়ে মানুষের সাথে নানান প্রতারণা করেন। আমির হোসেন কেন তার বাড়ীতে গেল এবং টাকা চাইলো তার জন্য সুজন বিভিন্ন ফেক আইডির মাধ্যমে আমির হোসেন এর পরিবারের বিভিন্ন লোকের নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুকে) কুৎসা রটাতে থাকে। এছাড়া ০১৭১০৭৯৯৫৫০, ০১৭৩৩৩২১৮৮৯ নাম্বার থেকে হোসেনকে হত্যার হুমকি দেন।

আমির হোসেন জানান, সুজন (রুবেল) কে আমি সন্তানের মত ভালবাসতাম। আমি যেখানে যেতাম, সেখানেই ও আমাকে নিয়ে যেত। সে আমার বিশ্বস্ততা অর্জন করলে, আমি আমার ক্যাশের দায়িত্ব তাকে দেই। সে ২ বছর ইট বিক্রি করে ব্যাংকে টাকা জমা দেয় ও খরচ করে। হঠাৎ আমার সন্দেহ হলে সুজন (রুবেল) কে নিয়ে হিসেবে বসলে ৩৫ লাখ ৫০ হাজার টাকার কোন হিসেব দিতে পারেনি। পরে না বলে সে পালিয়ে যায়। তার খোজে তাঁর বাড়ীতে গিয়ে জানতে পারি সে বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন নাম ব্যবহার করে মানুষের সাথে প্রতারণ করে।

আমি কেন তার বাড়ীতে গেলাম সে জন্য সুজন (রুবেল) আমার ও পরিবারের অন্যান্য লোকজনের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুকে) বিভিন্ন কুৎসা রটায় এবং আমাকে হত্যার হুমকি দেয়। এছাড়া আমার সন্তানকে মেরে গুম করারও হুমকি দেয়। এ পরিস্থিতিতে আমি ভোলা সদর মডেল থানায় একটি জিডি করি। যার নং-৪০৩/২২

তিনি আরো বলেন, এর পরও সুজনের সাথে কোনে সুরাহা না হলে আমি নিরুপায় হয়ে ভোলা সদর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করি। যার নং- এমপি-৬৮০/২২ আমি প্রশাসনের কাছে সুজন (রুবেল) কে আইনের আওতায় এনে ঘটনার সুষ্ঠ সমাধান প্রার্থনা করছি।

অভিযুক্ত সুজন (রুবেল) এর সাথে তাঁর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি কল রিসিভ করেন নি। পুনরায় তাকে আবার ফোন করলে তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়। তাই তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

সিমা বেগম/ইবিটাইমস 

জনপ্রিয়

ওসমান হাদীর ওপর হামলার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল

Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

ভুয়া নাম ব্যবহার করে চাকুরী ! ৩৫ লাখ টাকা আত্মসাত

আপডেটের সময় ০৪:৪০:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৩

ভোলা সদর প্রতিনিধিঃ ভুয়া নাম ব্যবহার করে চাকুরী করে ৩৫ লাখ টাকা আত্মসাত এবং হত্যার হুমকি দেন চরফ্যাশন উপজেলার এওয়াজপুর ইউনিয়নের সিবা এলাকার মোঃ সুজন। অথচ চাকুরী নেয়ার সময় সুজন নিজেকে রুবেল নামে পরিচয় দেন। তিনি অত্র এলাকার বাবুল ও মাহমুদার সন্তান।

সূত্রে জানা যায়, ভোলা সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী’র মায়ের দোয়া ও সাবাব ব্রিকস এর মালিক মোঃ আমির হোসেন এর গাড়ী চালক ছিলেন মোঃ সুজন। ২০২১ সাল থেকে তিনি বিশ্বস্ততার সাথে চাকুরী করার সুবাদে আমির হোসেন তাকে ইট বেচ-কেনা ও ব্যাংকিং কাজের দায়িত্ব দেন। এই সুযোগে সুজন ৩৫ লাখ ৫০ হাজার টাকার সরিয়ে ফেলেন। হিসাব-নিকাশের এক পর্যায়ে আমির হোসেন ওই টাকার জন্য চাঁপ প্রয়োগ করলে সুজন চাকুরী ছেড়ে পলান।

পরবর্তীতে সুজনের খোজে সিবা এলাকায় গেলে জানা যায় সুজন রুবেলসহ একাধিক নামে পরিচয় দিয়ে মানুষের সাথে নানান প্রতারণা করেন। আমির হোসেন কেন তার বাড়ীতে গেল এবং টাকা চাইলো তার জন্য সুজন বিভিন্ন ফেক আইডির মাধ্যমে আমির হোসেন এর পরিবারের বিভিন্ন লোকের নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুকে) কুৎসা রটাতে থাকে। এছাড়া ০১৭১০৭৯৯৫৫০, ০১৭৩৩৩২১৮৮৯ নাম্বার থেকে হোসেনকে হত্যার হুমকি দেন।

আমির হোসেন জানান, সুজন (রুবেল) কে আমি সন্তানের মত ভালবাসতাম। আমি যেখানে যেতাম, সেখানেই ও আমাকে নিয়ে যেত। সে আমার বিশ্বস্ততা অর্জন করলে, আমি আমার ক্যাশের দায়িত্ব তাকে দেই। সে ২ বছর ইট বিক্রি করে ব্যাংকে টাকা জমা দেয় ও খরচ করে। হঠাৎ আমার সন্দেহ হলে সুজন (রুবেল) কে নিয়ে হিসেবে বসলে ৩৫ লাখ ৫০ হাজার টাকার কোন হিসেব দিতে পারেনি। পরে না বলে সে পালিয়ে যায়। তার খোজে তাঁর বাড়ীতে গিয়ে জানতে পারি সে বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন নাম ব্যবহার করে মানুষের সাথে প্রতারণ করে।

আমি কেন তার বাড়ীতে গেলাম সে জন্য সুজন (রুবেল) আমার ও পরিবারের অন্যান্য লোকজনের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুকে) বিভিন্ন কুৎসা রটায় এবং আমাকে হত্যার হুমকি দেয়। এছাড়া আমার সন্তানকে মেরে গুম করারও হুমকি দেয়। এ পরিস্থিতিতে আমি ভোলা সদর মডেল থানায় একটি জিডি করি। যার নং-৪০৩/২২

তিনি আরো বলেন, এর পরও সুজনের সাথে কোনে সুরাহা না হলে আমি নিরুপায় হয়ে ভোলা সদর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করি। যার নং- এমপি-৬৮০/২২ আমি প্রশাসনের কাছে সুজন (রুবেল) কে আইনের আওতায় এনে ঘটনার সুষ্ঠ সমাধান প্রার্থনা করছি।

অভিযুক্ত সুজন (রুবেল) এর সাথে তাঁর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি কল রিসিভ করেন নি। পুনরায় তাকে আবার ফোন করলে তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়। তাই তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

সিমা বেগম/ইবিটাইমস