ভিয়েনা ০৫:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঢাকায় ছিনতাইকারীদের মারধরে গুরুত্বর আহত মনপুরায় ক্ষুদে বিজ্ঞানী তাহসিন

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৭:৩৪:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫
  • ২ সময় দেখুন

ছিনতাইকারীদের হাত থেকে মানুষকে বাঁচাতে ডিভাইস উদ্ভাবনের ঘোষণা

ভোলা প্রতিনিধি: ভোলার মনপুরায় ক্ষুদে বিজ্ঞানী তাহসিন পানিতে পড়ে শিশু মৃত্যুর হার কমিয়ে আনার ডিভাইস আবিস্কার করে দেশে হৈচৈ ফেলে দিয়েছিলেন। তিনি (তাহসিন) শুধু মনপুরার ক্ষুদে বিজ্ঞানী নয়, তিনি এই বছর ১৪ জানুয়ারী ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটিতে আয়োজিত ন্যাশনাল ক্রিয়েটিভ চ্যালেঞ্জ-এ দ্বিতীয় হন। তার আবিস্কৃত ডিভাইসগুলো দেখে অভিভূত হন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্ঠা শারমিন মুরশিদ।

সেই মনপুরা ক্ষুদে বিজ্ঞানী ও ন্যাশনাল ক্রিয়েটিভ চ্যালেঞ্জ-এ দ্বিতীয় হওয়া তাহসিন ঢাকার মিরপুরে জুম্মার নামাজ শেষে ছিনতাইয়ের কবলে পড়ে সর্বস্ব হারায়। এমনকি ছিনতাইকারীদের দুই দফা বেধড়ক মারধরে সংজ্ঞাহীন হয়ে যায়, তিন দিন অসুস্থ্য হয়ে পড়েছিলেন বিছানায়। ছিনতাইকারীদের সংঘবদ্ধ দল উল্টো তাহসিনকে ছিনতাইকারী ট্যাগ দিয়ে মারধর করছিল।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১ টায় ভেরিফায়েড ফেইসবুকে ছিনতাইয়ের কবলে পড়ে মারধর ও অসুস্থ্য হওয়ার ঘটনা তুলে ধরে ক্ষুদে বিজ্ঞানী লিখেন,
“ ছিনতাইকারী ভাইয়ারা আপনারা আমাকে এভাবে মারতে, আপনাদের একটু মায়াও হয় নাই “।

তবে ছিনতাইয়ের ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারী) মিরপুরে জুম্মার নামাজ শেষে মেইন রোড দিয়ে হেঁটে মিরপুর ১০ যাওয়ার সময়। তার এই ঘটনা ফেইসবুকে দেওয়ার পর হৈচৈ পড়ে যায়। সবাই সহমর্মিতা ও নিন্দার পাশাপাশি ছিনতাইকারীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দাবী করেন।

তবে ক্ষুদে বিজ্ঞানী তাহসিন নিজের সাথে ঘটে যাওয়া এই মর্মান্তিক ঘটনার জন্য সাধারন মানুষ যাতে ছিনতাইকারীদের হাত রক্ষা পান এই রকম অভাবনীয় ডিভাইস আবিস্কারের ঘোষনা দেন। তিনি ঢাকায় ড্যাফোডিল ইনস্টিটিউট অব ইজ্ঞিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১ম বর্ষে অধ্যায়নরত।

তাহসিন ফেইসবুকে ছিনতাইয়ের ঘটনা যেইভাবে বর্ননা করলেন, গত ২৮/০২/২০২৫ জুম্মার নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বের হয়ে মেইন রোড দিয়ে হেঁটে হেঁটে মিরপুর-১০ যাচ্ছিলাম একটা কাজের জন্য। হঠাৎ করে তিনটা অপরিচিত ছেলে (তাদের বয়স ২১ থেকে ২৫ বছর এর মধ্যে)। আমার চলার পথে বাঁধা দিয়ে বলে, তুমি আর আরেকটা ছেলে আমাকে ছিনতাই করেছো কেন। ওদের ভয়ে তাহসিন পাশে থাকা প্লাস্টিক ডোর দোকানে ডুকে পড়ে। দোকনদারও তাহসিনকে বের করে দেয়। এরপর আরও ৫-৬ ছেলে আসে। পরে মারধর করে একট বিল্ডিং এর নিচে নিয়ে গিয়ে ভিডিও করে। ওদের মারধরে মাথা ঘুরে পড়ে যায়। পরে এই ঘটনায় রাস্থায় মানুষ জড়ো হয়ে যায়। অধিকাংশ মানুষ বলতে থাকে ওকে দেখে ছিনতাইকারী মনে হয় না। তখন ছিনতাইকারীরা বলে ও ডিবি পরিচয় দিয়া আমাদের ছিনতাই করে। এরপর আমার পরিচিত সোহেল এসে আমাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। তাহসিন বুকে প্রচন্ড ব্যাথা পেে তিনদিন ধরে অসুস্থ্য হয়ে বিছানায় ছিলেন। সুস্থ্য হয়ে মঙ্গলবার রাতে ফেইসবুকে ঘটনার বর্ননা দিলেন।

এই ব্যাপারে ক্ষুদে বিজ্ঞানী তাহসিন জানান, ছিনতাইয়ের ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। সবচেয়ে খারাপ বিষয় হলো ওরা আমাকে ওল্টো ছিনতাইকারী ট্যাগ দেয়। ছিনতাইকারীদের হাত থেকে সাধারন মানুষ যাতে বাঁচতে পারে সেই জন্য একাট ডিভাইস আবিস্কার করার কাজ করবেন বলে জানান তিনি।

