ভিয়েনা ০৬:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আজ রাতে অস্ট্রিয়া সহ ইউরোপের অনেক দেশে সময়ের পরিবর্তন

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০২:৪৬:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪
  • ১২ সময় দেখুন

শনিবার রাতে ইউরোপের মানুষ এক ঘণ্টা বেশি ঘুমাবে

ভিয়েনা ডেস্কঃ শনিবার (২৬ অক্টোবর) অস্ট্রিয়া সহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রাত তিনটায় ঘড়ির কাটা পিছিয়ে রাত দুইটা করা হবে। অর্থাৎ শরিবার দিবাগত রাত ৩ টার সময় ঘড়ির কাঁটার পরিবর্তন করে এক ঘণ্টা পিছিয়ে রাত ২টা করা হবে। ফলে আজ ইউরোপের মানুষ এক ঘণ্টা বেশি ঘুমাবে।

ঘড়ির কাঁটার এই পরিবর্তনের ফলে আগামীকাল রবিবার (২৭ অক্টোবর) থেকে বাংলাদেশের সাথে অস্ট্রিয়ার সময়ের পার্থক্য বা ব্যবধান হবে ৫ ঘণ্টা।
উদাহরণস্বরূপ আগামীকাল অস্ট্রিয়ার সময় দুপুর ১২টায় বাংলাদেশের সময় হবে বিকাল ৫টা।

উল্লেখ্য যে,ইউরোপে মার্চ ও অক্টোবর মাসের শেষ রবিবার বছরে দুইবার দিবালোক সঞ্চয়ের (সূর্যের আলো) কারণে ঘড়ির কাঁটা এক ঘণ্টা পরিবর্তন করে আসছে। এই সময় পরিবর্তন ইউরোপের দেশ অস্ট্রিয়া,ইতালি,জার্মানি, ফ্রান্স, স্পেন, হাঙ্গেরি, স্লোভেনিয়া, পোল্যান্ড, নরওয়ে, সুইডেন, ডেনমার্ক, বেলজিয়ামসহ ইউরোপের বেশিরভাগ দেশই একসাথে এই সেন্ট্রাল ইউরোপিয়ান টাইম জোনকে অনুসরণ করবে।

তবে বর্তমান এই আধুনিক প্রযুক্তির যুগে এবং পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন হওয়ায় অস্ট্রিয়া সহ ইউরোপের অনেক দেশই সূর্যের আলোর
জন্য এই সময়ের পরিবর্তন অযৌক্তিক মনে করছেন।

২০১৯ সালে অস্ট্রিয়া সহ ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের একাধিক দেশ এই সময়ের পরিবর্তন থেকে বেড়িয়ে আসার উদ্যোগ নেয়। বৈশ্বিক মহামারী করোনার প্রাদুর্ভাবের কারনে এই পরিকল্পনাটি স্থগিত হয়ে যায়।

সমগ্র পৃথিবীতে সময় নির্ণয়ের জন্য প্যারামিটার হিসাবে পরিচিত গ্রিনউইচ মিন টাইম বা জিএমটির সাথে ইউরোপের সেন্ট্রাল দেশগুলোর সময়ের ব্যবধান
আগামীকাল রবিবার থেকে ১ ঘণ্টায় এসে পৌঁছবে।

তবে রোমানিয়া, বুলগেরিয়া, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, বেলারুশ, ইউক্রেন, গ্রিস অর্থাৎ পূর্ব ইউরোপিয়ান টাইম জোনে থাকা দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সময়ের পার্থক্য হবে ৪ ঘণ্টা। গ্রিনউইচ মিন টাইম বা জিএমটির সঙ্গে এখন থেকে পূর্ব ইউরোপিয়ান টাইম জোনে থাকা দেশগুলোর সময়ের পার্থক্য হবে ২ ঘণ্টা। ইউরোপের দেশ যুক্তরাজ্য ও পর্তুগালের সঙ্গে বাংলাদেশের সময়ের পার্থক্য হবে ৬ ঘণ্টা।

উল্লেখ্য যে,২০০১ সাল থেকে ইউরোপের উপরোক্ত দেশগুলো প্রত্যেক বছরের মার্চ মাসের শেষ রবিবার ও অক্টোবর মাসের শেষ রবিবার অর্থাৎ বছরে দুবার
তাদের সময়ের পরিবর্তনের এই নিয়ম প্রবর্তন করে। তখনকার সময় ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের এক অধিবেশনে সদস্য রাষ্ট্রগুলো সম্মিলিতভাবে ঘড়ির কাঁটার পরিবর্তনের বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করে।

এ কারণে প্রত্যেক বছরের মার্চ মাসের শেষ রবিবার ঘড়ির কাঁটাকে ১ ঘণ্টা এগিয়ে নেওয়া হয়, যাকে ‘সামার টাইম’ বলা হয়। আবার অক্টোবরের শেষ রবিবার ঘড়ির কাঁটা ১ ঘণ্টা পিছিয়ে আবার মূল সময়ের ধারায় ফিরিয়ে আনা হয়, যা ‘উইন্টার টাইম’ হিসাবে পরিচিত।

