ভিয়েনা ০৯:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বর্ণবাদ আবার ব্রিটিশ রাজনীতিতে ফিরে এসেছে-বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী তুরস্কে আবারও ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তি আলোচনা শুরু করতে আগ্রহী রাশিয়া আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়ার তেল রাজস্ব ৩৭ বিলিয়ন ডলার কমেছে -জেলেনস্কি ষষ্ঠবারের মতো শ্রেষ্ঠ ওসি লালমোহন থানার সিরাজুল ইসলাম লালমোহনে গ্রাম আদালত বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত মাভাবিপ্রবিতে ফরেনসিক ইনভেস্টিগেশন ও যুক্তরাজ্যে উচ্চশিক্ষা বিষয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত বন্যা সহনশীলতা কর্মসূচির আওতায় চারা গাছ বিতরণ ও কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবিগঞ্জে গ্রীষ্মকালীন সুইট ব্যাল্ক টু জাতের তরমুজ চাষে লাভবান কৃষকরা টাঙ্গাইলে ৭ দিনব্যাপী ভাসানী মেলা উদ্বোধন জর্জিয়ায় তুরস্কের সামরিক বিমান দুর্ঘটনায় ২০ জন নিহত

আদালতের নির্দেশ অমান্য করে বিক্রি হচ্ছে ইলেক্ট্রোলাইট পানীয়

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ১০:৩৮:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪
  • ১৫ সময় দেখুন

স্টাফ রি‌পোর্টারঃ আদালতের আদেশ অমান্য করে এসএমসি-এর এসএমসি প্লাস, প্রাণ-এর অ্যাক্টিভ, ব্রুভানা বেভারেজ লিমিটেড-এর ব্রুভানা, দেশবন্ধু ও আগামী’র রিচার্জ এবং আকিজ-এর টার্বো এখনও বাজারজাত কর যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট কোম্পানী। গতকাল ২৫ জুন ঢাকার বিভিন্ন ঔষধ এর দোকানে এসব নিষিদ্ধ পন্য সংশ্লিষ্ট কোম্পানী বিক্রয় প্রতিনিধিদের সরবরাহ করতে দেখা যায়। এবং নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক  এসএমসির বিক্রয় প্রতিনিধি জানান তারা বিএসটিআইয়ের কাছে আবেদন করেছেন, সীগ্রইবিএসটিআই এর অনুমোদন পাবেন। তারা দোকানদারদের চুপিচুপি বিক্রয় করতে বলেন।

উল্লেখ্য গত ১৪ মে, ২০২৪ মঙ্গলবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মো. কামরুল হাসান বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে ৭টি কোম্পানির পাঁচ ইলেক্ট্রোলাইট পানীয় নিষিদ্ধ চেয়ে মামলাটি করেন। এগুলো হলো একমি ও এসএমসি-এর এসএমসি প্লাস, প্রাণ-এর অ্যাক্টিভ, ব্রুভানা বেভারেজ লিমিটেড-এর ব্রুভানা, দেশবন্ধু ও আগামী’র রিচার্জ এবং আকিজ-এর টার্বো।

মো: কামরুল হাসান বর্তমানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩-এর অধীনে মামলাটি দায়ের করেন।

কোম্পানিগুলোর কর্মকর্তারা বলছেন, ইলেক্ট্রোলাইট পানীয় বাজারে সরবরাহের আগে বিএসটিআই-এর কাছে অনুমোদনের জন্য আবেদন জানানো হয়েছিল। তবে সংস্থাটির ক্যাটাগরিতে ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস না থাকায় অনুমোদন দেওয়া যায়নি।

সোশ্যাল মার্কেটিং কোম্পানির (এসএমসি) জেনারেল ম্যানেজার (বিপণন) খন্দকার শামীম রহমান  বলেন, ‘ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস নিয়ে আমরা বিএসটিআইয়ের সঙ্গে বসেছিলাম। কিন্তু বিএসটিআই যেসব পণ্যের অনুমোদন দিতে পারে সে তালিকায় ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস নেই। তাদের পক্ষ থেকে তখন বলা হয়, এটার অনুমোদন লাগবে না। যখন নতুন করে এটাকে ক্যাটাগরিতে যুক্ত করা হবে তখন অনুমোদন দেওয়া হবে।’ তিনি বলেন, ‘ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস যেহেতু ঔষধ না, তাই ঔষধ প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমোদন নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা নেই। ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস ক্লান্তি দূর করে এবং এটি স্বাস্থ্যকর পানীয়।’ তিনি প্রশ্ন করেন, ‘এখানে এ পণ্যের অনুমোদন পাওয়ার জন্য কোনো ব্যবস্থা নেই। তাহলে অনুমোদন প্রদানের দায়িত্ব কার?’

