গোপলগঞ্জে আওয়ামী লীগের হামলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতা নিহত

ইবিটাইমস ডেস্ক: গোপালগঞ্জ সদরে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের হামলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় এক নেতা নিহত হয়েছেন। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার ঘোনাপাড়া মোড়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানীর গাড়িবহরে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে সাংবাদিকসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। কমপক্ষে ১০টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।

নিহত শওকত আলী দিদার (৪০) স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় ক্রীড়া সম্পাদক ছিলেন বলে জানিয়েছেন সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান। তিনি আরও জানান, হামলার প্রতিবাদে শনিবার সারাদেশে স্বেচ্ছাসেবক দল বিক্ষোভ কর্মসূচি করবে।

গাড়িবহরে থাকা গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শরীফ রফিক উজ্জামান জানান, শুক্রবার বিকেলে গোপালগঞ্জ সদরের বেদগ্রাম মোড়ে বিএনপির পথসভা হয়। সভা শেষে এস এম জিলানী গাড়িবহর নিয়ে গ্রামের বাড়ি টুঙ্গিপাড়া যাচ্ছিলেন। পথে ঘোনাপাড়া মোড়ে পৌঁছলে মাইকিং করে আগে থেকে অবস্থান নেওয়া আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ২০০-৩০০ নেতাকর্মী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ব্যারিকেড দেন। এক পর্যায়ে তারা গাড়ি ভাঙচুর ও নেতাকর্মীদের কুপিয়ে জখম করেন। ঘটনাস্থলেই শওকত আলী দিদার মারা যান এবং বহু নেতাকর্মী আহত হন।

সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সিকদার শহিদুল ইসলাম লেলিন জানান, ঘোনাপাড়া মোড়ে গোপালগঞ্জ পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আমিন মোল্লা, গোবরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জিকরুল ফকির, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আলিমুজ্জামান ও  হাসান মোল্লার নেতৃত্ব হামলা করা হয়।

হামলার কথা স্বীকার করে ঘোনাপাড়ার আওয়ামী লীগ নেতা আলীমুজ্জামান বলেন, ‘এস এম জিলানীর গাড়িবহর ঘোনাপাড়া অতিক্রমের সময় বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত ব্যানার ছিঁড়ে পদদলিত করে। বিষয়টি আমরা মাইকিং করে সবাইকে জানালে, স্থানীয়রা সংগঠিত হয়ে তাদের প্রতিরোধ করেন। তখনই অপ্রীতিকর ঘটনাটি ঘটে।’

গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মোহাম্মদ আনিচুর রহমান জানান, বিএনপির নেতাকর্মী গাড়িবহর নিয়ে টুঙ্গিপাড়া যাচ্ছিলেন। কেন এমন হয়েছে, তা জানা যায়নি। তবে শুনেছি, ব্যানার টানাটানি নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে। পরে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ঘোনাপাড়ার অদূরে দোলা পাম্পের বিপরীত পাশ থেকে শওকত আলী দিদার নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়। সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে। এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি বলে জানান তিনি।

আহতদের মধ্যে এস এম জিলানী, তাঁর স্ত্রী গোপালগঞ্জ জেলা মহিলা দলের সভাপতি রওশন আরা রত্নাও রয়েছেন। জিলানী, তার স্ত্রী রত্না ও বাদশা নামক একজনের অবস্থার অবনতি হলে, তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ডেস্ক/ইবিটাইমস/এনএল/আরএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Time limit exceeded. Please complete the captcha once again.

Translate »