বাঁধন রায়, ঝালকাঠি : ধান সুপারি পান, এই নিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের ঝালকাঠি জেলা। ঝালকাঠি জেলার বিভিন্ন হাট বাজারগুলোতে সুপারি কেনাবেচা জমে উঠেছে। এর ধারাবাহিকতায় ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া সুপারি হাট বেশি জমে উঠেছে।
ঝালকাঠির রাজাপুর ও পিরোজপুরের কাউখালী অঞ্চলের সুপারি প্রধান এলাকার মধ্যবর্তী স্থানে এই হাটটি ব্যবহার করে। জেলা ও জেলার বাইরে থেকে শত শত কৃষক এবং পাইকার ভীড় জমাচ্ছেন এ হাটে । প্রতি হাটে কেনা-বেচা হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ লক্ষ টাকার সুপারী। এখান থেকে সুপারি কিনে পাইকাররা পাঠাচ্ছেন দেশের বিভিন্ন স্থানে, যাচ্ছে বিদেশেও। কেউ কেউ আগামীতে বিক্রির আশায় সংরক্ষণ করে রাখছেন। চলতি মৌসুমে ফলন এবং দাম ভাল থাকায় খুসি চাষিরা। ঝালকাঠি জেলায় চলতি মৌশুমে ৪৮০ হেক্টরে সুপারির আবাদ হয়েছে। স্থানীয় ভাবে বাজারমূল্য ভাল হওয়ায় এ ফসলটি গ্রামীন অর্থনীতিতে রাখছে ব্যাপক অবদান।
পান বিলাসীদের কাছে সুপারী একটি অতি প্রয়োজনীয় ফল। এক সময় ফিলিপাইন ও নিকোবর থেকে আমদানীকৃত এশিয় পামগাছ এরিকা কাটচু জাতের এ ফলটি বাংলাদেশের প্রায় সব জেলায় আবাদ হলেও বরিশাল ও খুলনা বিভাগে বেশী জন্মে।
কৃষকরা জানিয়েছেন, একবার এ গাছ লাগালে তেমন কোন পরিচর্যা ছাড়াই ৩০-৩৫ বছর ফলন দেয়। আয় হয় ধানের চেয়ে তিন-চার গুন বেশী। তাই এ অঞ্চলের কৃষকরা সুপারি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। ঝালকাঠির সবচেয়ে বড় সুপারির হাটে রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়ার হাট। সপ্তাহে প্রতি মঙ্গলবারে বসে এ হাট। ভাদ্র থেকে কার্তিক মাস পর্যন্ত তিন মাসে প্রতি হাটে কেনাবেচা হয় ৫০ থেকে ৬০ লক্ষ টাকার সুপারি। পাইকাররা এখান থেকে সুপারী কিনে রাজশাহী, পাবনা, দিনাজপুর, ঝিনাইদাহসহ দেশের বিভিন্ন জেলা পাঠচ্ছেন। যাচ্ছে কেনাডা, সুইজারল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে।
দেশে এবং বিদেশে সুপারীর ব্যাপক চাহিদা থাকায় এর চাষ এবং ক্রয় বিক্রয়ের সাথে জড়িতরা লাভবান হচ্ছে। পরিকল্পিত চাষাবাদের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে যাতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখতে পারে সেজন্য কৃষিবিভাগ প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদানের পাশাপাশি দিচ্ছে নানান সহযোগীতা ।
ঢাকা/ইবিটাইমস/এসএস




















