ভিয়েনা ০৪:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেশের যে যেখানেই থাকিনা কেন, আমরা সবাই বাংলাদেশি – তারেক রহমান

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৮:৩৩:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ৭ সময় দেখুন

বিএনপিকে ধ্বংস করতে চেয়েও তৃণমূল নেতাকর্মীদের কারণে তা সম্ভব হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান

ইবিটাইমস ডেস্কঃ মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ৬৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে দেশব্যাপী ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসাবে চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের এক সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, তৃণমূলের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ থেকে সেই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করেছে। তৃণমূল নেতাকর্মীরা হলেন বিএনপির প্রাণ। ভৌগোলিক অবস্থান ভিন্ন হলেও সব ক্ষেত্রে আমাদের পরিচয় একটাই, আমরা সবাই বাংলাদেশি।

তারেক রহমান আরও বলেন, বিজয় এখনো অনেক দূরে, সফলতার পথ অনেক দীর্ঘ। আমরা গত ১৭ বছর বিরোধী দলে ছিলাম, আজও আছি। এখন আত্মতুষ্টির সময় নয়। তৃণমূল নেতাকর্মীরা অতন্দ্র প্রহরীর মতো অতীতে সঙ্কটকালে দলের পাশে ছিলেন। আগামীতেও বাংলাদেশের জনমানুষের প্রত্যাশার ভাষা বুঝে তাদের আস্থা ও ভালোবাসা অর্জন করলে বিএনপি দেশের মানুষকে একটা নতুন আর পরিবর্তিত বাংলাদেশ উপহার দিতে পারবে।

তিনি বলেন, আমরা কেউ মসজিদে যাই, কেউ মন্দিরে বা প্যাগোডায় কিংবা গির্জায়। তেমনি কারো উৎসব ঈদুল ফিতর, কারো বা দুর্গাপূজা কিংবা বড়দিন অথবা বৈসাবি পূর্ণিমা, সেটাও আমার আপনার সবার অভিন্ন পরিচয় নয়। বাংলাদেশের মানচিত্রে আপনার ঠিকানা হতে পারে পাহাড়ে, কারো আবার সমতলে, কেউবা থাকেন হাওড়ে আবার কেউ ছোট্ট দ্বীপে, নয়তো উপকূলের প্লাবন ভূমিতে কিংবা সুন্দরবনের পাশে-সব ক্ষেত্রে পরিচয় আমাদের একটাই, আমরা সবাই বাংলাদেশি।

এমনকি যারা এই পরিচয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চেষ্টা করেন তারাও জনরোষ এড়িয়ে পালানোর সময় যে পাসপোর্ট ব্যবহার করেছেন সেখানেও তাকে এই ‘বাংলাদেশি’ পরিচয়টিই ব্যবহার করতে হয়েছে। তিনি বলেন, এই পরিচয় আমার আপনার যোগ্যতার মূল্যায়নের সময় যেমন নিরপেক্ষভাবে ব্যবহার করতে হবে, ঠিক তেমনি আমাদের অপরাধের ক্ষেত্রেও থাকবে একই মাপকাঠি।

তারেক রহমান বলেন, সংখ্যালঘু কার্ড দিয়ে অনেক খেলা হয়েছে। সেটা দেশেও যেমন হয়েছে, দেশের বাইরেও কম হয়নি। নিজেদের অপকর্ম আড়াল করতে আর দেশকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্তে যুগ যুগ ধরে এই সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরুর স্পর্শকাতর বিষয় আর নির্যাতনের কল্পকাহিনি ফেদে রাজনৈতিক সুবিধা নেওয়ার অপচেষ্টা দেশে-বিদেশে বারবার কারা করেছে সেটাও আমরা সবাই জানি।

তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ধ্বংসের এই পুরোনো খেলার পুনরাবৃত্তি এ দেশে আর করতে দেওয়া হবে না। আসুন আমরা এগুলোকে হয় কবর দিয়ে নিশ্চিহ্ন করি, নয় তো চিতায় পুড়িয়ে ভস্ম করে দিই।

