ইইউ এবং ন্যাটো জন্য একটি কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হতে পারে
ইউরোপ ডেস্কঃ সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) অস্ট্রিয়ার জনপ্রিয় গণমাধ্যম ক্রোনেন ছাইতুং (Kronen Zeitung) এর রাজনৈতিক কলামে এই নিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত বিশ্লেষণ প্রকাশিত হয়েছে।
গণমাধ্যমটি বলছে সাম্প্রতিক সময়ে পোল্যান্ড এবং ডেনমার্কে রাশিয়ান ড্রোন এবং এস্তোনিয়ান আকাশসীমায় রাশিয়ান যুদ্ধবিমান অনুপ্রবেশ ইউরোপের সামরিক দুর্বলতা প্রদর্শন করছে কী ?
অস্ট্রিয়ার সামরিক বিশেষজ্ঞ গেরহার্ড ম্যাঙ্গোট গণমাধ্যমটিকে জানান,রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইরানের তৈরি ড্রোন ব্যবহার করে বেশ সাফল্য পেয়েছে ইউক্রেনে।
রাশিয়ার প্রতিবেশী ইইউ দেশ সমূহ ড্রোন আক্রমণ প্রতিহত করার সক্ষমতার ঘাটতি সম্পর্কে রাশিয়া অবহিত। ইউরোপ কেবল ব্যয়বহুল সম্পদ দিয়ে সস্তা ড্রোন প্রতিরোধ করতে পারে। কিন্তু রাশিয়াকে এই আকাশসীমা লঙ্ঘন করতে কী অনুপ্রাণিত করছে ? তিনি সম্ভাব্য চারটি উদ্দেশ্য রয়েছে বলে মনে করছেন।
প্রথমত: রাশিয়া পরীক্ষা করতে চায় ন্যাটোর পূর্ব দিকের বিমান প্রতিরক্ষা কীভাবে এবং কত দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানাবে।
দ্বিতীয়ত: রাশিয়া ন্যাটোর রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া পরীক্ষা করতে চায়।
তৃতীয়ত: ন্যাটো জোটের আকাশসীমা লঙ্ঘনের প্রতিক্রিয়া কীভাবে জানানো হবে সে বিষয়ে জোটের দেশসমূহের চুক্তি কীভাবে কার্যকর হবে।
চতুর্থ: ন্যাটো জোটের ঐক্য পরীক্ষা করা। রাশিয়া দেখতে চাচ্ছে ন্যাটোর সদস্য রাষ্ট্রগুলির মধ্যে কোনও পার্থক্য স্পষ্ট হয়ে উঠে কিনা। যা ন্যাটোর প্রতিরোধমূলক প্রভাবকে দুর্বল করবে – তা অবশ্যই রাশিয়ার স্বার্থে ফলদায়ক হবে।
কবির আহমেদ/ইবিটাইমস