ভিয়েনা ০৩:০৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ভোলা-৩ আসনে বিএনপি প্রার্থী হাফিজের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ সড়ক নির্মাণে অনিয়ম! বন্ধ থাকা কাজ শুরু করলেও জানেনা অফিস কর্তৃপক্ষ বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে আমরা আশাবাদী, তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন : ডা. জাহিদ ভোলা-৩ আসনে বিডিপি প্রার্থীর মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ নয়ানীগ্রাম যুব তাফসীর কমিটির উদ্যোগে দুই দিনের ইসলামী মহা সম্মেলন টাঙ্গাইলে ২৪ ঘণ্টায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ’লীগের ১৮ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার টিভিতে নির্বাচনি প্রচারে সকল প্রার্থীকে সমান সুযোগ দেয়ার নির্দেশ ইসির ঝিনাইদহে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ নাগরপুরে ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা মহান বিজয় দিবসে ঝালকাঠিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারকে সংবর্ধনা

৩৩ বছর ধরে বন্ধ লালমোহন পাবলিক লাইব্রেরি

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০২:৫৯:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ১২২ সময় দেখুন

জাহিদ দুলাল, ভোলা দক্ষিণ : ভোলার লালমোহনে ১৯৯০ সালের ১০ জানুয়ারি তৎকালীন ভোলা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহেম্মেদ লালমোহন পাবলিক লাইব্রেরিটি উদ্বোধন করেন। তখন মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহেম্মেদ এর একান্ত প্রচেষ্টায় ভোলা জেলা পরিষদ হতে লালমোহনে একটি দ্বিতল ভবনের পাবলিক লাইব্রেরি কাম অডিটরিয়াম নির্মাণ করা হয়।
উদ্বোধনের পর একজন লাইব্রেরিয়ান ও নিয়োগ দেয়া হয়। শুরু হওয়ার পর কয়েক মাস লালমোহন পাবলিক লাইব্রেরির কার্যক্রম ভালোভাবেই চালু ছিল। এলাকার লোকজন নিয়মিত সেখানে বই ও পেপার পড়ত। ছিল জমজমাট। কিন্তু ১৯৯৩ সালে লালমোহন মহিলা কলেজের কার্যক্রম পাবলিক লাইব্রেরি কাম অডিটরিয়ামে চালু করা হয়। তারপর থেকেই লালমোহন পাবলিক লাইব্রেরির কার্যক্রম স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে জেলা পরিষদ হতে লাইব্রেরীয়ান বিনা কাজে নিয়মিত বেতন ভোগ করে বর্তমানে অবসর জীবন যাবন করছেন।
২০১৮ সালে নিজস্ব ভবন তৈরি হওয়ার পর লালমোহন করিমুন্নেছা-হাফিজ মহিলা কলেজ লালমোহন পাবলিক লাইব্রেরি ভবন ছেড়ে তাদের নিজস্ব ভবনে চলে যায়। সেই থেকে লালমোহন পাবলিক লাইব্রেরিটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে। দীর্ঘদিন অব্যবহৃত থাকায় নোংরা আবর্জনা জমে পাবলিক লাইব্রেরি ভবন, আসে পাসের এলাকা এবং ভবনের পাশের একটি টিনশেড ধ্বংস স্তূপে পরিণত হয়েছে। এখন সেখানে গভীর রাতে চলে বিভিন্ন নেশাখোরদের আড্ডা।
এ ব্যাপারে বহুবার বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রচার করা হলেও কর্তৃপক্ষের কোনো টনক নড়েনি। এই বছর সেপ্টেম্বর মাসে একটি সাহায্যকারী ক্লাব অযত্ন অবহেলায় পড়ে থাকা লালমোহন পাবলিক লাইব্রেরি কাম অডিটরিয়াম এর কার্যক্রম শুরু করার লক্ষ্যে ভিতরের ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করার কাজ শুরু করে। তারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানা অফিসার ইনচার্জের সহায়তা কামনায় করে দেন দরবার করে। কিন্তু এখনো চালু হয়নি পাবলিক লাইব্রেরিটি।
লালমোহন পাবলিক লাইব্রেরিটি চালুর ব্যাপারে লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহ আজিজ বলেন, পাবলিক লাইব্রেরিটি চালু করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছি। ইতোমধ্যে জেলা পরিষদ থেকে ১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। শীঘ্রই এই টাকা দিয়ে বই কেনা হবে। এছাড়া লাইব্রেরি কক্ষটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা সহ বসার জন্য টেবিল ও চেয়ার ক্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। লাইব্রেরির বাইরে এলাকার চাহিদা অনুযায়ী বই কেনার বিষয়ে কেউ পরামর্শ দিলে তা সাদরে গ্রহণ করা হবে।
ঢাকা/ইবিটাইমস/এসএস

