গত দুই সপ্তাহে লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির পশ্চিমাঞ্চলীয় উপকুল থেকে ৬১টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ শনিবার (১২ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে লিবিয়া সরকার এই তথ্য জানিয়েছে। লিবিয়া সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ ইমার্জেন্সি মেডিসিন অ্যান্ড সাপোর্ট সেন্টারের পক্ষ থেকে বলা হয়, দেশটির তিউনিশিয়া সীমান্ত সংলগ্ন উপকূলীয় জুয়ারা ও রাস ইজদির অঞ্চল থেকে মৃতদেহগুলো উদ্ধার করা হয় ৷
কর্তৃপক্ষ জানায়, ‘‘মেলিতাহ অঞ্চল থেকে তিন জনের এবং জুয়ারা অঞ্চল থেকে ১২ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে৷ তাদের সবাই ছিলেন অভিবাসনপ্রত্যাশী ৷’’ তাছাড়া জুয়ারা অঞ্চলের আবু কামাশ এবং মেলিতাহ থেকে আরো ৩৪টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানানো হয় ৷
কর্তৃপক্ষ আরও জানায়,উদ্ধার করা এ সকল মৃতদেহের মধ্যে ১২ জনকে কবরস্থ করা হয়েছে৷ বাকি মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে ৷
লিবিয়ার উপকুলে নৌকাডুবিতে অনিয়মিত পথে ইউরোপের উদ্দেশ্যে যাত্রা করা অভিবাসীদের হতাহতের ঘটনা নতুন নয় ৷ গত সেপ্টেম্বরে লিবিয়ার উপকূলে ৭৫জন অভিবাসী নিয়ে যাত্রা করা একটি নৌকা ডুবে গেলে ৫০জন নিহত হন৷ নিহতরা সবাই আফ্রিকার দেশ সুদানের নাগরিক ৷
এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের হাজার হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী লিবিয়া উপকূল থেকে সমুদ্র পথে ইউরোপের পৌঁছানোর চেষ্টা করে থাকেন ৷ আর এ কারণে আফ্রিকার দেশ লিবিয়াকে ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন ৷
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) তথ্য মতে, লিবিয়াতে বর্তামানে বিশ্বের ৪৫টি দেশের প্রায় নয় লাখ শরণার্থী অবস্থান করছেন ৷ আইওএম আরও জানায়, চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ভূমধ্যসাগরে এক হাজারের বেশি মানুষ নিহত ও নিখোঁজ হয়েছেন ৷
বর্তমান নিহতদের মধ্যে কোনও বাংলাদেশী নাগরিক আছে কিনা তা এখনও জানা যায়নি। উল্লেখ্য যে, ইতালি সরকারের এখন পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে
সমুদ্র পথে ইতালিতে অনিয়মিত অভিবাসীদের মধ্যে বাংলাদেশ শীর্ষে রয়েছে।
কবির আহমেদ/ইবিটাইমস