পূর্ব লন্ডনের জনপ্রিয় রেস্টুরেন্ট উড ওভেন বিবিকিউ অ্যান্ড পিজ্জারিয়া–কে অবৈধ কর্মী নিয়োগের অভিযোগে ১২০,০০০ পাউন্ড জরিমানা করা হয়েছে
ইউরোপ ডেস্কঃ রোববার (২৬ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে এতথ্য জানা গেছে। বৃটিশ রয়্যাল সোসাইটির রিপোর্ট অনুযায়ী, এই জরিমানা করেছে যুক্তরাজ্যের হোম অফিস।
বর্তমানে উক্ত প্রতিষ্ঠানটির আবেদনের প্রেক্ষিতে হোম অফিস এই জরিমানা প্রতি মাসে ৩,৩৩৩ পাউন্ড করে কিস্তিতে পরিশোধ করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী এখনও রেস্টুরেন্টটির লাইসেন্স বাতিলের ঝুঁকি রয়ে গেছে।
রয়্যাল সোসাইটির রিপোর্ট অনুযায়ী, এই রেস্টুরেন্টে তিনজন বুলগেরিয়ান নারী কর্মী কাজ করছিলেন যাদের যুক্তরাজ্যে কাজ করার বৈধ অনুমতি ছিল না। তদন্তে জানা যায়, তাদের প্রতি সপ্তাহে কয়েক ঘণ্টা করে নগদ অর্থে পারিশ্রমিক (ক্যাশ-ইন-হ্যান্ড) দেওয়া হতো। হোম অফিস জানিয়েছে, এই তিনজনের মধ্যে দুজনকে ইতোমধ্যে বহিষ্কার করা হয়েছে, আর তৃতীয়জন এখনও পলাতক।
রেস্টুরেন্টটির মালিক আহমেদ নাম স্বীকার করেছেন যে এটি ছিল তার “প্রথম ও একমাত্র ভুল”। তিনি বলেন, “গত ২০ বছরের ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতায় আমি কখনও এমন ভুল করিনি। আমরা এখন আইন মেনে কাজ করছি, সব কর্মীর বৈধ ওয়ার্ক পারমিট রয়েছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যাকগ্রাউন্ড চেক সম্পন্ন হচ্ছে।”
শুনানিতে কাউন্সিল সদস্যরা প্রশ্ন তোলেন, ব্রেক্সিট–পরবর্তী সময়ে ইইউ নাগরিকদের জন্য যুক্তরাজ্যে কাজের ভিসা আবশ্যক তা মালিক জানতেন কি না। উত্তরে আহমেদ নাম বলেন, “আমি জানতাম না যে বুলগেরিয়ান নাগরিকদের জন্য কাজের অনুমতির প্রয়োজন।”
রেস্টুরেন্টের পক্ষে যুক্তি দেওয়া হয় যে, ঘটনাটি ছিল “ভুলবশত সংঘটিত” এবং ইচ্ছাকৃতভাবে আইন ভাঙার উদ্দেশ্যে নয়। তারা দাবি করেন, ব্রেক্সিট–এর পর ইইউ নাগরিকদের কর্মসংস্থান নিয়ে প্রচুর বিভ্রান্তি ছিল এবং সরকার থেকে যথাযথ নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।
রেস্টুরেন্টের পক্ষে সমর্থনে ৪০০টিরও বেশি চিঠি জমা পড়ে রেডব্রিজ কাউন্সিলে। এসব চিঠিতে রেস্টুরেন্টটির সামাজিক ভূমিকা, জনপ্রিয়তা ও মালিকের “সততা ও দায়িত্ববোধ” তুলে ধরা হয়েছে। তবে কাউন্সিলর সাইরা জামিল এই সমর্থনপত্রগুলোর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
হোম অফিসের প্রতিনিধি বলেন, তারা “সত্যিকারের কমিউনিটি ব্যবসা যেমন সফল রেস্টুরেন্টের কার্যক্রম অপ্রয়োজনে সীমাবদ্ধ করতে চায় না,” তবে এই ঘটনার মাধ্যমে পরিচালনার পদ্ধতি নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, রেস্টুরেন্টটির বিরুদ্ধে এর আগে কোনো লাইসেন্স লঙ্ঘনের রেকর্ড নেই।
কবির আহমেদ/ইবিটাইমস




