মোঃ সোয়েব মেজবাহউদ্দিন/ইবিটাইমস 

জনপ্রিয়

বর্ণবাদ আবার ব্রিটিশ রাজনীতিতে ফিরে এসেছে-বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী

Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

আদালতের নির্দেশ অমান্য করে বিক্রি হচ্ছে ইলেক্ট্রোলাইট পানীয়

আপডেটের সময় ১০:৩৮:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪

স্টাফ রি‌পোর্টারঃ আদালতের আদেশ অমান্য করে এসএমসি-এর এসএমসি প্লাস, প্রাণ-এর অ্যাক্টিভ, ব্রুভানা বেভারেজ লিমিটেড-এর ব্রুভানা, দেশবন্ধু ও আগামী’র রিচার্জ এবং আকিজ-এর টার্বো এখনও বাজারজাত কর যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট কোম্পানী। গতকাল ২৫ জুন ঢাকার বিভিন্ন ঔষধ এর দোকানে এসব নিষিদ্ধ পন্য সংশ্লিষ্ট কোম্পানী বিক্রয় প্রতিনিধিদের সরবরাহ করতে দেখা যায়। এবং নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক  এসএমসির বিক্রয় প্রতিনিধি জানান তারা বিএসটিআইয়ের কাছে আবেদন করেছেন, সীগ্রইবিএসটিআই এর অনুমোদন পাবেন। তারা দোকানদারদের চুপিচুপি বিক্রয় করতে বলেন।

উল্লেখ্য গত ১৪ মে, ২০২৪ মঙ্গলবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মো. কামরুল হাসান বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে ৭টি কোম্পানির পাঁচ ইলেক্ট্রোলাইট পানীয় নিষিদ্ধ চেয়ে মামলাটি করেন। এগুলো হলো একমি ও এসএমসি-এর এসএমসি প্লাস, প্রাণ-এর অ্যাক্টিভ, ব্রুভানা বেভারেজ লিমিটেড-এর ব্রুভানা, দেশবন্ধু ও আগামী’র রিচার্জ এবং আকিজ-এর টার্বো।

মো: কামরুল হাসান বর্তমানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩-এর অধীনে মামলাটি দায়ের করেন।

কোম্পানিগুলোর কর্মকর্তারা বলছেন, ইলেক্ট্রোলাইট পানীয় বাজারে সরবরাহের আগে বিএসটিআই-এর কাছে অনুমোদনের জন্য আবেদন জানানো হয়েছিল। তবে সংস্থাটির ক্যাটাগরিতে ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস না থাকায় অনুমোদন দেওয়া যায়নি।

সোশ্যাল মার্কেটিং কোম্পানির (এসএমসি) জেনারেল ম্যানেজার (বিপণন) খন্দকার শামীম রহমান  বলেন, ‘ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস নিয়ে আমরা বিএসটিআইয়ের সঙ্গে বসেছিলাম। কিন্তু বিএসটিআই যেসব পণ্যের অনুমোদন দিতে পারে সে তালিকায় ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস নেই। তাদের পক্ষ থেকে তখন বলা হয়, এটার অনুমোদন লাগবে না। যখন নতুন করে এটাকে ক্যাটাগরিতে যুক্ত করা হবে তখন অনুমোদন দেওয়া হবে।’ তিনি বলেন, ‘ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস যেহেতু ঔষধ না, তাই ঔষধ প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমোদন নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা নেই। ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস ক্লান্তি দূর করে এবং এটি স্বাস্থ্যকর পানীয়।’ তিনি প্রশ্ন করেন, ‘এখানে এ পণ্যের অনুমোদন পাওয়ার জন্য কোনো ব্যবস্থা নেই। তাহলে অনুমোদন প্রদানের দায়িত্ব কার?’

মোঃ সোয়েব মেজবাহউদ্দিন/ইবিটাইমস