ভিয়েনা ০৮:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের হিমঘরে নেয়া হচ্ছে ওসমান হাদির মরদেহ শহীদ ওসমান হাদির মরদেহ বহনকারী ফ্লাইট দেশে অবতরণ করেছে লালমোহন পৌরসভার সাবেক মেয়র তুহিন গ্রেফতার হাদীর খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে টাঙ্গাইলে জামায়াতে বিক্ষোভ মিছিল ভোলা-৩ আসনে বিএনপি প্রার্থী হাফিজের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ সড়ক নির্মাণে অনিয়ম! বন্ধ থাকা কাজ শুরু করলেও জানেনা অফিস কর্তৃপক্ষ বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে আমরা আশাবাদী, তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন : ডা. জাহিদ ভোলা-৩ আসনে বিডিপি প্রার্থীর মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ নয়ানীগ্রাম যুব তাফসীর কমিটির উদ্যোগে দুই দিনের ইসলামী মহা সম্মেলন টাঙ্গাইলে ২৪ ঘণ্টায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ’লীগের ১৮ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

ভারতের লাদাখে দুই প্রশাসনিক অঞ্চল তৈরী করল চীন – ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিন্দা

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০১:৪০:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৪৫ সময় দেখুন

ভারতের লাদাখের কিছু অংশ নিয়ে চীনের স্বায়ত্ত্বশাসিত জিনজিয়াং প্রদেশে হি’আন এবং হেকাং নামে এ দুটি প্রশাসনিক অঞ্চল তৈরির ঘোষণা দেয় স্থানীয় প্রশাসন। যার কিছু অংশ ভারতের ভূখণ্ডে পড়েছে। এসব অঞ্চল চীনে কাউন্টি হিসেবে পরিচিত

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সাপ্তাহিক প্রেস ব্রিফিংয়ে চীনের এ কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জসওয়াল। জসওয়াল বলেন, “জিনজিয়াংয়ের হোতানে আমরা দুটি নতুন কাউন্টি তৈরির ঘোষণা দেখেছি। এসব কথিত কাউন্টির কিছু ভারতের লাদাখে পড়েছে। আমরা কখনো এই অঞ্চলে চীনের অবৈধ দখলদারিত্বকে মেনে নেইনি।”

তিনি আরও বলেন, “এই অঞ্চলের ভৌগলিক অখণ্ডতা নিয়ে আমাদের যে অবস্থান, সেটি এসব কাউন্টি তৈরির মাধ্যমে পরিবর্তিত হবে না। একইসঙ্গে চীনের জোরপূর্বক দখলদারিত্বকেও বৈধতা দেবে না। আমরা কূটনৈতিক মাধ্যমে এটি গভীর নিন্দা জানিয়েছি।”

চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি এবং স্টেট কাউন্সিল নতুন দুটি প্রশাসনিক অঞ্চল তৈরির অনুমোদন দিয়েছে। এদিকে গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর বেইজিংয়ে ভারতের নিরাপত্তা পরামর্শক অজিত দোভাল এবং চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়েং উই ২৩তম সীমান্ত আলোচনার বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন। যা ২০২০ সাল থেকে থমকে ছিল। ওই সময় ধারণা করা হয়েছিল ভারত-চীনের সীমান্ত উত্তেজনা কমে আসবে। তবে ওই বৈঠকের পর ২৭ ডিসেম্বর ভারতের লাদাখের কিছু অংশ নিয়ে নতুন প্রশাসনিক অঞ্চল তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় চীন।

লাদাখ ভারতের একটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল, এই অঞ্চলের উত্তরে কুনলুন পর্বতশ্রেণী এবং দক্ষিণে হিমালয় দ্বারা বেষ্টিত, ১৯৪৭ সাল থেকে এই অঞ্চলটি ভারত, পাকিস্তান এবং চীনের মধ্যে বিরোধের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর পূর্বে তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল, দক্ষিণে হিমাচল প্রদেশ রাজ্য, ভারতীয় কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীর এবং পশ্চিমে পাকিস্তান-শাসিত গিলগিত-বালতিস্তান এবং জিনজিয়াংয়ের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণটি সীমাবদ্ধ সুদূর উত্তরে কারাকোরাম পাস।

এটি কারাকোরাম পরিসরের সিয়াচেন হিমবাহ থেকে উত্তরে মূল গ্রেট হিমালয় পর্যন্ত বিস্তৃত। এই এলাকার অধিবাসীরা ইন্দো-আর্য এবং তিব্বতী বংশোদ্ভুত। লাদাখ ভারতের জনবিরল এলাকাগুলির মধ্যে অন্যতম। ঐতিহাসিককাল ধরে বালটিস্তান উপত্যকা, সিন্ধু নদ উপত্যকা, জাংস্কার, লাহুল ও স্পিটি, রুদোক ও গুজ সহ আকসাই চিন এবং নুব্রা উপত্যকা লাদাখের অংশ ছিল। জনবসতিহীন আকসাই চিন সমভূমি নিয়ে গঠিত পূর্ব প্রান্ত, ভারত সরকার লাদাখের অংশ হিসেবে দাবি করেছে এবং ১৯৬৩ থেকে চীনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