মনজুর রহমান/ইবিটাইমস 

জনপ্রিয়
Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

ঢাকায় ছিনতাইকারীদের মারধরে গুরুত্বর আহত মনপুরায় ক্ষুদে বিজ্ঞানী তাহসিন

আপডেটের সময় ০৭:৩৪:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫

ছিনতাইকারীদের হাত থেকে মানুষকে বাঁচাতে ডিভাইস উদ্ভাবনের ঘোষণা

ভোলা প্রতিনিধি: ভোলার মনপুরায় ক্ষুদে বিজ্ঞানী তাহসিন পানিতে পড়ে শিশু মৃত্যুর হার কমিয়ে আনার ডিভাইস আবিস্কার করে দেশে হৈচৈ ফেলে দিয়েছিলেন। তিনি (তাহসিন) শুধু মনপুরার ক্ষুদে বিজ্ঞানী নয়, তিনি এই বছর ১৪ জানুয়ারী ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটিতে আয়োজিত ন্যাশনাল ক্রিয়েটিভ চ্যালেঞ্জ-এ দ্বিতীয় হন। তার আবিস্কৃত ডিভাইসগুলো দেখে অভিভূত হন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্ঠা শারমিন মুরশিদ।

সেই মনপুরা ক্ষুদে বিজ্ঞানী ও ন্যাশনাল ক্রিয়েটিভ চ্যালেঞ্জ-এ দ্বিতীয় হওয়া তাহসিন ঢাকার মিরপুরে জুম্মার নামাজ শেষে ছিনতাইয়ের কবলে পড়ে সর্বস্ব হারায়। এমনকি ছিনতাইকারীদের দুই দফা বেধড়ক মারধরে সংজ্ঞাহীন হয়ে যায়, তিন দিন অসুস্থ্য হয়ে পড়েছিলেন বিছানায়। ছিনতাইকারীদের সংঘবদ্ধ দল উল্টো তাহসিনকে ছিনতাইকারী ট্যাগ দিয়ে মারধর করছিল।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১ টায় ভেরিফায়েড ফেইসবুকে ছিনতাইয়ের কবলে পড়ে মারধর ও অসুস্থ্য হওয়ার ঘটনা তুলে ধরে ক্ষুদে বিজ্ঞানী লিখেন,
“ ছিনতাইকারী ভাইয়ারা আপনারা আমাকে এভাবে মারতে, আপনাদের একটু মায়াও হয় নাই “।

তবে ছিনতাইয়ের ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারী) মিরপুরে জুম্মার নামাজ শেষে মেইন রোড দিয়ে হেঁটে মিরপুর ১০ যাওয়ার সময়। তার এই ঘটনা ফেইসবুকে দেওয়ার পর হৈচৈ পড়ে যায়। সবাই সহমর্মিতা ও নিন্দার পাশাপাশি ছিনতাইকারীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দাবী করেন।

তবে ক্ষুদে বিজ্ঞানী তাহসিন নিজের সাথে ঘটে যাওয়া এই মর্মান্তিক ঘটনার জন্য সাধারন মানুষ যাতে ছিনতাইকারীদের হাত রক্ষা পান এই রকম অভাবনীয় ডিভাইস আবিস্কারের ঘোষনা দেন। তিনি ঢাকায় ড্যাফোডিল ইনস্টিটিউট অব ইজ্ঞিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১ম বর্ষে অধ্যায়নরত।

তাহসিন ফেইসবুকে ছিনতাইয়ের ঘটনা যেইভাবে বর্ননা করলেন, গত ২৮/০২/২০২৫ জুম্মার নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বের হয়ে মেইন রোড দিয়ে হেঁটে হেঁটে মিরপুর-১০ যাচ্ছিলাম একটা কাজের জন্য। হঠাৎ করে তিনটা অপরিচিত ছেলে (তাদের বয়স ২১ থেকে ২৫ বছর এর মধ্যে)। আমার চলার পথে বাঁধা দিয়ে বলে, তুমি আর আরেকটা ছেলে আমাকে ছিনতাই করেছো কেন। ওদের ভয়ে তাহসিন পাশে থাকা প্লাস্টিক ডোর দোকানে ডুকে পড়ে। দোকনদারও তাহসিনকে বের করে দেয়। এরপর আরও ৫-৬ ছেলে আসে। পরে মারধর করে একট বিল্ডিং এর নিচে নিয়ে গিয়ে ভিডিও করে। ওদের মারধরে মাথা ঘুরে পড়ে যায়। পরে এই ঘটনায় রাস্থায় মানুষ জড়ো হয়ে যায়। অধিকাংশ মানুষ বলতে থাকে ওকে দেখে ছিনতাইকারী মনে হয় না। তখন ছিনতাইকারীরা বলে ও ডিবি পরিচয় দিয়া আমাদের ছিনতাই করে। এরপর আমার পরিচিত সোহেল এসে আমাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। তাহসিন বুকে প্রচন্ড ব্যাথা পেে তিনদিন ধরে অসুস্থ্য হয়ে বিছানায় ছিলেন। সুস্থ্য হয়ে মঙ্গলবার রাতে ফেইসবুকে ঘটনার বর্ননা দিলেন।

এই ব্যাপারে ক্ষুদে বিজ্ঞানী তাহসিন জানান, ছিনতাইয়ের ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। সবচেয়ে খারাপ বিষয় হলো ওরা আমাকে ওল্টো ছিনতাইকারী ট্যাগ দেয়। ছিনতাইকারীদের হাত থেকে সাধারন মানুষ যাতে বাঁচতে পারে সেই জন্য একাট ডিভাইস আবিস্কার করার কাজ করবেন বলে জানান তিনি।

মনজুর রহমান/ইবিটাইমস