ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার রাফাতে গতকাল মঙ্গলবার এক ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) মধ্যপ্রাচ্যের গণমাধ্যম মিডেল ইস্ট আইয়ের এক প্রতিবেদনে এতথ্য জানানো হয়। ইসরায়েলি সেনা নিহতের এই ঘটনার জেরে রাতেই গাজায় ‘তাৎক্ষণিক’ ও ‘শক্তিশালী’ হামলার নির্দেশ দেন যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
তার নির্দেশের কয়েক ঘণ্টা পর গাজায় নতুন করে বর্বরতা শুরু করে দখলদার সেনারা। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, তাদের ওই সেনাকে হত্যা করে হামাস যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। তাই পাল্টা হামলা চালানো হয়েছে।
তবে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ওয়াল্লা জানিয়েছে, যেসব ফিলিস্তিনি যোদ্ধা ওই ইসরায়েলি সেনাকে হত্যা করেছে তাদের সঙ্গে হামাসের কোনও যোগাযোগ
বা সম্পর্ক নেই।
সংবাদমাধ্যমটি আরও জানায়,ওই যোদ্ধারা রাফার আল-জানিনার একটি সুড়ঙ্গের ভেতর ছিলেন। এ স্থানটি বর্তমানে ইসরায়েলি সেনাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
গতকাল দখলদারদের সেনারা সেখানে ভারী যন্ত্রাংশ দিয়ে সুড়ঙ্গ এবং অন্যান্য অবকাঠামো ধ্বংস করছিল। তখন ওই সুড়ঙ্গের ভেতর থাকা যোদ্ধারা ওপরে এসে ইসরায়েলের সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।
ওয়াল্লা বলেছে, সুড়ঙ্গটি যখন ভেঙে পড়ছিল তখনই যোদ্ধারা বের হয়ে আসেন। এর সঙ্গে হামাসের নেতৃবৃন্দের অথবা ইচ্ছাকৃত হামলা চালিয়ে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। ধারণা করা হচ্ছে, ওই সুড়ঙ্গের ভেতর এসব যোদ্ধা কয়েক মাস ধরে অবস্থান করছিলেন। আর সেখান থেকে যোদ্ধাদের বের হতে দেখে ইসরায়েলি সেনারাও চমকে যায়। কিন্তু নেতানিয়াহু হামাসের ওপর এর দায়ভার চাপিয়ে গাজায় ব্যাপক হামলার নির্দেশ দেয়। এতে করে ১০৪ ফিলিস্তিনি বিনাদোষে প্রাণ হারিয়েছেন।
একদিনে শতাধিক মানুষকে হত্যার পর দখলদাররা আবারও বুধবার থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের ঘোষণা দিয়েছে।
কবির আহমেদ/ইবিটাইমস



















