পুলিশ জনতা মুখোমুখি, থানা ঘেরাও পাল্টাপাল্টি হামলা, পুলিশসহ আহত ৩০

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের শৈলকুপায় থানা পুলিশের সাথে স্থানীয় জনতার সংঘর্ষে উভয়পক্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে ২৫ জনকে শৈলকুপা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল ও কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১ জনের অবস্থা গুরুতর।

শৈলকুপা থানার ওসি শফিকুল ইসলাম জানান, একটি মামলায় ধাওড়া গ্রামের এজাহারভুক্ত আসামী মোস্তাক শিকদারকে পুলিশ গ্রেফতার করায় তার কর্মী সমর্থকেরা থানায় হঠাৎ আক্রমণ করে। এসময় পুলিশের গাড়ি ভাংচুরসহ পুলিশের একাধিক সদস্য আহত হয়। থানায় আক্রমণ প্রতিরোধ করতে ২০ থেকে ২৫ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও মোস্তাক শিকদারের সমর্থকেরা জানান, শৈলকুপা থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম যোগদানের পর থেকেই বেপরোয়া একতরফা আচরণ করে আসছিল। সম্প্রতি উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন গ্রামের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তিনি ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমানকে নেপথ্যে মদদ দিয়ে আসছিলেন।

গত শনিবার সন্ধ্যায় ডাউটিয়া বাজারে হামলার ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ আখ্যা দিয়ে একাধিক রাজনৈতিক কর্মীরা বলেন, অযৌক্তিক হয়রানির উদ্দ্যেশে মোস্তাক শিকদারকে থানায় নিয়ে আসলে স্থানীয়রা দেখতে আসেন। এ নিয়ে পুলিশের সাথে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। জোটবদ্ধ জনতা পুলিশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে থানা গেটে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে, পুলিশও পাল্টা আক্রমণ চালায়। এ সময় ধাওড়া গ্রামের ফিরোজ সিকদার, আলী আব্বাস, বায়োজিদ, রাজিবুল, তুহিন, নাফিজ, সালামত, সুইম, জান্নাত হোসেন, আসাদুজ্জামান, সাইফুদ্দিন, সাত্তার শিকদার, ইমন শিকদার, আব্দুল ওহাব, রিয়াজুলসহ পুলিশ সদস্য ফিরোজ, হাসান, সোহান, ইমরান সহ অন্তত ৩০ জন আহত অবস্থায় শৈলকুপা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করেন। এদের মধ্যে ধাওড়া গ্রামের গুরুতর আহত সালামতসহ সবাইকে বুলেটবিদ্ধ অবস্থায় ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

শৈলকুপা হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুর রাজ্জাক জানান, বিভিন্ন বয়সী আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও ছোটখাটো অনেকের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে বিশ্রামের জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এব্যাপারে থানায় গ্রেফতারকৃত মোস্তাক শিকদারের ভাই সাব্বাস আলী জানান, মোস্তাকের বিরুদ্ধে কোন মামলা নেই, পুলিশের অতি উৎসাহ এবং প্রতিপক্ষ গ্রুপের মদদে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেন। তারা শৈলকুপা থানা পুলিশের বিরুদ্ধে উচ্চমহলে অভিযোগ জানাবেন।

শেখ ইমন/ইবিটাইমস 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Time limit exceeded. Please complete the captcha once again.

Translate »