ভিয়েনা ০৮:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
খালেদা জিয়ার রোগমুক্তিতে প্রিণ্ট মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশনের দোয়া মাহফিল ভিক্ষুক আ: জলিলের দোকান উদ্বোধন করলেন ইউএনও আগামী নির্বাচনে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালনে সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান বেগম খালেদা জিয়ার খোঁজখবর নিতে এভারকেয়ারে সৈয়দ ফয়জুল কীরম থাইল্যান্ডে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৬৭ সিইসির সঙ্গে বৈঠকে এনসিপির প্রতিনিধিদল বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে ইংল্যান্ডের ডা. রিচার্ড বিলি হাসপাতালে টেলিফোনে অস্ট্রিয়ার সংসদে বোমা হামলার হুমকি – হুমকিদাতা শনাক্ত – পুলিশ লালমোহনে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ লালমোহনে পরিবার পরিকল্পনা মাঠকর্মীদের কর্মবিরতি

লালমোহনে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে নিউমোনিয়া-ডায়রিয়ায়

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৬:১৩:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর ২০২২
  • ১৯ সময় দেখুন

ভোলা প্রতিনিধিঃ ভোলার লালমোহনে বেড়েছে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ার প্রকোপ। এতে ব্যাপকভাবে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা।

মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর)লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গিয়ে দেখা যায়, ৫০ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হতে হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ জন শিশুকে। যাদের মধ্যে বেশির ভাগই ১ মাস থেকে দুই বছর বয়সী শিশু।

শয্যা সংকট থাকায় একটি বেডে গড়ে ২ জন শিশুকে গাদাগাদি করে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।প্রতি জন শিশুর সাথে তার মা অথবা স্বজনরাও থাকতে হয়।এতে অন্য রোগীরাও সমস্যা পোয়াতে হচ্ছে।

এদিকে শিশুদের সাথে যুবক বৃদ্ধদের একটু চাপ রয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তথ্য মতে, গত এক মাস ধরে বেড়েছে এ রোগের প্রকোপ। হাসপাতালের বর্হিবিভাগ ও ইমার্জেন্সি থেকে প্রতিদিন গড়ে ৮০ থেকে এক শত জন শিশু চিকিৎসা নিচ্ছে। এদের মধ্যে শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় প্রতিদিন ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হতে হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ জন শিশুকে।

লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসছেন পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের  সিমা বেগম তার কন্যা শিশুর চিকিৎসা নিতে। তিনি বলেন, ৪ দিন ধরে মেয়ের জ্বর। এলাকা থেকে ওষুধ কিনে খাইয়েছি। তবুও জ্বর কমছে না। তাই এখন হাসপাতালে এসেছি ভালো চিকিৎসার জন্য। অন্যদিকে, উপজেলার চতলা এলাকা থেকে দেড় বছরের মেয়েকে নিয়ে চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে এসেছেন মো. সোহাগ। তিনি বলেন, কয়েকদিন ধরেই মেয়ের ডায়রিয়া। এলাকার পল্লী চিকিৎসক থেকে ওষুধ নিয়ে খাইয়েছি। এরপরও ডায়রিয়া না কমায় হাসপাতালে এসেছি ডাক্তার দেখাতে।

নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে যাওয়া নিয়ে এ ব্যাপারে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মো. মহসিন খান বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণেই গত এক মাস ধরে এ রোগের প্রকোপ বেড়েছে। হাসপাতালে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়া অধিকাংশই শিশু। যেসব শিশুদের হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে, তাদেরকে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা আন্তরিকতার সঙ্গে চিকিৎসা প্রদান করছেন। এছাড়া নার্সরাও আন্তরিকভাবে এসব শিশুদের সেবা করছেন। আবহাওয়া ঠিক হয়ে গেলে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা কমবে বলে আশাবাদী এ চিকিৎসক।

মনজুর রহমান/ইবিটাইমস 

জনপ্রিয়

খালেদা জিয়ার রোগমুক্তিতে প্রিণ্ট মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশনের দোয়া মাহফিল

Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

লালমোহনে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে নিউমোনিয়া-ডায়রিয়ায়

আপডেটের সময় ০৬:১৩:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর ২০২২

ভোলা প্রতিনিধিঃ ভোলার লালমোহনে বেড়েছে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ার প্রকোপ। এতে ব্যাপকভাবে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা।

মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর)লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গিয়ে দেখা যায়, ৫০ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হতে হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ জন শিশুকে। যাদের মধ্যে বেশির ভাগই ১ মাস থেকে দুই বছর বয়সী শিশু।

শয্যা সংকট থাকায় একটি বেডে গড়ে ২ জন শিশুকে গাদাগাদি করে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।প্রতি জন শিশুর সাথে তার মা অথবা স্বজনরাও থাকতে হয়।এতে অন্য রোগীরাও সমস্যা পোয়াতে হচ্ছে।

এদিকে শিশুদের সাথে যুবক বৃদ্ধদের একটু চাপ রয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তথ্য মতে, গত এক মাস ধরে বেড়েছে এ রোগের প্রকোপ। হাসপাতালের বর্হিবিভাগ ও ইমার্জেন্সি থেকে প্রতিদিন গড়ে ৮০ থেকে এক শত জন শিশু চিকিৎসা নিচ্ছে। এদের মধ্যে শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় প্রতিদিন ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হতে হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ জন শিশুকে।

লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসছেন পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের  সিমা বেগম তার কন্যা শিশুর চিকিৎসা নিতে। তিনি বলেন, ৪ দিন ধরে মেয়ের জ্বর। এলাকা থেকে ওষুধ কিনে খাইয়েছি। তবুও জ্বর কমছে না। তাই এখন হাসপাতালে এসেছি ভালো চিকিৎসার জন্য। অন্যদিকে, উপজেলার চতলা এলাকা থেকে দেড় বছরের মেয়েকে নিয়ে চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে এসেছেন মো. সোহাগ। তিনি বলেন, কয়েকদিন ধরেই মেয়ের ডায়রিয়া। এলাকার পল্লী চিকিৎসক থেকে ওষুধ নিয়ে খাইয়েছি। এরপরও ডায়রিয়া না কমায় হাসপাতালে এসেছি ডাক্তার দেখাতে।

নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে যাওয়া নিয়ে এ ব্যাপারে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মো. মহসিন খান বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণেই গত এক মাস ধরে এ রোগের প্রকোপ বেড়েছে। হাসপাতালে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়া অধিকাংশই শিশু। যেসব শিশুদের হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে, তাদেরকে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা আন্তরিকতার সঙ্গে চিকিৎসা প্রদান করছেন। এছাড়া নার্সরাও আন্তরিকভাবে এসব শিশুদের সেবা করছেন। আবহাওয়া ঠিক হয়ে গেলে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা কমবে বলে আশাবাদী এ চিকিৎসক।

মনজুর রহমান/ইবিটাইমস