ভিয়েনা ০৪:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
রাস্তার মাঝে বিদ্যুতের খুঁটি, ভোগান্তিতে এলাকাবাসী টাঙ্গাইলে প্রিণ্ট মিডিয়া আসোসিয়েশন নিন্দা ও প্রতিবাদ সিইসির সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধিদলের বৈঠক আগামী নির্বাচনে সৎ ও যোগ্য প্রার্থী বেছে নেওয়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার এডাব ঝালকাঠি জেলা শাখার সভাপতি শাহ্ আলম, সম্পাদক হোসাইন আহমেদ ‎ ঝালকাঠির দুটি আসনে ৭ জনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ লাবীব গ্রুপের চেয়ারম্যানকে গ্রেফতারের দাবিতে টাঙ্গাইলে মানববন্ধন নির্বাচনের আগে যে কোনো মূল্যে আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করলেন তিন বাহিনী প্রধান সুদানে শাহাদাত বরণকারী শান্তিরক্ষীদের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত

ভোলায় দিন দিন বাড়ছে শিশুশ্রম

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০১:১০:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুন ২০২১
  • ৫৫ সময় দেখুন

ভোলা প্রতিনিধি: ভোলায় গত কয়েক বছরে বেড়েছে শিশুশ্রম। জেলার প্রায় সব জায়গাতেই দেখা যায় শিশুদের দিয়ে নানান কাজ করানো হচ্ছে। খাবার হোটেল থেকে শুরু করে রিক্সা, ভ্যান, বাসগাড়ি , অটোচালক, লেদ মেশিন চালনা, ভাঙ্গারি সংগ্রহ, ওয়ার্কশপ, ইটের ভাটা সহ নানা কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে শিশুদের। বয়সের সাথে সামঞ্জস্য নয় এমন সব কাজ করতে গিয়ে অহরহ ঘটছে নানা দূর্ঘটনা।

শিশুদের এসব নানা ঝুঁকিপূর্ন কাজে ব্যবহারের জন্য দারিদ্রতাকে দায়ী করছেন সংশ্লীষ্টরা। কেননা বেশির ভাগ পরিবারই মাথাপিছু আয়ের নিচে বসবাস করছে।

স্থানীয় এক রিকশা চালক জানান, সংসারে আর্থিক সচ্ছলতা না থাকায় ছেলেদের দিয়ে কাজ করাতে বাধ্য হচ্ছি। বড় ছেলে নির্মান শ্রমিক আর ছোট ছেলে একটি দোকানে কাজ করে। পড়াশুনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, বড় ছেলেটা ৭ম শ্রেনী পর্যন্ত পড়েছিল এরপর আর পড়াশুনা করানো হয়নি। আর ছোট ছেলে কাজের পাশাপাশি পড়াশুনা করছে।

এদিকে, জেলার পরানগঞ্জ বাজার সংলগ্ন একটি ওয়ার্কশপ শিশু শ্রমিক আরিফ (১২) জানায়, ছোট বেলা থেকেই এখানে কাজ করছে সে। বাবা-মার সর্ম্পক বিচ্ছেদের কারণে কম বয়সেই তাকে মা এখানে কাজে দিয়ে যায়। পড়াশুনা আর কপালে জোটেনি। তবে পড়াশোনার অনেক শখ ছিল বলে জানান এই শিশু শ্রমিক।

 এ ব্যপারে শিশুদের নিয়ে কাজ করে এমন একটি সংস্থার এক কর্মকর্তা জানান, শিশুরা যাতে ঝুঁকিপূর্ন কাজে না জড়াতে পারে সেজন্য আমরা মাঠ পর্যায়ে নানা ধরনের কাজ করে যাচ্ছি। তাদের জন্য নানা ধরনের বিনোদন মূলক অনুষ্ঠানসহ পড়াশুনার ব্যবস্থা করছি। কিন্তু এসব শিশুরা পরিবারের আর্থিক যোগান দিতে বাধ্য হয়ে কাজে যোগ দিচ্ছে। ফলে কোন ভাবেই শিশু শ্রম রোধ করা যাচ্ছে না। এরজন্য তারা বিভিন্ন দোকান মালিক ও ব্যবসায়ীদেরকেও অনেকটা দায় রয়েছে বলে মেন করেন তারা। খরচ কমাতে শিশুদের ঝুঁকিপূর্ন কাজে নিয়োগ দেন মালিকরা।

