ভিয়েনা ০৯:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফেব্রুয়ারিতে উৎসবমুখর নির্বাচন হবে, ইইউ পার্লামেন্ট সদস্যদের প্রধান উপদেষ্টা

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০২:২০:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ১১ সময় দেখুন

ইবিটাইমস ডেস্ক : আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ ও উৎসবমুখর জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে পুনরায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুস।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সফররত ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্যদের সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এই কথা বলেন। ইউরোপীয় প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন ফরাসি এমইপি মুনির সাতুরি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “নির্বাচনের সময়সূচি ইতোমধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে। এটি ফেব্রুয়ারির শুরুতেই অনুষ্ঠিত হবে, রমজানের আগেই।” তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দীর্ঘদিন পর ছাত্র সংসদ নির্বাচন শুরু হওয়ায় যুবসমাজের মধ্যে ভোট নিয়ে উৎসাহ বেড়েছে। যা জাতীয় নির্বাচনেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
“এই নির্বাচন হবে শান্তিপূর্ণ, নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ এবং আনন্দঘন। কিছু মহল নির্বাচন বিলম্ব করার চেষ্টা করলেও আমাদের অস্থায়ী সরকার প্রতিশ্রুতির প্রতি অটল,” বলেন ড. ইউনুস।
তিনি জানান, আগামী নির্বাচনে নতুন ভোটারদের রেকর্ডসংখ্যক অংশগ্রহণ প্রত্যাশিত। যাদের অনেকে ১৫ বছর পর প্রথমবারের মতো ভোট দেবেন। “ফেব্রুয়ারির নির্বাচন হবে বাংলাদেশের জন্য এক নতুন সূচনা—এটি ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে।”
প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে সরকারের গৃহীত সংস্কার উদ্যোগ, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তা, এবং চলমান রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা হয়।
ইইউ প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনকে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে আখ্যা দেন। এক এমইপি (ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্য) বলেন, গত ১৪ মাসে প্রধান উপদেষ্টা ও তার সরকারের “অসাধারণ প্রচেষ্টা” প্রশংসার যোগ্য।
এক ডাচ এমইপি মন্তব্য করেন, “বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম কয়েকটি দেশ, যেখানে ইতিবাচক পরিবর্তনের পথ স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে।”
প্রধান উপদেষ্টা ইউরোপীয় ইউনিয়নের ধারাবাহিক সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং বাংলাদেশে অবস্থানরত ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর জন্য আরও সহায়তা চেয়ে আহ্বান জানান। বিশেষ করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সম্প্রতি বন্ধ হয়ে যাওয়া স্কুলগুলো পুনরায় চালুর জন্য আর্থিক সহায়তার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন তিনি।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী জানান, অন্তর্বর্তী সরকার ইতোমধ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ শ্রম আইন সংস্কার করেছে। যা বাংলাদেশ-ইইউ সম্পর্ক আরও মজবুত করতে ভূমিকা রাখবে।
ঢাকা/এসএস

Tag :
জনপ্রিয়
Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

ফেব্রুয়ারিতে উৎসবমুখর নির্বাচন হবে, ইইউ পার্লামেন্ট সদস্যদের প্রধান উপদেষ্টা

আপডেটের সময় ০২:২০:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ইবিটাইমস ডেস্ক : আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ ও উৎসবমুখর জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে পুনরায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুস।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সফররত ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্যদের সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এই কথা বলেন। ইউরোপীয় প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন ফরাসি এমইপি মুনির সাতুরি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “নির্বাচনের সময়সূচি ইতোমধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে। এটি ফেব্রুয়ারির শুরুতেই অনুষ্ঠিত হবে, রমজানের আগেই।” তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দীর্ঘদিন পর ছাত্র সংসদ নির্বাচন শুরু হওয়ায় যুবসমাজের মধ্যে ভোট নিয়ে উৎসাহ বেড়েছে। যা জাতীয় নির্বাচনেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
“এই নির্বাচন হবে শান্তিপূর্ণ, নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ এবং আনন্দঘন। কিছু মহল নির্বাচন বিলম্ব করার চেষ্টা করলেও আমাদের অস্থায়ী সরকার প্রতিশ্রুতির প্রতি অটল,” বলেন ড. ইউনুস।
তিনি জানান, আগামী নির্বাচনে নতুন ভোটারদের রেকর্ডসংখ্যক অংশগ্রহণ প্রত্যাশিত। যাদের অনেকে ১৫ বছর পর প্রথমবারের মতো ভোট দেবেন। “ফেব্রুয়ারির নির্বাচন হবে বাংলাদেশের জন্য এক নতুন সূচনা—এটি ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে।”
প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে সরকারের গৃহীত সংস্কার উদ্যোগ, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তা, এবং চলমান রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা হয়।
ইইউ প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনকে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে আখ্যা দেন। এক এমইপি (ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্য) বলেন, গত ১৪ মাসে প্রধান উপদেষ্টা ও তার সরকারের “অসাধারণ প্রচেষ্টা” প্রশংসার যোগ্য।
এক ডাচ এমইপি মন্তব্য করেন, “বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম কয়েকটি দেশ, যেখানে ইতিবাচক পরিবর্তনের পথ স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে।”
প্রধান উপদেষ্টা ইউরোপীয় ইউনিয়নের ধারাবাহিক সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং বাংলাদেশে অবস্থানরত ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর জন্য আরও সহায়তা চেয়ে আহ্বান জানান। বিশেষ করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সম্প্রতি বন্ধ হয়ে যাওয়া স্কুলগুলো পুনরায় চালুর জন্য আর্থিক সহায়তার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন তিনি।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী জানান, অন্তর্বর্তী সরকার ইতোমধ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ শ্রম আইন সংস্কার করেছে। যা বাংলাদেশ-ইইউ সম্পর্ক আরও মজবুত করতে ভূমিকা রাখবে।
ঢাকা/এসএস