ভিয়েনা ০৭:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও জনগণকে আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্টের ‘ধন্যবাদ’ জ্ঞাপন

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৬:২৯:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২২
  • ১৫ সময় দেখুন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ গতকাল মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে এক টুইট বার্তায় তিনি এই ধন্যবাদ জানান। আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট তার দেশের ও বাংলাদেশের পতাকা, ভালোবাসা এবং করমর্দনের চিহ্নসহ টুইট বার্তায় লিখেছেন, ‘ধন্যবাদ শেখ হাসিনা এবং সমগ্র বাংলাদেশের মানুষকে। ’

বাংলাদেশ সহ আর্জেন্টিনার বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে কাতার বিশ্বকাপ ফুটবলের আসরে গত কয়েক সপ্তাহে আর্জেন্টিনা ও বাংলাদেশের মধ্যে যে মিলন আর পারস্পরিক স্নেহ দেখলাম তা ব্যাখ্যা করার মতো না, আজ এখানে দুটি পতাকাও উড়ছে। চলুন, এই বন্ধনকে গভীর করি বলে আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট টুইটারে এক বার্তায় এই অনুরোধকরেন। টুইট বার্তায় তিনি শেখ হাসিনার পাঠানো চিঠিও প্রকাশ করেছেন তিনি।

এর আগে গত সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) ফিফা বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে চিঠি পাঠায় বাংলাদেশ সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজকে চিঠির মাধ্যমে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

এপরদিকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন আর্জেন্টিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো আন্দ্রেজ ক্যাফিয়োরোকে। দুটি চিঠিতেই আগামী দিনগুলোতে দুই দেশে আবাসিক কূটনৈতিক মিশন চালু ও আরও জোরালো সম্পর্ক গড়ার প্রত্যাশা তুলে ধরেছে বাংলাদেশ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার চিঠিতে আর্জেন্টাইন দলের জয়কে দৃষ্টিনন্দন বলে অভিহিত করেছেন। তিনি লিখেছেন, ফুটবলের প্রতি আকর্ষণ ও ভালোবাসা, বিশেষ করে আর্জেন্টিনা ফুটবল দল বাংলাদেশ ও আর্জেন্টিনার জনগণের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করেছে। আর্জেন্টিনা ফুটবল দলের জয় বাংলাদেশের জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে উদযাপন করেছে।

প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, দুই দেশের জনগণের মধ্যে নজিরবিহীন ভালোবাসা ও আকর্ষণ জোরালো দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের পথ দেখিয়েছে। এদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিখেছেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আমাদের ভৌগোলিক দূরত্ব সত্ত্বেও বাংলাদেশ ও আর্জেন্টিনার জনগণ ফুটবলে একাকার। ’

কাতার লুসাইল স্টেডিয়ামে গত রোববার রাতে বিশ্বকাপ ফাইনাল ম্যাচে আর্জেন্টিনাকে নিয়ে বাংলাদেশে উন্মাদনার কথাও আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন। তিনি লিখেছেন, ‘গত (রোববার) রাতে ফিফা বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা দলের জয়ের পর বাংলাদেশের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত উল্লাস দেখে আপনি অবাক হবেন।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের জনগণ এবং তার নিজের পক্ষ থেকে আর্জেন্টিনার জনগণ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আন্তরিক অভিনন্দন-শুভেচ্ছা জানান। এই আনন্দের মুহূর্তে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক ও বন্ধুত্ব আরও গভীর করার জন্য বাংলাদেশের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

মোমেন লিখেছেন, ‘আমি আমাদের পারস্পরিক অগ্রাধিকারগুলো একত্র করতে এবং আগামী দিনে একে অন্যের রাজধানীতে মিশন খোলার জন্য ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার জন্য উন্মুখ হয়ে আছি।’