তিনি আরও বলেন, এ দেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি ধ্বংসের ষড়যন্ত্রকারীদের হাত থেকে এক ধর্মের উপাসনালয় আরেক ধর্মের অনুসারীরা ঐতিহ্যগতভাবে সুরক্ষিত রেখেছে যুগ যুগ ধরে। বারবার প্রমাণ করেছে এ দেশে সংখ্যালঘু আর সংখ্যাগুরু বলে কিছু নেই। আমাদের সবারই এক ও অভিন্ন পরিচয়, আমরা সবাই বাংলাদেশি। শুধু কথায় নয় কাজেও এটার প্রমাণ দিতে হবে, যখনই প্রয়োজন হবে।

মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাস আর অনুশাসনকে পুঁজি করে যারা ধর্মীয় স্থাপনায় রাজনীতি করবে, বিশ্বে বাংলাদেশের পরিচয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করবে, বাংলাদেশের রাজনীতিতে যারা ধর্ম বর্ণের বিভক্তিকে অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করবে, নিজ নিজ এলাকায় ঐক্যবদ্ধভাবে রাজনৈতিক প্রজ্ঞা দিয়ে তাদের প্রতিহত করতে পরামর্শ দেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।

রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আজ থেকে প্রায় দুই বছর আগে দেশের সাংবিধানিক কাঠামো আর জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবি নিয়ে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো ৩১ দফা কর্মসূচি দিয়েছে। যেটা সংশোধন ও পরিমার্জনের জন্য এখনো উন্মুক্ত। তবে তিনি নিশ্চয়তা দিয়ে বলেন, যারা যে সংস্কারের প্রস্তাবনাই আনুন, আমাদের সংস্কার প্রস্তাবে সেগুলোর সবই অন্তর্ভুক্ত আছে।

কবির আহমেদ/ইবিটাইমস 

জনপ্রিয়
Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

দেশের যে যেখানেই থাকিনা কেন, আমরা সবাই বাংলাদেশি – তারেক রহমান

আপডেটের সময় ০৮:৩৩:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বিএনপিকে ধ্বংস করতে চেয়েও তৃণমূল নেতাকর্মীদের কারণে তা সম্ভব হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান

ইবিটাইমস ডেস্কঃ মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ৬৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে দেশব্যাপী ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসাবে চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের এক সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, তৃণমূলের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ থেকে সেই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করেছে। তৃণমূল নেতাকর্মীরা হলেন বিএনপির প্রাণ। ভৌগোলিক অবস্থান ভিন্ন হলেও সব ক্ষেত্রে আমাদের পরিচয় একটাই, আমরা সবাই বাংলাদেশি।

তারেক রহমান আরও বলেন, বিজয় এখনো অনেক দূরে, সফলতার পথ অনেক দীর্ঘ। আমরা গত ১৭ বছর বিরোধী দলে ছিলাম, আজও আছি। এখন আত্মতুষ্টির সময় নয়। তৃণমূল নেতাকর্মীরা অতন্দ্র প্রহরীর মতো অতীতে সঙ্কটকালে দলের পাশে ছিলেন। আগামীতেও বাংলাদেশের জনমানুষের প্রত্যাশার ভাষা বুঝে তাদের আস্থা ও ভালোবাসা অর্জন করলে বিএনপি দেশের মানুষকে একটা নতুন আর পরিবর্তিত বাংলাদেশ উপহার দিতে পারবে।

