ট্রাম্প বলেছেন যে তিনি অত্যাধুনিক F-35 যুদ্ধবিমান কেনার জন্য সৌদি আরবের অনুরোধ বিবেচনা করছেন
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে বহনকারী এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, রিয়াদ লকহিড মার্টিনের তৈরি উন্নত মার্কিন যুদ্ধবিমান কেনার ব্যাপারে জোরালো আগ্রহ প্রকাশ করেছে। “তারা অনেক জেট কিনতে চায় বলে জানান তিনি”। “তারা আমাকে এটি দেখতে বলেছে। তারা অনেক ’35’ কিনতে চায় কিন্তু তারা আসলে সেই যুদ্ধবিমানের চেয়েও বেশি কিছু কিনতে চায়।”
উল্লেখ্য যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ১৮ নভেম্বর ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের হোয়াইট হাউস সফরের আগে সৌদি আরবের F-35 স্টিলথ জেট কেনার অনুরোধ বিবেচনা করছেন। আগামী ১৮ নভেম্বর ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের হোয়াইট হাউস সফরের কয়েকদিন আগে।
যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে গণমাধ্যম ব্লুমবার্গ জানিয়েছে যে, ট্রাম্প এবং যুবরাজ সৌদি আরবকে এই সফরের সময় F-35 কিনতে সক্ষম করে এমন একটি চুক্তিতে পৌঁছাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা বলেন, দুজনেই অর্থনৈতিক ও প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরের পরিকল্পনা করছেন, যার মধ্যে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস ক্রয়ের চুক্তিও রয়েছে।
ট্রাম্প বলেন, আলোচনায় রিয়াদের সাথে বৃহত্তর কূটনৈতিক আলোচনাও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। “আব্রাহাম চুক্তিও এর অংশ হবে,” তিনি বলেন। “আমি আশা করি, আমরা আলোচনা করব যে সৌদি আরব খুব শীঘ্রই আব্রাহাম চুক্তিতে প্রবেশ করবে।”
এফ-৩৫ লাইটনিং ২ (F-35 Lightning II) একটি একক-আসন বিশিষ্ট, একক-ইঞ্জিন এবং স্টেল্থ (stealth) প্রযুক্তির যুদ্ধবিমান, যা লকহিড মার্টিন
তৈরি করেছে। এটি আকাশ যুদ্ধ এবং ভূমি-আক্রমণ উভয় কাজেই পারদর্শী। এটি বিশ্বের অন্যতম আধুনিক এবং মারাত্মক যুদ্ধবিমান হিসেবে পরিচিত।
বৈশিষ্ট্য: স্টেল্থ প্রযুক্তি: এটি রাডারকে ফাঁকি দিতে সক্ষম, যা এটিকে সনাক্ত করা কঠিন করে তোলে।
বহুমুখীতা: এটি আকাশে আধিপত্য বিস্তার (air superiority) এবং ভূমি-আক্রমণ (strike) উভয় উদ্দেশ্যেই ব্যবহার করা যায়। ইলেকট্রনিক যুদ্ধ: এটি ইলেকট্রনিক যুদ্ধ এবং গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের জন্য উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে।
বিভিন্ন সংস্করণ: যুক্তরাষ্ট্র বিমান বাহিনী, মেরিন কর্পস এবং নৌবাহিনীর জন্য এর নিজস্ব সংস্করণ রয়েছে।
ব্যবহার এবং আন্তর্জাতিক অংশীদার: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র: যুক্তরাষ্ট্র বিমান বাহিনী, মেরিন কর্পস এবং নৌবাহিনী এই বিমান ব্যবহার করে।
আন্তর্জাতিক অংশীদার: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, অস্ট্রেলিয়া, নরওয়ে, ডেনমার্ক এবং কানাডা সহ আটটি আন্তর্জাতিক অংশীদার এই প্রোগ্রামটি প্রতিষ্ঠা করেছে।
ব্যবহারকারী দেশ: ইসরায়েলসহ বেশ কয়েকটি দেশ এই বিমান ব্যবহার করে।
অন্যান্য তথ্য: এফ-৩৫ বিমানটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দ্বারা তৈরি এবং এর দাম প্রায় $১০ কোটি ডলার। এটি বিশ্বের সবচেয়ে মারাত্মক এবং সংযুক্ত যুদ্ধবিমানগুলির মধ্যে একটি।
কবির আহমেদ/ইবিটাইমস





