এখানে উল্লেখ্য যে,গত ২০ নভেম্বর কাতারে ২২ তম ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবল শুরুর একাদশ সপ্তাহ পর ফিফা তার অফিসিয়াল টুইটার পেজে বাংলাদেশের আর্জেন্টিনা ভক্তদের উল্লাসের ভিডি প্রকাশ করে।

মেক্সিকোর বিপক্ষে ম্যাচের প্রথমার্ধেও বিবর্ণ ছিল তারকাখচিত আর্জেন্টিনা। দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের গতি বাড়াতে বেশ কিছু পরিবর্তন আনেন তাদের কোচ লিওনেল স্কালোনি। তবে তর্কসাপেক্ষে সর্বকালের সেরা খেলোয়াড় মেসিকেই দলের প্রয়োজনে সামনে এগিয়ে আসতে হয়। গোল যখন সোনার হরিণ বলে মনে হচ্ছিল, ভক্তরা হয়তো হতাশায় ডুব দিচ্ছিলেন, তখনই মুহূর্তের সিদ্ধান্তে প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে গোলমুখে শট নেন তিনি। প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক গিলের্মো ওচোয়ার ঝাঁপ ফাঁকি দিয়ে বল জড়ায় জালে। সঙ্গে সঙ্গে কাঁপন ধরে যায় গ্যালারিতে, যেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রায় ৮৯ হাজার দর্শক। চওড়া হাসি ফোটে আর্জেন্টাইন সমর্থকদের মুখে।

মেসির গোলে তৈরি হওয়া বাঁধ ভাঙা উল্লাসের ঢেউ আছড়ে পড়ে হাজার হাজার মাইল দূরে অবস্থিত বাংলাদেশেও। বল গোললাইন অতিক্রম করার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে যায় ভক্তদের চিৎকার, একে অন্যকে জড়িয়ে ধরে আনন্দে মাতোয়ারা হওয়া। যদিও তখন বাংলাদেশ সময় অনুসারে ছিল মাঝরাত! বড় পর্দায় যেসব স্থানে খেলা দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল, সেসব স্থান যেন পরিণত হয় এক টুকরো লুসাইলে! তেমনি একটি আয়োজন দেশের আর্জেন্টিনা ও মেসিপ্রেমীদের উচ্ছ্বাসের দৃশ্য পৌঁছে যায় ফিফার কাছেও। তারা একে অভিহিত করেছে ‘ফুটবলের শক্তি’ হিসেবে।

আগের দিন রোববার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে নিজেদের স্বীকৃত পেজে ভক্তদের বাঁধনহারা উদযাপনের ভিডিও পোস্ট করে ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা লিখেছে, ‘এটাই হলো ফুটবলের শক্তি। ফিফা বিশ্বকাপে বাংলাদেশের আর্জেন্টিনা ভক্তরা লিওনেল মেসির গোল উদযাপন করছে।’

আন্তর্জাতিক ফুটবল ফেডারেশন এন্ড এসোসিয়েশন ফিফার বাংলাদেশে আর্জেন্টিনার সমর্থকদের আনন্দ উচ্ছ্বাসের ভিডিও প্রকাশের পর পরই আর্জেন্টিনার জাতীয় সংবাদ মাধ্যম ও সম্প্রচার কেন্দ্রে তা ফলাও করে প্রচারিত হয়। তারপর থেকেই আর্জেন্টিনার সংবাদ মাধ্যম ও জনগণের দৃষ্টি পড়ে বাংলাদেশের ওপর। আর্জেন্টিনার বিভিন্ন সম্প্রচার কেন্দ্র বাংলাদেশের আর্জেন্টিনার সমর্থকদের লাইভ ইন্টারভিউ সম্প্রচার করে।

গত ১৫ ডিসেম্বর ইউরো বাংলা টাইমসে প্রকাশিত হয়েছিল যে,বাংলাদেশে আর্জেন্টিনার সমর্থকদের উচ্ছ্বাস দেখে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো ক্যাফিয়েরো বাংলাদেশে পুনরায় দূতাবাস খোলার ঘোষণা দিয়েছেন।

