ভিয়েনা ০৫:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লালমোহনে বিদ্যুতের ট্রান্সফর্মার বিক্রি কাণ্ডের মূলহোতা ধরা ছোঁয়ার বাইরে

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০২:১১:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
  • ৬৯ সময় দেখুন

ইউসুফ আহমেদ, বিশেষ প্রতিনিধি : ভোলার লালমোহন থেকে পল্লী বিদ্যুতের ৩১টি ট্রান্সফর্মার বিক্রির উদ্দেশে খুলনা নেওয়ার পথে বরিশালে আটক হলেও মূল অভিযুক্ত ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে।

অন্যদিকে লালমোহন জোনাল অফিস ও অভিযুক্ত ঠিকাদার আটককৃত ট্রান্সফরমারগুলো অকেজো দেখানোর পাঁয়তারা করছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। ধরা পরার কারণে এই দফা ৩১টি ট্রান্সফর্মার জব্দ হলেও এর আগেও এভাবে গোপনে ট্রান্সফর্মার বিক্রি হতো কি না তা নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠেছে। এদিকে এ ঘটনায় অনুসন্ধানের জন্য ৩ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন আদালত। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ও পিডিবি’র প্রতিনিধি নিয়ে ৩ সদস্যবিশিষ্ট এই কমিটি গঠন করা হয়।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর লালমোহন থেকে খুলনা নেওয়ার পথে বরিশাল বিমানবন্দর থানা এলাকায় পুলিশের হাতে ৩১টি ট্রান্সফরমারসহ একটি ট্রাক জব্দ হয়। বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় ট্রাকে থাকা দুই ব্যক্তি, খুলনার সোনাডাঙ্গা থানার শওকত হোসেনের ছেলে মো. সজল ও ভোলার শশীভূষণ থানার ইসমাইল সরদারের ছেলে মো. হাসানকে ওই সময় গ্রেফতার করা হয়।

ওই ঠিকাদার চরফ্যাশন উপজেলার চেয়ারম্যান হাট এলাকার নুর মোহাম্মদের ছেলে। তিনি চরফ্যাশন ও লালমোহন উপজেলার পল্লী বিদ্যুতের ঠিকাদারি কাজে নিয়োজিত। সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রের দাবী শুধু ঠিকাদার এককভাবে এগুলো এক এলাকার মালামাল অন্য এলাকায় নিতে সাহস করে না। এর সাথে অফিসের কেউ না কেউ সংশ্লিষ্ট থাকতে পারে। পল্লী বিদ্যুতের এসব মালামাল অন্য এলাকায় নেওয়া নিয়মবহির্ভূত বলে জানায় সংশ্লিষ্টরা।

সূত্র মতে ঠিকাদারের এসব ট্রান্সফর্মার লাগানোর কাজে তদারকি করার কথা লালমোহন পল্লী বিদ্যুতের এজিএম (অপারেশন) খালেদ মাসুদ মজুমদার ও জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারের। উত্তোলনকৃত ট্রান্সফর্মার ও প্রয়োজনীয় মালামাল কোথায় কীভাবে লাগানো হয়, তার রিপোর্ট দেবেন তারা। ওই রিপোর্টের পর ডিজিএম স্বাক্ষর করে ভোলা অফিসে পাঠালে বিল উত্তোলন করেন ঠিকাদার। কিন্তু এরপরও কীভাবে ৩১টি ট্রান্সফর্মার খুলনায় নিয়ে যাওয়া হলো এবং এর সাথে আর কে কে জড়িত থাকতে পারে, তার সঠিক তদন্ত করার দাবি করেন লালমোহনের গ্রাহকগণ।

লালমোহন থানার ওসি মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, মামলার তদন্ত চলমান রয়েছে। আসল অপরাধীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। তদন্তের অংশ হিসেবে লালমোহন জোনাল অফিসকে পত্র দেওয়া হয়েছে, বিস্তারিত তথ্য দেওয়ার জন্য।

লালমোহন জোনাল অফিসের ডিজিএম মাহমুদুল হাসান জানান, উদ্ধার হওয়া ট্রান্সফরমারগুলো লালমোহন থেকে নিয়ে যাওয়ার কারণে চুরির মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার তদন্তে যে-ই অপরাধের সাথে যুক্ত আছে বলে প্রমাণিত হবে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
ঢাকা/ইবিটাইমস/এসএস

