শেখ ইমন, ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সুরাট বাজারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ইউনিয়ন অফিস থেকে সরকারি প্রণোদনার সার ও বীজ উদ্ধার করেছে কৃষি বিভাগ।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) মধ্যরাতে খবর পেয়ে ৮ প্যাকেট সরিষার বীজ, ৪ বস্তা ডিএপি সার, ৪ বস্তা পটাশ, ১ বস্তা এমওপি সার এবং ১৯ কেজি মসুর বীজ উদ্ধার করে।
প্রত্যক্ষদর্শী মঞ্জুরুল ইসলাম জোয়ারদার জানান, শুক্রবার রাতে জামায়াতের সাইনবোর্ড লাগানো অফিসে সরকারী সার ও বীজের মজুদ দেখতে পেয়ে স্থানীয় জনতা সেখানে ভীড় জমায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা মো. জুনায়েদ হাবীব ও সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ। তারা ইউনিয়ন জামায়াত কার্যালয়ে গিয়ে সার ও বীজের মজুদ দেখতে পান এবং উদ্ধার করে ঝিনাইদহে নিয়ে আসেন।
এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন, ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি ইকবাল হোসেন, ৬ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি সাইফুল ইসলাম, সেক্রেটারি মিঠু, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেন, কৃষক নাসির মণ্ডল, স্থানীয় বাসিন্দা লিয়াকত আলী, পাতা জোয়ারদার, আলম লস্কর ও ইউনিয়ন মহিলা দলের আহ্বায়ক মনোয়ারা খাতুন।
বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ সদর উপজলোর অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা জুনায়েদ হাবীব বলেন, “কৃষকের জন্য বরাদ্দকৃত সার বা বীজ রাজনৈতিক কার্যালয়ে মজুদ রাখার কোনো নিয়ম নেই। এটি স্পষ্ট অনিয়ম।” তিনি বলেন, সার ও বীজ কার জন্য বরাদ্দ ছিল তা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেন জানান, দলীয় অফিসে সরকারী বীজ ও সার রাখার নিয়ম যদি থাকে তবে সমস্যা নেই। আর যদি না থাকে তবে কৃষি বিভাগ আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারে। সেই বিষয়টি তিনি কৃষি বিভাগকে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা জামায়াতের আমির ড. হাবিবুর রহমান বলেন, এই সারগুলো বিতরণ করতে করতে রাত হয়ে গিয়েছিল। যার কারণে অফিসে রাখা হয়েছিল। শনিবার সেগুলো বিতরণের কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা কৃষি বিভাগকে অবহিত করে এ ধরনের সার উদ্ধারের কথা মিডিয়ায় প্রচার করছে। এই সারগুলো আত্মসাৎ কিংবা অন্য কোন উদ্দেশ্যে রাখা হয়নি। তিনি মনে করেন জামায়াতের জনপ্রিয়তায় ইর্শ্বান্বিত হয়ে প্রতিপক্ষরা অপপ্রচার চালাচ্ছে। এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে জামায়াত সুরাট বাজারে বিক্ষাভ সমাবেশের ডাক দিয়েছে।
ঢাকা/ইবিটাইমস/এসএস










