আগামী সপ্তাহে হোম সেক্রেটারি শাবানা মাহমুদ বৃটিশ সংসদে নতুন অভিবাসন সংস্কার পরিকল্পনা উপস্থাপন করবেন
ইউরোপ ডেস্কঃ শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) যুক্তরাজ্যের হোম অফিসের (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়) একাধিক সূত্র জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাজ্যে “অতিরিক্ত উদারতা ও সহজে থেকে যাওয়ার সুযোগ” বহিষ্কারের প্রক্রিয়াকে জটিল করে তুলেছে। প্রশাসনিক বাধা ও আইনি জটিলতার কারণে অবৈধ অভিবাসীদের ফিরিয়ে দেওয়াও অত্যন্ত দুরূহ হয়ে উঠেছিল। ফলে সরকার এখন আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য কঠোর পথ তৈরি করতে চায়।
এই সংস্কার পরিকল্পনা মূলত ডেনমার্কসহ বিভিন্ন ইউরোপীয় দেশের কঠোর অভিবাসন নীতির অনুসরণে তৈরি করা হয়েছে। আশ্রয় প্রক্রিয়া কঠিন করা এবং অবৈধ অভিবাসীদের দ্রুত ফেরানোর ওপর এই নীতির মূল জোর।
ইতোমধ্যে লেবার সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে প্রায় ৫০ হাজার অবৈধ অভিবাসীকে যুক্তরাজ্য থেকে প্রত্যাবাসন বা নির্বাসন করা হয়েছে বলে হোম অফিস জানিয়েছে। এটি কনজারভেটিভ সরকারের আমলের আগের ১৬ মাসের তুলনায় ২৩ শতাংশ বেশি। নতুন সংখ্যাটি সরকারকে আরও কঠোর নীতি গ্রহণে উৎসাহিত করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যের নতুন নীতি ডেনমার্কের সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট সরকারের মডেল অনুসরণ করবে। দেশটি গত এক দশকে ইউরোপের অন্যতম কঠোর আশ্রয়নীতি চালু করে আশ্রয়-আবেদনকে ৪০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামিয়ে এনেছে। ডেনমার্কে শরণার্থীদের সাধারণত দুই বছরের অস্থায়ী বসবাসের অনুমতি দেওয়া হয় এবং মেয়াদ শেষে কার্যত নতুন করে আশ্রয় আবেদন করতে হয়। পুনর্বাসন বা নাগরিকত্ব পাওয়ার পথও সেখানে ক্রমাগত কঠিন করা হয়েছে।
এমনকি চার বছর আগে ডেনমার্ক সরকার যুদ্ধ চলাকালে দামেস্কের কিছু অংশকে “নিরাপদ” ঘোষণা করে প্রায় ২০০ সিরীয় শরণার্থীকে দেশে ফেরানোর উদ্যোগ নেয়। যুক্তরাজ্যের কর্মকর্তারা সম্প্রতি ডেনমার্ক সফর করে তাদের কঠোর মডেল সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করেছেন এবং সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন নীতি তৈরি হচ্ছে।
পরবর্তী সোমবার শাবানা মাহমুদ এসব পরিকল্পনা নিয়ে সংসদে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেবেন। তবে কনজারভেটিভ দল দাবি করছে, ছোট নৌকায় আসা অভিবাসীদের প্রবাহ বন্ধ করতে হলে রুয়ান্ডা-স্টাইলের নির্বাসন প্রকল্প পুনরায় চালু ছাড়া কার্যকর সমাধান সম্ভব নয়।
কবির আহমেদ/ইবিটাইমস




