কবির আহমেদ/ইবিটাইমস 

জনপ্রিয়
Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

আজ রাতে অস্ট্রিয়া সহ ইউরোপের অনেক দেশে সময়ের পরিবর্তন

আপডেটের সময় ০২:৪৬:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪

শনিবার রাতে ইউরোপের মানুষ এক ঘণ্টা বেশি ঘুমাবে

ভিয়েনা ডেস্কঃ শনিবার (২৬ অক্টোবর) অস্ট্রিয়া সহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রাত তিনটায় ঘড়ির কাটা পিছিয়ে রাত দুইটা করা হবে। অর্থাৎ শরিবার দিবাগত রাত ৩ টার সময় ঘড়ির কাঁটার পরিবর্তন করে এক ঘণ্টা পিছিয়ে রাত ২টা করা হবে। ফলে আজ ইউরোপের মানুষ এক ঘণ্টা বেশি ঘুমাবে।

ঘড়ির কাঁটার এই পরিবর্তনের ফলে আগামীকাল রবিবার (২৭ অক্টোবর) থেকে বাংলাদেশের সাথে অস্ট্রিয়ার সময়ের পার্থক্য বা ব্যবধান হবে ৫ ঘণ্টা।
উদাহরণস্বরূপ আগামীকাল অস্ট্রিয়ার সময় দুপুর ১২টায় বাংলাদেশের সময় হবে বিকাল ৫টা।

উল্লেখ্য যে,ইউরোপে মার্চ ও অক্টোবর মাসের শেষ রবিবার বছরে দুইবার দিবালোক সঞ্চয়ের (সূর্যের আলো) কারণে ঘড়ির কাঁটা এক ঘণ্টা পরিবর্তন করে আসছে। এই সময় পরিবর্তন ইউরোপের দেশ অস্ট্রিয়া,ইতালি,জার্মানি, ফ্রান্স, স্পেন, হাঙ্গেরি, স্লোভেনিয়া, পোল্যান্ড, নরওয়ে, সুইডেন, ডেনমার্ক, বেলজিয়ামসহ ইউরোপের বেশিরভাগ দেশই একসাথে এই সেন্ট্রাল ইউরোপিয়ান টাইম জোনকে অনুসরণ করবে।

তবে বর্তমান এই আধুনিক প্রযুক্তির যুগে এবং পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন হওয়ায় অস্ট্রিয়া সহ ইউরোপের অনেক দেশই সূর্যের আলোর
জন্য এই সময়ের পরিবর্তন অযৌক্তিক মনে করছেন।

২০১৯ সালে অস্ট্রিয়া সহ ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের একাধিক দেশ এই সময়ের পরিবর্তন থেকে বেড়িয়ে আসার উদ্যোগ নেয়। বৈশ্বিক মহামারী করোনার প্রাদুর্ভাবের কারনে এই পরিকল্পনাটি স্থগিত হয়ে যায়।

সমগ্র পৃথিবীতে সময় নির্ণয়ের জন্য প্যারামিটার হিসাবে পরিচিত গ্রিনউইচ মিন টাইম বা জিএমটির সাথে ইউরোপের সেন্ট্রাল দেশগুলোর সময়ের ব্যবধান
আগামীকাল রবিবার থেকে ১ ঘণ্টায় এসে পৌঁছবে।

তবে রোমানিয়া, বুলগেরিয়া, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, বেলারুশ, ইউক্রেন, গ্রিস অর্থাৎ পূর্ব ইউরোপিয়ান টাইম জোনে থাকা দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সময়ের পার্থক্য হবে ৪ ঘণ্টা। গ্রিনউইচ মিন টাইম বা জিএমটির সঙ্গে এখন থেকে পূর্ব ইউরোপিয়ান টাইম জোনে থাকা দেশগুলোর সময়ের পার্থক্য হবে ২ ঘণ্টা। ইউরোপের দেশ যুক্তরাজ্য ও পর্তুগালের সঙ্গে বাংলাদেশের সময়ের পার্থক্য হবে ৬ ঘণ্টা।

উল্লেখ্য যে,২০০১ সাল থেকে ইউরোপের উপরোক্ত দেশগুলো প্রত্যেক বছরের মার্চ মাসের শেষ রবিবার ও অক্টোবর মাসের শেষ রবিবার অর্থাৎ বছরে দুবার
তাদের সময়ের পরিবর্তনের এই নিয়ম প্রবর্তন করে। তখনকার সময় ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের এক অধিবেশনে সদস্য রাষ্ট্রগুলো সম্মিলিতভাবে ঘড়ির কাঁটার পরিবর্তনের বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করে।

এ কারণে প্রত্যেক বছরের মার্চ মাসের শেষ রবিবার ঘড়ির কাঁটাকে ১ ঘণ্টা এগিয়ে নেওয়া হয়, যাকে ‘সামার টাইম’ বলা হয়। আবার অক্টোবরের শেষ রবিবার ঘড়ির কাঁটা ১ ঘণ্টা পিছিয়ে আবার মূল সময়ের ধারায় ফিরিয়ে আনা হয়, যা ‘উইন্টার টাইম’ হিসাবে পরিচিত।

কবির আহমেদ/ইবিটাইমস