ভিয়েনা ০৫:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
রোমানিয়া-বুলগেরিয়ার যৌথ অভিযানে ৮ মানবপাচারকারী গ্রেপ্তার মাধবপুরে ইঞ্জিন বিকল, ৩ ঘন্টা পর কালনী এক্সপ্রেস ট্রেন পুনরায় যাত্রা বেগম খালেদা জিয়ার অবস্থা অত্যন্ত সংকটময় সেতুসহ পাঁচ দাবিতে শাহবাগে ভোলাবাসীর অবস্থান পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে ৭০,৬৬০ প্রবাসীর নিবন্ধন বাউল শিল্পী আবুল সরকারের ফাঁসির দাবিতে লালমোহনে বিক্ষোভ লালমোহনে এসটিএস ডায়াগনস্টিক সেন্টারের উদ্বোধন অস্ট্রিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়ে পর্তুগালের অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপ জয়লাভ খাল–বিলহীন খিলগাতীতে সাড়ে ৯ কোটি টাকার ব্রিজ নির্মাণ, প্রশ্ন স্থানীয়দের প্লট বরাদ্দে জালিয়াতি মামলায় জয়ের ৫ বছরের কারাদণ্ড

চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি নামতে পারে ৪ শতাংশে: বিশ্বব্যাংক

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৭:৪৯:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪
  • ২৪ সময় দেখুন

মো. নাসরুল্লাহ, ঢাকা: নানামুখী উদ্যোগ সত্ত্বেও চাপে থাকবে বাংলাদেশের অর্থনীতি। অর্থবছর শেষে মূল্যস্ফীতি সামান্য কমলেও প্রবৃদ্ধি নিয়ে খুব বেশি সুখবর দিতে পারেনি ঋণদাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংক।

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এই মুহূর্তে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তাসহ চারটি প্রধান চ্যালেঞ্জ রয়েছে বলে মনে করছে বিশ্ববাংক। এগুলো হলো- উচ্চ মূল্যস্ফীতি, বহিঃস্থ খাতের চাপ এবং আর্থিক খাতের দুর্বলতা। এসব কারণে প্রবৃদ্ধি খুব বেশি বাড়বে না।

অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) কমে দাঁড়াতে পারে ৪ শতাংশ। তবে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে সেটি বেড়ে দাঁড়াতে পারে ৫ দশমিক ৫ শতাংশে। উল্লেখযোগ্য অনিশ্চয়তায় বিনিয়োগ ও শিল্পে দুর্বল প্রবৃদ্ধি এবং সাম্প্রতিক বন্যার ফলে কৃষিতে মাঝারি মানের প্রবৃদ্ধি হবে। এসবের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে  প্রবৃদ্ধিও ক্ষেত্রে।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিশ্বব্যাংকের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ ডেভলপমেন্ট আপডেট’ প্রতিবেদনে এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়।

চলতি অর্থবছরের পূর্বাভাস কমানোর পাশাপাশি বিশ্বব্যাংক গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলনও কমিয়ে ৫ দশমিক ২ শতাংশে নামিয়েছে। গত অর্থবছরের জন্য সরকারের সাময়িক প্রাক্কলন ছিল ৫ দশমিক ৮২ শতাংশ।

কর্মসংস্থান প্রসঙ্গে সংবাদ সন্মেলনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে কর্মের বাজারে চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে গ্যাপ রয়েছে। সেটি একটি বড় সমস্যা। এক্ষেত্রে রপ্তানি বহুমুখীকরণ, বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং শিক্ষার মান বাড়াতে হবে। দক্ষতার সঙ্গে বাংলাদেশের কারিগরি শিক্ষার মিস ম্যাচ আছে। প্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মসংস্থান বাড়াতে এসব বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। অভ্যন্তরীর্ণ রাজস্ব আদায়ের পরিস্থিতি খারাপ বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

সংবাদ সন্মেলনে অনলাইনে ওয়াসিংটন থেকে বক্তব্য রাখেন বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র ইকনোমিস্ট ধ্রুব শর্মা, ইকনোমিস্ট নাজমুস খান এবং বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র যোগাযোগ কর্মকর্তা মেহেরিন এ মাহবুব।

ঢাকা/ইবিটাইমস/এনএল/আরএন

জনপ্রিয়

রোমানিয়া-বুলগেরিয়ার যৌথ অভিযানে ৮ মানবপাচারকারী গ্রেপ্তার

Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি নামতে পারে ৪ শতাংশে: বিশ্বব্যাংক

আপডেটের সময় ০৭:৪৯:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪

মো. নাসরুল্লাহ, ঢাকা: নানামুখী উদ্যোগ সত্ত্বেও চাপে থাকবে বাংলাদেশের অর্থনীতি। অর্থবছর শেষে মূল্যস্ফীতি সামান্য কমলেও প্রবৃদ্ধি নিয়ে খুব বেশি সুখবর দিতে পারেনি ঋণদাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংক।

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এই মুহূর্তে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তাসহ চারটি প্রধান চ্যালেঞ্জ রয়েছে বলে মনে করছে বিশ্ববাংক। এগুলো হলো- উচ্চ মূল্যস্ফীতি, বহিঃস্থ খাতের চাপ এবং আর্থিক খাতের দুর্বলতা। এসব কারণে প্রবৃদ্ধি খুব বেশি বাড়বে না।

অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) কমে দাঁড়াতে পারে ৪ শতাংশ। তবে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে সেটি বেড়ে দাঁড়াতে পারে ৫ দশমিক ৫ শতাংশে। উল্লেখযোগ্য অনিশ্চয়তায় বিনিয়োগ ও শিল্পে দুর্বল প্রবৃদ্ধি এবং সাম্প্রতিক বন্যার ফলে কৃষিতে মাঝারি মানের প্রবৃদ্ধি হবে। এসবের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে  প্রবৃদ্ধিও ক্ষেত্রে।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিশ্বব্যাংকের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ ডেভলপমেন্ট আপডেট’ প্রতিবেদনে এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়।

চলতি অর্থবছরের পূর্বাভাস কমানোর পাশাপাশি বিশ্বব্যাংক গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলনও কমিয়ে ৫ দশমিক ২ শতাংশে নামিয়েছে। গত অর্থবছরের জন্য সরকারের সাময়িক প্রাক্কলন ছিল ৫ দশমিক ৮২ শতাংশ।

কর্মসংস্থান প্রসঙ্গে সংবাদ সন্মেলনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে কর্মের বাজারে চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে গ্যাপ রয়েছে। সেটি একটি বড় সমস্যা। এক্ষেত্রে রপ্তানি বহুমুখীকরণ, বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং শিক্ষার মান বাড়াতে হবে। দক্ষতার সঙ্গে বাংলাদেশের কারিগরি শিক্ষার মিস ম্যাচ আছে। প্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মসংস্থান বাড়াতে এসব বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। অভ্যন্তরীর্ণ রাজস্ব আদায়ের পরিস্থিতি খারাপ বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

সংবাদ সন্মেলনে অনলাইনে ওয়াসিংটন থেকে বক্তব্য রাখেন বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র ইকনোমিস্ট ধ্রুব শর্মা, ইকনোমিস্ট নাজমুস খান এবং বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র যোগাযোগ কর্মকর্তা মেহেরিন এ মাহবুব।

ঢাকা/ইবিটাইমস/এনএল/আরএন