ইউরোপীয় পলিটিক্যাল কমিউনিটি সম্মেলনে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের শীর্ষ নেতারা অনিয়মিত অভিবাসন মোকাবিলায় নতুন পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন
ইউরোপ ডেস্কঃ রোববার (৫ অক্টোবর) ইউরোপের অভিবাসন বিষয়ক সংবাদমাধ্যম ইনফোমাইগ্রেন্টস এতথ্য জানায়। তারা জানায়,সম্প্রতি ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেন শহরে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সম্মেলন শেষে অ্যান্ডোরা, অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, বুলগেরিয়া, সাইপ্রাস, চেক প্রজাতন্ত্র, ডেনমার্ক, জার্মানি, গ্রিস, ইটালি, মাল্টা, নেদারল্যান্ডস,
পোল্যান্ড, পর্তুগাল, রোমানিয়া, সুইডেন ও যুক্তরাজ্যের নেতারাসহ ইউরোপীয় কমিশনের সভাপতি এবং ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সভাপতির উপস্থিতিতে এ যৌথ বিবৃতি দেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, অভিবাসন সমস্যার জটিলতা সামলাতে “পুরো রুটকে কেন্দ্র করে ব্যবস্থা” নেওয়া হবে। দ্রুত পরিবর্তনশীল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নতুন ধরনের সমাধান খুঁজে বের করার প্রয়োজনীয়তাও নেতারা তুলে ধরেন। যৌথ ঘোষণায় জোর দেওয়া হয় মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া এবং বহিরাগত সীমান্তকে আরও সুরক্ষিত করার ওপর।
এজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সীমান্ত অতিক্রম করে কাজ করার ক্ষমতা, তথ্য এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ দেওয়ার কথা বলা হয়। পাচারকারী চক্রের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞাসহ নতুন পদক্ষেপ নিতেও সম্মত হয়েছেন নেতারা।
নেতারা বলেন, আইনগত কাঠামো এবং আশ্রয় ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে হবে, যাতে কোনোভাবে এর অপব্যবহার না হয়। ইউরোপীয় কনভেনশন অন হিউম্যান রাইটস ও শরণার্থী কনভেনশন যেন আধুনিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কার্যকরভাবে ব্যবহার করা হয় সে বিষয়েও গুরুত্ব দেওয়া হয়।
বিবৃতিতে স্পষ্ট করা হয়, অভিবাসন সমস্যার সমাধানে ফেরত পাঠানোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এ জন্য কূটনৈতিক সম্পর্ক, ভিসা নীতি, এবং তৃতীয় দেশগুলোর সঙ্গে নতুন চুক্তি ব্যবহার করে দ্রুত ফেরত পাঠানোর কার্যক্রম চালানো হবে।
সম্মেলনে বলা হয়, উৎস দেশ ও ট্রানজিট দেশগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করা হবে। উন্নয়ন, কর্মসংস্থান, শিক্ষা এবং স্বেচ্ছায় ফেরত যাওয়ার মতো কার্যক্রমে আন্তর্জাতিক সংস্থা যেমন আইওএম ও ইউএনএইচসিআর-এর কাজকে সমর্থন করা হবে।
সম্মেলনে অভিবাসন সংস্কারে প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী সমাধানকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। নেতারা বলেন, কার্যকর সীমান্ত সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হলে পুরনো ধাঁচের নীতি দিয়ে আর সম্ভব নয়। তাই নতুন কাঠামো, নতুন অংশীদারত্ব এবং আধুনিক ব্যবস্থা চালু করা হবে, যাতে মানবপাচারকারী চক্রের ব্যবসায়িক মডেল ধ্বংস করা যায় এবং অনিয়মিত অভিবাসন সীমিত করা যায়।
কবির আহমেদ/ইবিটাইমস