ভিয়েনা ০৮:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লিবিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন ১৭৪ বাংলাদেশি

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৭:৩১:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫
  • ১১৫ সময় দেখুন

উত্তর আফ্রিকার ভূমধ্যসাগরীয় দেশ লিবিয়ায় আটক, নির্যাতন ও অপহরণের শিকার ১৭৪ বাংলাদেশি অবশেষে দেশে ফিরেছেন

ইবিটাইমস ডেস্কঃ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে বাংলাদেশি অভিবাসীদের বহনকারী বুরাক এয়ারের ফ্লাইটটি ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

আগের দিন, লিবিয়ার মিসরাতা বিমান বন্দর থেকে ১৭৪ বাংলাদেশি দেশের পথে রওনা হয়েছেন। বিষয়টি অভিবাসন বিষয়ক সংবাদমাধ্যম ইনফো মাইগ্রেন্টসকে নিশ্চিত করেছেন লিবিয়ার ত্রিপোলিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের একজন কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছে, বাংলাদেশ ও লিবিয়ার যৌথ প্রচেষ্টা এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)-এর সহযোগিতায় বাংলাদেশি অভিবাসীদের দেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে।

দূতাবাস আরও জানিয়েছে, প্রত্যাবাসিত অভিবাসীদের মধ্যে ২১ বাংলাদেশি তাজুরা ডিটেনশন সেন্টারে আটক ছিলেন। অপর ১৫৩ জন বিপদগ্রস্ত অবস্থায় মিসরাতা ও আশপাশের শহরগুলোতে কোনোরকম বসবাস করছিলেন। ১৭৪ জনের সবাইকে স্বেচ্ছায় নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে৷

অভিবাসীদের মধ্যে নয় জন শারিরীকভাবে অসুস্থ ছিলেন বলেও জানিয়েছে বাংলাদেশ দূতাবাস। লিবিয়ার মিসরাতা থেকে স্বেচ্ছায় দেশে ফিরতে চাওয়া অভিবাসীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাদের বিদায় জানান দেশটিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মুহাম্মদ খায়রুল বাশার। এ সময় দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশি অভিবাসীদের সতর্ক করে রাষ্ট্রদূত এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, অনিয়মিতভাবে বিদেশে যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ এবং তাতে নিজের জীবন, পরিবার
ও দেশের সুনাম সবকিছুই ক্ষতির মুখে পড়ে।

অনিয়মিত অভিবাসনের ঝুঁকি ও এর নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা তৈরির জন্য প্রত্যাবাসিত অভিবাসীদের ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান আবুল হাসনাত মুহাম্মদ খায়রুল বাশার। একই সঙ্গে দেশে ফিরে পাচারকারী চক্রের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতেও বাংলাদেশি অভিবাসীদের পরামর্শ দেন তিনি।

স্বেচ্ছায় দেশে ফেরার ইচ্ছা জানিয়ে দূতাবাসে আবেদন জমা দেন এসব বাংলাদেশিরা। এরপর দূতাবাস তাদের প্রত্যেকের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরি করে আইওএম কার্যালয়ে নিবন্ধনের ব্যবস্থা করে।

এর আগে, গত ২৪ অক্টোবর স্বেচ্ছায় দেশে ফিরেছেন লিবিয়ায় অনিয়মিতভাবে অবস্থানরত ৩০৯ জন বাংলাদেশি। গত ২৩ অক্টোবর ত্রিপোলি থেকে একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন তারা। পরদিন সকালে তারা দেশে পৌঁছেছেন।

দূতাবাসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আগামী ৩০ অক্টোবর লিবিয়ায় অনিয়মিত অবস্থায় বসবাসরত আরো ৩০৯ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানো হবে।

উল্লেখ্য যে,অক্টোবরের শুরুর দিকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা রিলিফওয়েবের সর্বশেষ জরিপে বলা হয়েছে, বিশ্বের ৪৫টি দেশের মোট আট লাখ ৯৪ হাজার ৮৯০ জন অভিবাসী লিবিয়া অবস্থান করছেন। তাদের মধ্যে বাংলাদেশি অভিবাসীর সংখ্যা ২০ হাজার ৩৯২ জন।

প্রসঙ্গত,বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ইউরোপ বিশেষ করে সমুদ্রপথে ইতালির কথা বলে দেশের এক শ্রেণীর অসুদোপায়ী মানবপাচারকারী মোটা
অংকের অর্থের বিনিময়ে এসমস্ত বাংলাদেশীদের লিবিয়ায় এনে জড়ো করেছিল।