জনপ্রিয়

ভোলা-৩ আসনে বিএনপি প্রার্থী হাফিজের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ

Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

৩৩ বছর ধরে বন্ধ লালমোহন পাবলিক লাইব্রেরি

আপডেটের সময় ০২:৫৯:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জাহিদ দুলাল, ভোলা দক্ষিণ : ভোলার লালমোহনে ১৯৯০ সালের ১০ জানুয়ারি তৎকালীন ভোলা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহেম্মেদ লালমোহন পাবলিক লাইব্রেরিটি উদ্বোধন করেন। তখন মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহেম্মেদ এর একান্ত প্রচেষ্টায় ভোলা জেলা পরিষদ হতে লালমোহনে একটি দ্বিতল ভবনের পাবলিক লাইব্রেরি কাম অডিটরিয়াম নির্মাণ করা হয়।
উদ্বোধনের পর একজন লাইব্রেরিয়ান ও নিয়োগ দেয়া হয়। শুরু হওয়ার পর কয়েক মাস লালমোহন পাবলিক লাইব্রেরির কার্যক্রম ভালোভাবেই চালু ছিল। এলাকার লোকজন নিয়মিত সেখানে বই ও পেপার পড়ত। ছিল জমজমাট। কিন্তু ১৯৯৩ সালে লালমোহন মহিলা কলেজের কার্যক্রম পাবলিক লাইব্রেরি কাম অডিটরিয়ামে চালু করা হয়। তারপর থেকেই লালমোহন পাবলিক লাইব্রেরির কার্যক্রম স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে জেলা পরিষদ হতে লাইব্রেরীয়ান বিনা কাজে নিয়মিত বেতন ভোগ করে বর্তমানে অবসর জীবন যাবন করছেন।
২০১৮ সালে নিজস্ব ভবন তৈরি হওয়ার পর লালমোহন করিমুন্নেছা-হাফিজ মহিলা কলেজ লালমোহন পাবলিক লাইব্রেরি ভবন ছেড়ে তাদের নিজস্ব ভবনে চলে যায়। সেই থেকে লালমোহন পাবলিক লাইব্রেরিটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে। দীর্ঘদিন অব্যবহৃত থাকায় নোংরা আবর্জনা জমে পাবলিক লাইব্রেরি ভবন, আসে পাসের এলাকা এবং ভবনের পাশের একটি টিনশেড ধ্বংস স্তূপে পরিণত হয়েছে। এখন সেখানে গভীর রাতে চলে বিভিন্ন নেশাখোরদের আড্ডা।
এ ব্যাপারে বহুবার বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রচার করা হলেও কর্তৃপক্ষের কোনো টনক নড়েনি। এই বছর সেপ্টেম্বর মাসে একটি সাহায্যকারী ক্লাব অযত্ন অবহেলায় পড়ে থাকা লালমোহন পাবলিক লাইব্রেরি কাম অডিটরিয়াম এর কার্যক্রম শুরু করার লক্ষ্যে ভিতরের ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করার কাজ শুরু করে। তারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানা অফিসার ইনচার্জের সহায়তা কামনায় করে দেন দরবার করে। কিন্তু এখনো চালু হয়নি পাবলিক লাইব্রেরিটি।
লালমোহন পাবলিক লাইব্রেরিটি চালুর ব্যাপারে লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহ আজিজ বলেন, পাবলিক লাইব্রেরিটি চালু করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছি। ইতোমধ্যে জেলা পরিষদ থেকে ১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। শীঘ্রই এই টাকা দিয়ে বই কেনা হবে। এছাড়া লাইব্রেরি কক্ষটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা সহ বসার জন্য টেবিল ও চেয়ার ক্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। লাইব্রেরির বাইরে এলাকার চাহিদা অনুযায়ী বই কেনার বিষয়ে কেউ পরামর্শ দিলে তা সাদরে গ্রহণ করা হবে।
ঢাকা/ইবিটাইমস/এসএস