কবির আহমেদ/ইবিটাইমস 

জনপ্রিয়

হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের হিমঘরে নেয়া হচ্ছে ওসমান হাদির মরদেহ

Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

ভারতের লাদাখে দুই প্রশাসনিক অঞ্চল তৈরী করল চীন – ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিন্দা

আপডেটের সময় ০১:৪০:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৫

ভারতের লাদাখের কিছু অংশ নিয়ে চীনের স্বায়ত্ত্বশাসিত জিনজিয়াং প্রদেশে হি’আন এবং হেকাং নামে এ দুটি প্রশাসনিক অঞ্চল তৈরির ঘোষণা দেয় স্থানীয় প্রশাসন। যার কিছু অংশ ভারতের ভূখণ্ডে পড়েছে। এসব অঞ্চল চীনে কাউন্টি হিসেবে পরিচিত

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সাপ্তাহিক প্রেস ব্রিফিংয়ে চীনের এ কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জসওয়াল। জসওয়াল বলেন, “জিনজিয়াংয়ের হোতানে আমরা দুটি নতুন কাউন্টি তৈরির ঘোষণা দেখেছি। এসব কথিত কাউন্টির কিছু ভারতের লাদাখে পড়েছে। আমরা কখনো এই অঞ্চলে চীনের অবৈধ দখলদারিত্বকে মেনে নেইনি।”

তিনি আরও বলেন, “এই অঞ্চলের ভৌগলিক অখণ্ডতা নিয়ে আমাদের যে অবস্থান, সেটি এসব কাউন্টি তৈরির মাধ্যমে পরিবর্তিত হবে না। একইসঙ্গে চীনের জোরপূর্বক দখলদারিত্বকেও বৈধতা দেবে না। আমরা কূটনৈতিক মাধ্যমে এটি গভীর নিন্দা জানিয়েছি।”

চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি এবং স্টেট কাউন্সিল নতুন দুটি প্রশাসনিক অঞ্চল তৈরির অনুমোদন দিয়েছে। এদিকে গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর বেইজিংয়ে ভারতের নিরাপত্তা পরামর্শক অজিত দোভাল এবং চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়েং উই ২৩তম সীমান্ত আলোচনার বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন। যা ২০২০ সাল থেকে থমকে ছিল। ওই সময় ধারণা করা হয়েছিল ভারত-চীনের সীমান্ত উত্তেজনা কমে আসবে। তবে ওই বৈঠকের পর ২৭ ডিসেম্বর ভারতের লাদাখের কিছু অংশ নিয়ে নতুন প্রশাসনিক অঞ্চল তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় চীন।

লাদাখ ভারতের একটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল, এই অঞ্চলের উত্তরে কুনলুন পর্বতশ্রেণী এবং দক্ষিণে হিমালয় দ্বারা বেষ্টিত, ১৯৪৭ সাল থেকে এই অঞ্চলটি ভারত, পাকিস্তান এবং চীনের মধ্যে বিরোধের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর পূর্বে তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল, দক্ষিণে হিমাচল প্রদেশ রাজ্য, ভারতীয় কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীর এবং পশ্চিমে পাকিস্তান-শাসিত গিলগিত-বালতিস্তান এবং জিনজিয়াংয়ের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণটি সীমাবদ্ধ সুদূর উত্তরে কারাকোরাম পাস।

এটি কারাকোরাম পরিসরের সিয়াচেন হিমবাহ থেকে উত্তরে মূল গ্রেট হিমালয় পর্যন্ত বিস্তৃত। এই এলাকার অধিবাসীরা ইন্দো-আর্য এবং তিব্বতী বংশোদ্ভুত। লাদাখ ভারতের জনবিরল এলাকাগুলির মধ্যে অন্যতম। ঐতিহাসিককাল ধরে বালটিস্তান উপত্যকা, সিন্ধু নদ উপত্যকা, জাংস্কার, লাহুল ও স্পিটি, রুদোক ও গুজ সহ আকসাই চিন এবং নুব্রা উপত্যকা লাদাখের অংশ ছিল। জনবসতিহীন আকসাই চিন সমভূমি নিয়ে গঠিত পূর্ব প্রান্ত, ভারত সরকার লাদাখের অংশ হিসেবে দাবি করেছে এবং ১৯৬৩ থেকে চীনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

কবির আহমেদ/ইবিটাইমস