Tag :
জনপ্রিয়
Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

লালমোহনে বিদ্যুতের ট্রান্সফর্মার বিক্রি কাণ্ডের মূলহোতা ধরা ছোঁয়ার বাইরে

আপডেটের সময় ০২:১১:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫

ইউসুফ আহমেদ, বিশেষ প্রতিনিধি : ভোলার লালমোহন থেকে পল্লী বিদ্যুতের ৩১টি ট্রান্সফর্মার বিক্রির উদ্দেশে খুলনা নেওয়ার পথে বরিশালে আটক হলেও মূল অভিযুক্ত ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে।

অন্যদিকে লালমোহন জোনাল অফিস ও অভিযুক্ত ঠিকাদার আটককৃত ট্রান্সফরমারগুলো অকেজো দেখানোর পাঁয়তারা করছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। ধরা পরার কারণে এই দফা ৩১টি ট্রান্সফর্মার জব্দ হলেও এর আগেও এভাবে গোপনে ট্রান্সফর্মার বিক্রি হতো কি না তা নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠেছে। এদিকে এ ঘটনায় অনুসন্ধানের জন্য ৩ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন আদালত। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ও পিডিবি’র প্রতিনিধি নিয়ে ৩ সদস্যবিশিষ্ট এই কমিটি গঠন করা হয়।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর লালমোহন থেকে খুলনা নেওয়ার পথে বরিশাল বিমানবন্দর থানা এলাকায় পুলিশের হাতে ৩১টি ট্রান্সফরমারসহ একটি ট্রাক জব্দ হয়। বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় ট্রাকে থাকা দুই ব্যক্তি, খুলনার সোনাডাঙ্গা থানার শওকত হোসেনের ছেলে মো. সজল ও ভোলার শশীভূষণ থানার ইসমাইল সরদারের ছেলে মো. হাসানকে ওই সময় গ্রেফতার করা হয়।

ওই ঠিকাদার চরফ্যাশন উপজেলার চেয়ারম্যান হাট এলাকার নুর মোহাম্মদের ছেলে। তিনি চরফ্যাশন ও লালমোহন উপজেলার পল্লী বিদ্যুতের ঠিকাদারি কাজে নিয়োজিত। সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রের দাবী শুধু ঠিকাদার এককভাবে এগুলো এক এলাকার মালামাল অন্য এলাকায় নিতে সাহস করে না। এর সাথে অফিসের কেউ না কেউ সংশ্লিষ্ট থাকতে পারে। পল্লী বিদ্যুতের এসব মালামাল অন্য এলাকায় নেওয়া নিয়মবহির্ভূত বলে জানায় সংশ্লিষ্টরা।

সূত্র মতে ঠিকাদারের এসব ট্রান্সফর্মার লাগানোর কাজে তদারকি করার কথা লালমোহন পল্লী বিদ্যুতের এজিএম (অপারেশন) খালেদ মাসুদ মজুমদার ও জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারের। উত্তোলনকৃত ট্রান্সফর্মার ও প্রয়োজনীয় মালামাল কোথায় কীভাবে লাগানো হয়, তার রিপোর্ট দেবেন তারা। ওই রিপোর্টের পর ডিজিএম স্বাক্ষর করে ভোলা অফিসে পাঠালে বিল উত্তোলন করেন ঠিকাদার। কিন্তু এরপরও কীভাবে ৩১টি ট্রান্সফর্মার খুলনায় নিয়ে যাওয়া হলো এবং এর সাথে আর কে কে জড়িত থাকতে পারে, তার সঠিক তদন্ত করার দাবি করেন লালমোহনের গ্রাহকগণ।

লালমোহন থানার ওসি মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, মামলার তদন্ত চলমান রয়েছে। আসল অপরাধীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। তদন্তের অংশ হিসেবে লালমোহন জোনাল অফিসকে পত্র দেওয়া হয়েছে, বিস্তারিত তথ্য দেওয়ার জন্য।

লালমোহন জোনাল অফিসের ডিজিএম মাহমুদুল হাসান জানান, উদ্ধার হওয়া ট্রান্সফরমারগুলো লালমোহন থেকে নিয়ে যাওয়ার কারণে চুরির মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার তদন্তে যে-ই অপরাধের সাথে যুক্ত আছে বলে প্রমাণিত হবে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
ঢাকা/ইবিটাইমস/এসএস