জেলায় বেসরকারীভাবে কিছু সংস্থা এসব শিশুদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে, তবে তা যথেষ্ট নয়। তাই সরকারিভাবে উদ্যোগ নিলে শিশু শ্রম অনেকাংশে কমে যাবে। একইসঙ্গে শিশুদের ঝুঁকিপূর্ন কাজ থেকে বিরত রাখতে পরিবারকে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠনের তৎপরতা বৃদ্ধি করতে হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সাব্বির বাবু/ইবিটাইমস/এমএন

জনপ্রিয়

রাস্তার মাঝে বিদ্যুতের খুঁটি, ভোগান্তিতে এলাকাবাসী

Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

ভোলায় দিন দিন বাড়ছে শিশুশ্রম

আপডেটের সময় ০১:১০:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুন ২০২১

ভোলা প্রতিনিধি: ভোলায় গত কয়েক বছরে বেড়েছে শিশুশ্রম। জেলার প্রায় সব জায়গাতেই দেখা যায় শিশুদের দিয়ে নানান কাজ করানো হচ্ছে। খাবার হোটেল থেকে শুরু করে রিক্সা, ভ্যান, বাসগাড়ি , অটোচালক, লেদ মেশিন চালনা, ভাঙ্গারি সংগ্রহ, ওয়ার্কশপ, ইটের ভাটা সহ নানা কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে শিশুদের। বয়সের সাথে সামঞ্জস্য নয় এমন সব কাজ করতে গিয়ে অহরহ ঘটছে নানা দূর্ঘটনা।

শিশুদের এসব নানা ঝুঁকিপূর্ন কাজে ব্যবহারের জন্য দারিদ্রতাকে দায়ী করছেন সংশ্লীষ্টরা। কেননা বেশির ভাগ পরিবারই মাথাপিছু আয়ের নিচে বসবাস করছে।

স্থানীয় এক রিকশা চালক জানান, সংসারে আর্থিক সচ্ছলতা না থাকায় ছেলেদের দিয়ে কাজ করাতে বাধ্য হচ্ছি। বড় ছেলে নির্মান শ্রমিক আর ছোট ছেলে একটি দোকানে কাজ করে। পড়াশুনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, বড় ছেলেটা ৭ম শ্রেনী পর্যন্ত পড়েছিল এরপর আর পড়াশুনা করানো হয়নি। আর ছোট ছেলে কাজের পাশাপাশি পড়াশুনা করছে।

এদিকে, জেলার পরানগঞ্জ বাজার সংলগ্ন একটি ওয়ার্কশপ শিশু শ্রমিক আরিফ (১২) জানায়, ছোট বেলা থেকেই এখানে কাজ করছে সে। বাবা-মার সর্ম্পক বিচ্ছেদের কারণে কম বয়সেই তাকে মা এখানে কাজে দিয়ে যায়। পড়াশুনা আর কপালে জোটেনি। তবে পড়াশোনার অনেক শখ ছিল বলে জানান এই শিশু শ্রমিক।

 এ ব্যপারে শিশুদের নিয়ে কাজ করে এমন একটি সংস্থার এক কর্মকর্তা জানান, শিশুরা যাতে ঝুঁকিপূর্ন কাজে না জড়াতে পারে সেজন্য আমরা মাঠ পর্যায়ে নানা ধরনের কাজ করে যাচ্ছি। তাদের জন্য নানা ধরনের বিনোদন মূলক অনুষ্ঠানসহ পড়াশুনার ব্যবস্থা করছি। কিন্তু এসব শিশুরা পরিবারের আর্থিক যোগান দিতে বাধ্য হয়ে কাজে যোগ দিচ্ছে। ফলে কোন ভাবেই শিশু শ্রম রোধ করা যাচ্ছে না। এরজন্য তারা বিভিন্ন দোকান মালিক ও ব্যবসায়ীদেরকেও অনেকটা দায় রয়েছে বলে মেন করেন তারা। খরচ কমাতে শিশুদের ঝুঁকিপূর্ন কাজে নিয়োগ দেন মালিকরা।

জেলায় বেসরকারীভাবে কিছু সংস্থা এসব শিশুদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে, তবে তা যথেষ্ট নয়। তাই সরকারিভাবে উদ্যোগ নিলে শিশু শ্রম অনেকাংশে কমে যাবে। একইসঙ্গে শিশুদের ঝুঁকিপূর্ন কাজ থেকে বিরত রাখতে পরিবারকে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠনের তৎপরতা বৃদ্ধি করতে হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সাব্বির বাবু/ইবিটাইমস/এমএন