কবির আহমেদ/ইবিটাইমস 

জনপ্রিয়
Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও জনগণকে আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্টের ‘ধন্যবাদ’ জ্ঞাপন

আপডেটের সময় ০৬:২৯:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২২

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ গতকাল মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে এক টুইট বার্তায় তিনি এই ধন্যবাদ জানান। আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট তার দেশের ও বাংলাদেশের পতাকা, ভালোবাসা এবং করমর্দনের চিহ্নসহ টুইট বার্তায় লিখেছেন, ‘ধন্যবাদ শেখ হাসিনা এবং সমগ্র বাংলাদেশের মানুষকে। ’

বাংলাদেশ সহ আর্জেন্টিনার বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে কাতার বিশ্বকাপ ফুটবলের আসরে গত কয়েক সপ্তাহে আর্জেন্টিনা ও বাংলাদেশের মধ্যে যে মিলন আর পারস্পরিক স্নেহ দেখলাম তা ব্যাখ্যা করার মতো না, আজ এখানে দুটি পতাকাও উড়ছে। চলুন, এই বন্ধনকে গভীর করি বলে আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট টুইটারে এক বার্তায় এই অনুরোধকরেন। টুইট বার্তায় তিনি শেখ হাসিনার পাঠানো চিঠিও প্রকাশ করেছেন তিনি।

এর আগে গত সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) ফিফা বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে চিঠি পাঠায় বাংলাদেশ সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজকে চিঠির মাধ্যমে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

এপরদিকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন আর্জেন্টিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো আন্দ্রেজ ক্যাফিয়োরোকে। দুটি চিঠিতেই আগামী দিনগুলোতে দুই দেশে আবাসিক কূটনৈতিক মিশন চালু ও আরও জোরালো সম্পর্ক গড়ার প্রত্যাশা তুলে ধরেছে বাংলাদেশ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার চিঠিতে আর্জেন্টাইন দলের জয়কে দৃষ্টিনন্দন বলে অভিহিত করেছেন। তিনি লিখেছেন, ফুটবলের প্রতি আকর্ষণ ও ভালোবাসা, বিশেষ করে আর্জেন্টিনা ফুটবল দল বাংলাদেশ ও আর্জেন্টিনার জনগণের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করেছে। আর্জেন্টিনা ফুটবল দলের জয় বাংলাদেশের জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে উদযাপন করেছে।

প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, দুই দেশের জনগণের মধ্যে নজিরবিহীন ভালোবাসা ও আকর্ষণ জোরালো দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের পথ দেখিয়েছে। এদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিখেছেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আমাদের ভৌগোলিক দূরত্ব সত্ত্বেও বাংলাদেশ ও আর্জেন্টিনার জনগণ ফুটবলে একাকার। ’

কাতার লুসাইল স্টেডিয়ামে গত রোববার রাতে বিশ্বকাপ ফাইনাল ম্যাচে আর্জেন্টিনাকে নিয়ে বাংলাদেশে উন্মাদনার কথাও আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন। তিনি লিখেছেন, ‘গত (রোববার) রাতে ফিফা বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা দলের জয়ের পর বাংলাদেশের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত উল্লাস দেখে আপনি অবাক হবেন।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের জনগণ এবং তার নিজের পক্ষ থেকে আর্জেন্টিনার জনগণ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আন্তরিক অভিনন্দন-শুভেচ্ছা জানান। এই আনন্দের মুহূর্তে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক ও বন্ধুত্ব আরও গভীর করার জন্য বাংলাদেশের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

মোমেন লিখেছেন, ‘আমি আমাদের পারস্পরিক অগ্রাধিকারগুলো একত্র করতে এবং আগামী দিনে একে অন্যের রাজধানীতে মিশন খোলার জন্য ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার জন্য উন্মুখ হয়ে আছি।’

