ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: হাসপাতালটি উদ্বোধন হয়েছে ৯ মাস। আছে সকল চিকিৎসা সরঞ্জাম। তবে চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্টাফ নিয়োগ না হওয়ায় এখনো তা চালু হয়নি। ফলে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ৫টি ইউনিয়নের প্রায় ৫০ গ্রামের মানুষ। এমন অবস্থায় অতিসত্তর হাসপাতালটি চালু করার দাবি এলাকাবাসীর।
এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বলছেন, সংসদ সদস্যের মাধ্যমে প্রশাসনিক অনুমোদনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
হাসপাতালটির অবস্থান ঝিনাইদহের মহেশপুরে। ওই উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ‘ভৈরবা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল’ নির্মাণ করা হয়। চিকিৎসা সেবা নিতে ২০/২৫ কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিয়ে মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেতে হতো তাদের। হাসপাতাল নির্মাণ হয়ে সীমান্তবর্তী মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে ঠিকই কিন্তু চালু না হওয়ায় সেবা পাচ্ছেন না সেখানকার মানুষ।
জানা গেছে, মহেশপুর উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী এলাকার ৫টি ইউনিয়নের ৫০ গ্রামের সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবার দুর্ভোগ লাঘবে সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুল আজম খান চঞ্চলের চেষ্টায় ভৈরবা সাকরখাল এলাকায় ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়। হাসপাতালের সব যন্ত্রপাতিও সরবরাহ করা হয়েছে। সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক গত বছরের অক্টোবর মাসে এটি উদ্বোধন করেন। কিন্তু উদ্ধোধনের ৯ মাস পেরিয়ে গেলেও আজও চালু হয়নি হাসপাতালটি।
স্থানীয়রা জানান,’সীমান্ত এলাকা থেকে একজন মুমূর্ষু রোগীকে ২০/২৫ কিলোমিটার রাস্তা পারি দিয়ে মহেশপুর হাসপাতালে নিয়ে যেতে দুর্ভোগে পড়তে হয়। রোগীর অবস্থা বেশি খারাপ হয়ে যায়, এমনকি মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে। তাই ভৈরবা হাসপাতলটি দ্রুত চালু করে সীমান্ত এলাকার মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা জরুরি। এতে স্বাস্থ্যসেবা পেতে অর্থ ও সময় দুটোই সাশ্রয় হবে।’
মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহমুদ বিন হেদায়েত বলেন,’২০ শয্যা হাসপাতালটি উদ্ধোধন করা হলেও এখনো স্বাস্থ্য মন্ত্রালয়ের প্রশাসনিক অনুমোদন হয়নি। আমরা সংসদ সদস্যের মাধ্যমে প্রশাসনিক অনুমোদনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
শেখ ইমন/ইবিটাইমস