ভিয়েনা ০৮:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এইচএসসির ফলাফলে লালমোহন হা-মীমের চমক, অন্য কলেজের যেমন ফলাফল

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ১০:২৯:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪
  • ২২ সময় দেখুন

ভোলা দক্ষিণ প্রতিনিধি: প্রথমবারের মতো নিজ প্রতিষ্ঠানের নামে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ফলাফলে চমক দেখিয়েছে ভোলার লালমোহন উপজেলার বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হা-মীম রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন বিভাগ থেকে ৪০ জন পরীক্ষার্থী অংশনেন।

মঙ্গলবার প্রকাশিত ওই পরীক্ষার ফলাফলে শতভাগ পাশের রেকর্ড সৃষ্টি করেছে লালমোহন হা-মীম রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরীক্ষার্থীরা। প্রকাশিত ফলাফলে ৩৬ জন জিপিএ-৫ এবং বাকি ৪ জন এ গ্রেড পেয়ে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। এ ফলাফলের মধ্যদিয়ে লালমোহন উপজেলায় প্রথমস্থান অর্জনের সফলতা পায় বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ‘লালমোহন হা-মীম রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ’।

আন্তরিকতার সঙ্গে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করানোর মাধ্যমে শিক্ষার গুণগতমান নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের নিরলস পরিশ্রমের কারণেই এই সাফল্য ধরা দিয়েছে বলে মনে করছেন লালমোহন হা-মীম রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. রুহুল আমিন। সকলের সার্বিক সহযোগিতায় এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি খুব দ্রæত সময়ের মধ্যে জাতীয় পর্যায়েও শ্রেষ্ঠ হবে বলে আশাবাদী তিনি।

এছাড়া, এইচএসসির প্রকাশিত ফলাফলে লালমোহন সরকারি শাহবাজপুর কলেজ থেকে ১৮২ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছেন ১২৩ জন। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৫৯ জন শিক্ষার্থী ফেল করেছেন। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ জন শিক্ষার্থী। করিমুন্নেছা-হাফিজ মহিলা কলেজ থেকে ২৫৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ২৩০ জন পরীক্ষার্থী। পরীক্ষায় এ কলেজের ২৮ জন শিক্ষার্থী ফেল করেছেন। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১৫ জন শিক্ষার্থী।

অন্যদিকে, হাজী নূরুল ইসলাম চৌধুরী মহাবিদ্যালয় থেকে ২৭৭ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছেন ২২৯ জন। ফেল করেছেন ৪৮ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১২ জন শিক্ষার্থী। ধলীগৌরনগর ডিগ্রি কলেজ থেকে ১৭৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছেন ১৪৫ জন। পরীক্ষায় এ কলেজের ৩০ জন শিক্ষার্থী ফেল করেছেন। তবে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৭ জন।

এদিকে, নূরুন্নবী চৌধুরী মহাবিদ্যালয় থেকে ৯১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছেন ৭৬ জন।  এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় ফেল করেছেন। তবে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ জন শিক্ষার্থী। পাঙাশিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ১৪ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছেন ১৩ জন। ফেল করেছেন ১ জন।

এছাড়া রমাগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ৯ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছেন ৬ জন শিক্ষার্থী। ফেল করেছেন ৩ জন। এই প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পাননি। গজারিয়া গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ৬৮ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছেন ৬৫ জন শিক্ষার্থী। ফেল করেছেন ৩ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৯ জন শিক্ষার্থী।

অপরদিকে, ডা. আজাহার উদ্দিন ডিগ্রি কলেজ থেকে ৭২ জন এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছেন ৫৫ জন শিক্ষার্থী। ফেল করেছেন ১৭ জন। তবে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কেউই জিপিএ-৫ পাননি। ডা. আজাহার উদ্দিন মেমোরিয়াল কলেজ থেকে ৫০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছেন ৪৪ জন শিক্ষার্থী। ফেল করেছেন ৬ জন। এখানেও নেই জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থী। বালুরচর দালাল বাজার স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ১৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছেন ৭ জন। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১২ জন শিক্ষার্থী ফেল করেছেন। জিপিএ-৫ পাননি প্রতিষ্ঠানটির কোনো শিক্ষার্থী।

জাহিদুল ইসলাম দুলাল/ইবিটাইমস 
জনপ্রিয়
Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

