ভিয়েনা ০৭:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ২২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জার্মানির অভিবাসন নীতি বদলে ফেলার বিপক্ষে চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ১১:০৩:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ১৮ সময় দেখুন

ইউরোপ ডেস্কঃ আগামী বছরের সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে জার্মানির অভিবাসন নীতি পরিবর্তনের যে কথা রাজনৈতিক দলগুলো বলছে তার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস ৷ সম্প্রতি এক নির্বাচনি প্রচারে অংশ নিয়ে সিডিইউ/সিএসইউ এর এমন অবস্থানের সমালোচনা করেছেন চ্যান্সেলর৷ তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলটি বাস্তবতা বুঝতে পারছে না বলেই এমন কথা বলছে ৷

জার্মান রাজনীতিতে অভিবাসন এই মুহূর্তে সবচেয়ে আলোচিত ইস্যু৷ ধারণা করা হচ্ছে, আগামী বছরের সাধারণ নির্বাচনে এই ইস্যুটি ভোটের মাঠে বেশ প্রভাব রাখবে৷ বর্তমানে জনমত জরিপে চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এসপিডি) চেয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দল সিডিইউ/সিএসইউ এগিয়ে রয়েছে ৷ এরইমধ্যে তারা বর্তমান সরকারের অভিবাসন নীতিকে পাল্টে দেয়ার কথা জানাচ্ছেন বিভিন্ন সমাবেশ ও রাজনৈতিক প্রচারে ৷

রাজধানী বার্লিনে দলের প্রধান কার্যালয়ে পাঁচশ প্রতিনিধির সামনে চ্যান্সেলর বলেন, জার্মানি দীর্ঘকাল ধরে অভিবাসনের দেশ৷ তিনি আরো বলেন, এই দেশটির ২৫ লাখ নাগরিকের অভিবাসনের ইতিহাস রয়েছে ৷ শলৎস বলেন, ‘‘আমি আজকে আমার হৃদয়ের গভীর থেকে আপনাদের সবাইকে বলতে চাই যে, আমরা প্রতিবেশী হয়ে বা সহকর্মী হয়ে, স্কুলের সহপাঠী কিংবা স্পোর্টস ক্লাবের বন্ধু হয়ে একসঙ্গে থাকতে চাই৷ কারণ, আমরা সবাই জার্মানির অংশ৷’’

চ্যান্সেলর পদে সিডিইউ/সিএসইউ-এর প্রার্থী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জার্মানি অনেক আগেই ‘‘ফ্রিডরিশ ম্যারৎস এবং তার অনুসারীদের’’ চেয়ে অনেক বেশি এগিয়ে গেছে৷ তবে জনমত জরিপগুলোয় দেখা যাচ্ছে, সাধারণ নির্বাচনে রক্ষণশীলেরা এগিয়ে রয়েছে৷ বর্তমানে জার্মান ভোটারদের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ সিডিইউ/সিএসইউ-কে সমর্থন দিচ্ছে ৷

এই এক-তৃতীয়াংশ ভোটার অভিবাসন ইস্যুতে বর্তমান সরকারের বিরোধিতা করলেও অতি ডানপন্থি অল্টারনেটিভ ফর জার্মানিকে (এএফডি) ভোট দিতে ইচ্ছুক নয়৷ এদিকে, ২০২৩ সালে জার্মানিতে তিন লাখেরও বেশি মানুষ আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেছেন ৷

নভেম্বরের শুরুর দিকে জার্মানির ক্ষমতাসীন জোট সরকারের পতনের পর ডিসেম্বরে আস্থা ভোটের কথা রয়েছে৷ আর ২৩ ফেব্রুয়ারি জার্মানিতে আগাম নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে ৷

কবির আহমেদ/ইবিটাইমস 

জনপ্রিয়
Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

জার্মানির অভিবাসন নীতি বদলে ফেলার বিপক্ষে চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস

আপডেটের সময় ১১:০৩:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪

ইউরোপ ডেস্কঃ আগামী বছরের সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে জার্মানির অভিবাসন নীতি পরিবর্তনের যে কথা রাজনৈতিক দলগুলো বলছে তার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস ৷ সম্প্রতি এক নির্বাচনি প্রচারে অংশ নিয়ে সিডিইউ/সিএসইউ এর এমন অবস্থানের সমালোচনা করেছেন চ্যান্সেলর৷ তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলটি বাস্তবতা বুঝতে পারছে না বলেই এমন কথা বলছে ৷

জার্মান রাজনীতিতে অভিবাসন এই মুহূর্তে সবচেয়ে আলোচিত ইস্যু৷ ধারণা করা হচ্ছে, আগামী বছরের সাধারণ নির্বাচনে এই ইস্যুটি ভোটের মাঠে বেশ প্রভাব রাখবে৷ বর্তমানে জনমত জরিপে চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এসপিডি) চেয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দল সিডিইউ/সিএসইউ এগিয়ে রয়েছে ৷ এরইমধ্যে তারা বর্তমান সরকারের অভিবাসন নীতিকে পাল্টে দেয়ার কথা জানাচ্ছেন বিভিন্ন সমাবেশ ও রাজনৈতিক প্রচারে ৷

রাজধানী বার্লিনে দলের প্রধান কার্যালয়ে পাঁচশ প্রতিনিধির সামনে চ্যান্সেলর বলেন, জার্মানি দীর্ঘকাল ধরে অভিবাসনের দেশ৷ তিনি আরো বলেন, এই দেশটির ২৫ লাখ নাগরিকের অভিবাসনের ইতিহাস রয়েছে ৷ শলৎস বলেন, ‘‘আমি আজকে আমার হৃদয়ের গভীর থেকে আপনাদের সবাইকে বলতে চাই যে, আমরা প্রতিবেশী হয়ে বা সহকর্মী হয়ে, স্কুলের সহপাঠী কিংবা স্পোর্টস ক্লাবের বন্ধু হয়ে একসঙ্গে থাকতে চাই৷ কারণ, আমরা সবাই জার্মানির অংশ৷’’

চ্যান্সেলর পদে সিডিইউ/সিএসইউ-এর প্রার্থী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জার্মানি অনেক আগেই ‘‘ফ্রিডরিশ ম্যারৎস এবং তার অনুসারীদের’’ চেয়ে অনেক বেশি এগিয়ে গেছে৷ তবে জনমত জরিপগুলোয় দেখা যাচ্ছে, সাধারণ নির্বাচনে রক্ষণশীলেরা এগিয়ে রয়েছে৷ বর্তমানে জার্মান ভোটারদের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ সিডিইউ/সিএসইউ-কে সমর্থন দিচ্ছে ৷

এই এক-তৃতীয়াংশ ভোটার অভিবাসন ইস্যুতে বর্তমান সরকারের বিরোধিতা করলেও অতি ডানপন্থি অল্টারনেটিভ ফর জার্মানিকে (এএফডি) ভোট দিতে ইচ্ছুক নয়৷ এদিকে, ২০২৩ সালে জার্মানিতে তিন লাখেরও বেশি মানুষ আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেছেন ৷

নভেম্বরের শুরুর দিকে জার্মানির ক্ষমতাসীন জোট সরকারের পতনের পর ডিসেম্বরে আস্থা ভোটের কথা রয়েছে৷ আর ২৩ ফেব্রুয়ারি জার্মানিতে আগাম নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে ৷

কবির আহমেদ/ইবিটাইমস