এখানে উল্লেখ্য যে,গত ২০ নভেম্বর কাতারে ২২ তম ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবল শুরুর একাদশ সপ্তাহ পর ফিফা তার অফিসিয়াল টুইটার পেজে বাংলাদেশের আর্জেন্টিনা ভক্তদের উল্লাসের ভিডি প্রকাশ করে।

মেক্সিকোর বিপক্ষে ম্যাচের প্রথমার্ধেও বিবর্ণ ছিল তারকাখচিত আর্জেন্টিনা। দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের গতি বাড়াতে বেশ কিছু পরিবর্তন আনেন তাদের কোচ লিওনেল স্কালোনি। তবে তর্কসাপেক্ষে সর্বকালের সেরা খেলোয়াড় মেসিকেই দলের প্রয়োজনে সামনে এগিয়ে আসতে হয়। গোল যখন সোনার হরিণ বলে মনে হচ্ছিল, ভক্তরা হয়তো হতাশায় ডুব দিচ্ছিলেন, তখনই মুহূর্তের সিদ্ধান্তে প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে গোলমুখে শট নেন তিনি। প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক গিলের্মো ওচোয়ার ঝাঁপ ফাঁকি দিয়ে বল জড়ায় জালে। সঙ্গে সঙ্গে কাঁপন ধরে যায় গ্যালারিতে, যেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রায় ৮৯ হাজার দর্শক। চওড়া হাসি ফোটে আর্জেন্টাইন সমর্থকদের মুখে।

মেসির গোলে তৈরি হওয়া বাঁধ ভাঙা উল্লাসের ঢেউ আছড়ে পড়ে হাজার হাজার মাইল দূরে অবস্থিত বাংলাদেশেও। বল গোললাইন অতিক্রম করার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে যায় ভক্তদের চিৎকার, একে অন্যকে জড়িয়ে ধরে আনন্দে মাতোয়ারা হওয়া। যদিও তখন বাংলাদেশ সময় অনুসারে ছিল মাঝরাত! বড় পর্দায় যেসব স্থানে খেলা দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল, সেসব স্থান যেন পরিণত হয় এক টুকরো লুসাইলে! তেমনি একটি আয়োজন দেশের আর্জেন্টিনা ও মেসিপ্রেমীদের উচ্ছ্বাসের দৃশ্য পৌঁছে যায় ফিফার কাছেও। তারা একে অভিহিত করেছে ‘ফুটবলের শক্তি’ হিসেবে।

আগের দিন রোববার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে নিজেদের স্বীকৃত পেজে ভক্তদের বাঁধনহারা উদযাপনের ভিডিও পোস্ট করে ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা লিখেছে, ‘এটাই হলো ফুটবলের শক্তি। ফিফা বিশ্বকাপে বাংলাদেশের আর্জেন্টিনা ভক্তরা লিওনেল মেসির গোল উদযাপন করছে।’

আন্তর্জাতিক ফুটবল ফেডারেশন এন্ড এসোসিয়েশন ফিফার বাংলাদেশে আর্জেন্টিনার সমর্থকদের আনন্দ উচ্ছ্বাসের ভিডিও প্রকাশের পর পরই আর্জেন্টিনার জাতীয় সংবাদ মাধ্যম ও সম্প্রচার কেন্দ্রে তা ফলাও করে প্রচারিত হয়। তারপর থেকেই আর্জেন্টিনার সংবাদ মাধ্যম ও জনগণের দৃষ্টি পড়ে বাংলাদেশের ওপর। আর্জেন্টিনার বিভিন্ন সম্প্রচার কেন্দ্র বাংলাদেশের আর্জেন্টিনার সমর্থকদের লাইভ ইন্টারভিউ সম্প্রচার করে।

গত ১৫ ডিসেম্বর ইউরো বাংলা টাইমসে প্রকাশিত হয়েছিল যে,বাংলাদেশে আর্জেন্টিনার সমর্থকদের উচ্ছ্বাস দেখে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো ক্যাফিয়েরো বাংলাদেশে পুনরায় দূতাবাস খোলার ঘোষণা দিয়েছেন।

কবির আহমেদ/ইবিটাইমস