এইচএসসির ফলাফলে লালমোহন হা-মীমের চমক, অন্য কলেজের যেমন ফলাফল

আপডেটের সময় ১০:২৯:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪

ভোলা দক্ষিণ প্রতিনিধি: প্রথমবারের মতো নিজ প্রতিষ্ঠানের নামে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ফলাফলে চমক দেখিয়েছে ভোলার লালমোহন উপজেলার বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হা-মীম রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন বিভাগ থেকে ৪০ জন পরীক্ষার্থী অংশনেন।

মঙ্গলবার প্রকাশিত ওই পরীক্ষার ফলাফলে শতভাগ পাশের রেকর্ড সৃষ্টি করেছে লালমোহন হা-মীম রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরীক্ষার্থীরা। প্রকাশিত ফলাফলে ৩৬ জন জিপিএ-৫ এবং বাকি ৪ জন এ গ্রেড পেয়ে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। এ ফলাফলের মধ্যদিয়ে লালমোহন উপজেলায় প্রথমস্থান অর্জনের সফলতা পায় বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ‘লালমোহন হা-মীম রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ’।

আন্তরিকতার সঙ্গে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করানোর মাধ্যমে শিক্ষার গুণগতমান নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের নিরলস পরিশ্রমের কারণেই এই সাফল্য ধরা দিয়েছে বলে মনে করছেন লালমোহন হা-মীম রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. রুহুল আমিন। সকলের সার্বিক সহযোগিতায় এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি খুব দ্রæত সময়ের মধ্যে জাতীয় পর্যায়েও শ্রেষ্ঠ হবে বলে আশাবাদী তিনি।

এছাড়া, এইচএসসির প্রকাশিত ফলাফলে লালমোহন সরকারি শাহবাজপুর কলেজ থেকে ১৮২ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছেন ১২৩ জন। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৫৯ জন শিক্ষার্থী ফেল করেছেন। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ জন শিক্ষার্থী। করিমুন্নেছা-হাফিজ মহিলা কলেজ থেকে ২৫৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ২৩০ জন পরীক্ষার্থী। পরীক্ষায় এ কলেজের ২৮ জন শিক্ষার্থী ফেল করেছেন। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১৫ জন শিক্ষার্থী।

অন্যদিকে, হাজী নূরুল ইসলাম চৌধুরী মহাবিদ্যালয় থেকে ২৭৭ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছেন ২২৯ জন। ফেল করেছেন ৪৮ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১২ জন শিক্ষার্থী। ধলীগৌরনগর ডিগ্রি কলেজ থেকে ১৭৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছেন ১৪৫ জন। পরীক্ষায় এ কলেজের ৩০ জন শিক্ষার্থী ফেল করেছেন। তবে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৭ জন।

এদিকে, নূরুন্নবী চৌধুরী মহাবিদ্যালয় থেকে ৯১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছেন ৭৬ জন।  এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় ফেল করেছেন। তবে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ জন শিক্ষার্থী। পাঙাশিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ১৪ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছেন ১৩ জন। ফেল করেছেন ১ জন।

এছাড়া রমাগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ৯ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছেন ৬ জন শিক্ষার্থী। ফেল করেছেন ৩ জন। এই প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পাননি। গজারিয়া গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ৬৮ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছেন ৬৫ জন শিক্ষার্থী। ফেল করেছেন ৩ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৯ জন শিক্ষার্থী।

অপরদিকে, ডা. আজাহার উদ্দিন ডিগ্রি কলেজ থেকে ৭২ জন এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছেন ৫৫ জন শিক্ষার্থী। ফেল করেছেন ১৭ জন। তবে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কেউই জিপিএ-৫ পাননি। ডা. আজাহার উদ্দিন মেমোরিয়াল কলেজ থেকে ৫০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছেন ৪৪ জন শিক্ষার্থী। ফেল করেছেন ৬ জন। এখানেও নেই জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থী। বালুরচর দালাল বাজার স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ১৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছেন ৭ জন। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১২ জন শিক্ষার্থী ফেল করেছেন। জিপিএ-৫ পাননি প্রতিষ্ঠানটির কোনো শিক্ষার্থী।

জাহিদুল ইসলাম দুলাল/ইবিটাইমস