ইউরোপে মানবপাচারে জড়িত চক্রগুলোর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জোটের পুলিশ সংস্থা ইউরোপোল-এর বাজেট ও সক্ষমতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন কমিশন
ইউরোপ ডেস্কঃ রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ইউরোপের অভিবাসন বিষয়ক সংবাদমাধ্যম ইনফোমাইগ্রান্টস তাদের এক প্রতিবেদনে এতথ্য জানিয়েছে।
সম্প্রতি ইউরোপীয় কমিশন জানিয়েছে, ইউরোপে সক্রিয় মানবপাচারকারী চক্রগুলো ভেঙে দিতে ইউরোপোলের জন্য আরো বেশি পরিমাণ অর্থ, জনবল এবং সক্ষমতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ৷
ইইউর নির্বাহী সংস্থা জানিয়েছে, ইইউর সদস্য দেশগুলো এবং ইউরোপীয় পার্লামেন্টের আলোচকেরা ইউরোপোলের অ্যান্টি-স্মাগলিং সেন্টারের (ইএমএসসি) সম্প্রসারণে একমত হয়েছেন৷ এই কেন্দ্র এখন থেকে ইইউর বিচার সংস্থা ইউরোজাস্ট এবং ইইউর সীমান্ত সুরক্ষা সংস্থা ফ্রন্টেক্স-এর সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রেখে কাজ করবে ৷
এই ঘোষণার অধীনে, ইউরোপোল অতিরিক্ত ৫০ জন কর্মী এবং অতিরিক্ত পাঁচ কোটি ইউরো অর্থ পাবে৷ এর মধ্যে দুই কোটি ইউরো ব্যবহার করা হবে বায়োমেট্রিক তথ্য অর্থাৎ আঙুলের ছাপ ও মুখের অবয়ব সংগ্রহ ও সংরক্ষণ প্রক্রিয়ার উন্নতিতে ৷
ইউরোপোল-কে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে সদস্য রাষ্ট্রগুলোকেও তথ্য ভাগাভাগি করতে হবে জানিয়েছে ইউরোপীয় কমিশন ৷
বর্তমানে ইউরোপোলের কর্মী সংখ্যা এক হাজার চারশ ৷ নেদারল্যান্ডসের প্রশাসনিক রাজধানী হেগের সদরদপ্তর থেকে সংস্থাটি সংগঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ, সাইবার অপরাধ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে সহায়তা দিয়ে আসছে ৷
ইইউর অভিবাসন কমিশনার অস্ট্রিয়ার সাবেক অর্থমন্ত্রী ম্যাগনাস ব্রুনার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘‘এই বিধান আমাদের নতুন অভিবাসন ব্যবস্থার অংশ৷ কে বা কারা ইউরোপে আসবেন তা আমরা ঠিক করব, পাচারকারীরা নয় ৷’’
ইউরোপোলকে শক্তিশালী করার প্রস্তাবটি ইউরোপীয় কমিশন ২০২৩ সালের নভেম্বরে প্রথমবারের মতো উত্থাপন করেছিলো ৷ তবে বিষয়টি এখনও ইউরোপীয় পার্লামেন্ট এবং ইইউ কাউন্সিলের আনুষ্ঠানিক অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে ৷
কবির আহমেদ/ইবিটাইমস