পিরোজপুর প্রতিনিধি: পিরোজপুরের ইন্দুরকানীর খেজুরতলা বাজার সংলগ্ন সেতুটি চরম ঝুঁকিপূর্ন। প্রতিদিন ওই সেতু দিয়ে স্থানীয় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী সহ হাজারো মানুষের চলাচল। উপজেলার পত্তাশী ও ইন্দুরকানী সদর ইউনিয়নের মাঝ পথে ঘোষেরহাট -পত্তাশী সড়কের খেজুরতলা
বাজার সংলগ্ন খালের উপর এলজিইডি কর্র্তৃক নির্মিত সেতুর এ করুন দশা। ওই সড়কের প্রায় দশ কিলোমিটার পাকা সড়ক আছে,এর মধ্যে অবস্থিত ওই ঝুঁকিপূর্ন সেতুটি।
দীর্ঘ ছয় বছর ধরে ওই সেতুটির ¯িøপার ভেঙ্গে যাওয়ায় স্থানীয়রা আবারও তাতে কাঠ দিয়ে জোড়াতালি দিয়ে পারাপার হচ্ছে। কিন্তু তারপরও সেতুটি নির্মান না হওয়ায় চরম দূর্ভোগে রয়েছেন এলাকাবাসী সহ স্থানীয় শিক্ষার্থীরা।
সেতুটির পশ্চিম প্রান্তে খেজুরতলা বাজার, পত্তাশী এস দাখিল মাদ্রাসা, খেজুরতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ, হেফজ মাদ্রাসা রয়েছে এবং পূর্ব প্রান্তে ঘোষেরহাট বাজার রয়েছে।
এই সড়ক দিয়ে পত্তাশী এলাকা, রামচন্দ্রপুর গ্রাম,ভবানীপুর গ্রাম, চরনীপত্তাশী গ্রাম, হোগলবুনিয়া গ্রাম সহ আশেপাশের হাজারো বাসিন্দারা প্রতিদিন যাতায়াত করছে।
সেতুটি ভেঙ্গে যাওয়ায় চলাচলের একেবারে অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এই সড়কে ভ্যান গাড়ী, রিক্সা, ইজিবাইক চালিয়ে শ্রমিকার জীবিকা নির্বাহ করে। কিন্তু সেতুর জড়াজির্ণের কারণে গাড়ী পারাপার করতে পারছেনা। কমছে তাদের আয়ের পথ।
বর্তমান বর্ষা মৌসুমে ভাঙ্গা সেতু দিয়ে স্কুল,মাদ্রাসার ছাত্র ছাত্রী ও সাধারণের পারপারে চরম দূর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। মাঝে মাঝে বৃদ্ধ ও শিশুদের সেতু পার হতে দূর্ঘটনার ও হতে হয়। সেতুটি জনগুরুত্বপূর্ণ হলেও এ দিকে কর্তৃপক্ষের নজর নাই বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
স্থানীয় খেজুরতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র মো. জাকারিয়া হোসেন জানায়, প্রতিদিন ওই ভাঙ্গা পুল দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পার হয়ে স্কুলে যেতে হয়। গত মাস খানেক আগে পুর পার হতে গিয়ে পায়ে অঅঘাত পাই। এতে কয়েকদিন স্কুলে যেতে পারি নি।
খেজুরতরা বাজারের ব্যবসায়ী সোহেল তালুকদার জানান, সেতুটি দীর্ঘদিন ধরে ভাঙ্গা অবস্থায় থাকায় মালামাল পরিবহনে খরচও বেশী লাগে। তেমনি সরাসরি বাজারে মালামাল আনা যাচ্ছে না। সেতুটি দ্রত নির্মাণ প্রয়োজন।
স্থানীয় রামচন্দ্রপুর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. জুবায়ের তালুকদার জানান,দীর্ঘদিন ধরে সেতুটির পিলার ভেঙ্গে যাওয়ায় সরকারী ভাবে সেতুটি নির্মাণের কোন ব্যবস্থা হচ্ছে না।নিজেরা সংস্কার করে জোড়াতালি দিয়ে পারাপার করা হচ্ছে।
উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী লায়লা মিথুণ জানান, সেতুটি জনগুরুত্বপূর্ণ একাধিক প্রকল্পে সেতুটির প্রাক্কলণ দেয়া আছে কিন্তু বরাদ্দ না আসায় সেতুটি নির্মাণ করা যাচ্ছে না।
এইচ এম লাহেল মাহমুদ/ইবিটাইমস/এম আর