তিনি বলেন, আমরা কেউ মসজিদে যাই, কেউ মন্দিরে বা প্যাগোডায় কিংবা গির্জায়। তেমনি কারো উৎসব ঈদুল ফিতর, কারো বা দুর্গাপূজা কিংবা বড়দিন অথবা বৈসাবি পূর্ণিমা, সেটাও আমার আপনার সবার অভিন্ন পরিচয় নয়। বাংলাদেশের মানচিত্রে আপনার ঠিকানা হতে পারে পাহাড়ে, কারো আবার সমতলে, কেউবা থাকেন হাওড়ে আবার কেউ ছোট্ট দ্বীপে, নয়তো উপকূলের প্লাবন ভূমিতে কিংবা সুন্দরবনের পাশে-সব ক্ষেত্রে পরিচয় আমাদের একটাই, আমরা সবাই বাংলাদেশি।

এমনকি যারা এই পরিচয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চেষ্টা করেন তারাও জনরোষ এড়িয়ে পালানোর সময় যে পাসপোর্ট ব্যবহার করেছেন সেখানেও তাকে এই ‘বাংলাদেশি’ পরিচয়টিই ব্যবহার করতে হয়েছে। তিনি বলেন, এই পরিচয় আমার আপনার যোগ্যতার মূল্যায়নের সময় যেমন নিরপেক্ষভাবে ব্যবহার করতে হবে, ঠিক তেমনি আমাদের অপরাধের ক্ষেত্রেও থাকবে একই মাপকাঠি।

তারেক রহমান বলেন, সংখ্যালঘু কার্ড দিয়ে অনেক খেলা হয়েছে। সেটা দেশেও যেমন হয়েছে, দেশের বাইরেও কম হয়নি। নিজেদের অপকর্ম আড়াল করতে আর দেশকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্তে যুগ যুগ ধরে এই সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরুর স্পর্শকাতর বিষয় আর নির্যাতনের কল্পকাহিনি ফেদে রাজনৈতিক সুবিধা নেওয়ার অপচেষ্টা দেশে-বিদেশে বারবার কারা করেছে সেটাও আমরা সবাই জানি।

তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ধ্বংসের এই পুরোনো খেলার পুনরাবৃত্তি এ দেশে আর করতে দেওয়া হবে না। আসুন আমরা এগুলোকে হয় কবর দিয়ে নিশ্চিহ্ন করি, নয় তো চিতায় পুড়িয়ে ভস্ম করে দিই।

তিনি আরও বলেন, এ দেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি ধ্বংসের ষড়যন্ত্রকারীদের হাত থেকে এক ধর্মের উপাসনালয় আরেক ধর্মের অনুসারীরা ঐতিহ্যগতভাবে সুরক্ষিত রেখেছে যুগ যুগ ধরে। বারবার প্রমাণ করেছে এ দেশে সংখ্যালঘু আর সংখ্যাগুরু বলে কিছু নেই। আমাদের সবারই এক ও অভিন্ন পরিচয়, আমরা সবাই বাংলাদেশি। শুধু কথায় নয় কাজেও এটার প্রমাণ দিতে হবে, যখনই প্রয়োজন হবে।

মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাস আর অনুশাসনকে পুঁজি করে যারা ধর্মীয় স্থাপনায় রাজনীতি করবে, বিশ্বে বাংলাদেশের পরিচয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করবে, বাংলাদেশের রাজনীতিতে যারা ধর্ম বর্ণের বিভক্তিকে অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করবে, নিজ নিজ এলাকায় ঐক্যবদ্ধভাবে রাজনৈতিক প্রজ্ঞা দিয়ে তাদের প্রতিহত করতে পরামর্শ দেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।

রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আজ থেকে প্রায় দুই বছর আগে দেশের সাংবিধানিক কাঠামো আর জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবি নিয়ে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো ৩১ দফা কর্মসূচি দিয়েছে। যেটা সংশোধন ও পরিমার্জনের জন্য এখনো উন্মুক্ত। তবে তিনি নিশ্চয়তা দিয়ে বলেন, যারা যে সংস্কারের প্রস্তাবনাই আনুন, আমাদের সংস্কার প্রস্তাবে সেগুলোর সবই অন্তর্ভুক্ত আছে।

কবির আহমেদ/ইবিটাইমস