কবির আহমেদ/ইবিটাইমস 

জনপ্রিয়
Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

লিবিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন ১৭৪ বাংলাদেশি

আপডেটের সময় ০৭:৩১:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫

উত্তর আফ্রিকার ভূমধ্যসাগরীয় দেশ লিবিয়ায় আটক, নির্যাতন ও অপহরণের শিকার ১৭৪ বাংলাদেশি অবশেষে দেশে ফিরেছেন

ইবিটাইমস ডেস্কঃ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে বাংলাদেশি অভিবাসীদের বহনকারী বুরাক এয়ারের ফ্লাইটটি ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

আগের দিন, লিবিয়ার মিসরাতা বিমান বন্দর থেকে ১৭৪ বাংলাদেশি দেশের পথে রওনা হয়েছেন। বিষয়টি অভিবাসন বিষয়ক সংবাদমাধ্যম ইনফো মাইগ্রেন্টসকে নিশ্চিত করেছেন লিবিয়ার ত্রিপোলিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের একজন কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছে, বাংলাদেশ ও লিবিয়ার যৌথ প্রচেষ্টা এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)-এর সহযোগিতায় বাংলাদেশি অভিবাসীদের দেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে।

দূতাবাস আরও জানিয়েছে, প্রত্যাবাসিত অভিবাসীদের মধ্যে ২১ বাংলাদেশি তাজুরা ডিটেনশন সেন্টারে আটক ছিলেন। অপর ১৫৩ জন বিপদগ্রস্ত অবস্থায় মিসরাতা ও আশপাশের শহরগুলোতে কোনোরকম বসবাস করছিলেন। ১৭৪ জনের সবাইকে স্বেচ্ছায় নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে৷

অভিবাসীদের মধ্যে নয় জন শারিরীকভাবে অসুস্থ ছিলেন বলেও জানিয়েছে বাংলাদেশ দূতাবাস। লিবিয়ার মিসরাতা থেকে স্বেচ্ছায় দেশে ফিরতে চাওয়া অভিবাসীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাদের বিদায় জানান দেশটিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মুহাম্মদ খায়রুল বাশার। এ সময় দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশি অভিবাসীদের সতর্ক করে রাষ্ট্রদূত এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, অনিয়মিতভাবে বিদেশে যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ এবং তাতে নিজের জীবন, পরিবার
ও দেশের সুনাম সবকিছুই ক্ষতির মুখে পড়ে।

অনিয়মিত অভিবাসনের ঝুঁকি ও এর নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা তৈরির জন্য প্রত্যাবাসিত অভিবাসীদের ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান আবুল হাসনাত মুহাম্মদ খায়রুল বাশার। একই সঙ্গে দেশে ফিরে পাচারকারী চক্রের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতেও বাংলাদেশি অভিবাসীদের পরামর্শ দেন তিনি।

স্বেচ্ছায় দেশে ফেরার ইচ্ছা জানিয়ে দূতাবাসে আবেদন জমা দেন এসব বাংলাদেশিরা। এরপর দূতাবাস তাদের প্রত্যেকের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরি করে আইওএম কার্যালয়ে নিবন্ধনের ব্যবস্থা করে।

এর আগে, গত ২৪ অক্টোবর স্বেচ্ছায় দেশে ফিরেছেন লিবিয়ায় অনিয়মিতভাবে অবস্থানরত ৩০৯ জন বাংলাদেশি। গত ২৩ অক্টোবর ত্রিপোলি থেকে একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন তারা। পরদিন সকালে তারা দেশে পৌঁছেছেন।

দূতাবাসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আগামী ৩০ অক্টোবর লিবিয়ায় অনিয়মিত অবস্থায় বসবাসরত আরো ৩০৯ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানো হবে।

উল্লেখ্য যে,অক্টোবরের শুরুর দিকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা রিলিফওয়েবের সর্বশেষ জরিপে বলা হয়েছে, বিশ্বের ৪৫টি দেশের মোট আট লাখ ৯৪ হাজার ৮৯০ জন অভিবাসী লিবিয়া অবস্থান করছেন। তাদের মধ্যে বাংলাদেশি অভিবাসীর সংখ্যা ২০ হাজার ৩৯২ জন।

প্রসঙ্গত,বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ইউরোপ বিশেষ করে সমুদ্রপথে ইতালির কথা বলে দেশের এক শ্রেণীর অসুদোপায়ী মানবপাচারকারী মোটা
অংকের অর্থের বিনিময়ে এসমস্ত বাংলাদেশীদের লিবিয়ায় এনে জড়ো করেছিল।

কবির আহমেদ/ইবিটাইমস