ভিয়েনা ১০:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লালমোহনে টুংটাং শব্দে মুখরিত কামারপট্টি

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৫:৫৭:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুন ২০২৪
  • ১৯ সময় দেখুন
ভোলা দক্ষিণ প্রতিনিধি: ভোলার লালমোহনে আসন্ন ঈদ উল আযহাকে সামনে রেখে কামার পট্টিতে দিন দিন বাড়ছে ব্যস্ততা। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত টুংটাং শব্দ বেজেই চলেছে কামার পট্রিতে। একদিকে হাপরে আগুনের শিখা অন্যদিকে হাতুরির টুংটাং শব্দে প্রতিদিনই তৈরী হচ্ছে নতুন দা, বটি, ছুরি ও চাপাতি। পুরাতন দা, বটি, ছুরি ও চাপাতিকে নতুন করে ধার দিতে নিয়ে আসছেন অনেকে। লালমোহন পৌর শহর থেকে শুরু করে গ্রামের বিভিন্ন বাজরের কামার পট্রিতে সবখানেই কামারদের এই ব্যস্ততা লক্ষনীয়। স্থায়ী কামারের দোকানের পাশাপাশি ঈদকে সামনে রেখে বিভিন্ন হাট-বাজারে বসেছে অস্থায়ী কামারের দোকানও।
উপজেলার নাজিরপুর, দেবিরচর, ডাওরী, গজারিয়া, কর্তারহাট, রায়চাঁদ, লর্ডহার্ডিঞ্জ, চতলা, মঙ্গলসিকদার, হরিগঞ্জসহ বিভিন্ন  হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে, লোকজন কোরবানির পশু কাঁটার জন্য দা, ছুরি ও বটিতে শান দেয়ার জন্য কামারদের কাছে আসছেন। এদের মধ্যে আবার কেউ কেউ নতুন করেই তৈরি করে নিচ্ছেন দা, ছুরি ও বটি। যার ফলে রাত-বিরাত বেড়েই চলছে কামারদের ব্যস্ততা।
পৌরসভার কামার পট্টিতে আসা ক্রেতা মাহমুদ লিটন ও রিয়াজ বলেন, প্রতি বছরই কোরবানি দিচ্ছি। আগের প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো শান দিতে এসেছি। কোরবানিকে সামনে রেখে কামাররা শান দেয়ার দাম একটু বেশি নিচ্ছেন। তবে আমাদের প্রয়োজনে আমরা মেনে নিচ্ছি।
লালমোহন পৌর শহরের কামার পট্টির তাপস, সুশীল আবিল, বাবুল ও বিপ্লব বলেন, বংশ পরম্পরায় আমারা কামার পেশার সাথে জড়িত। বছরে শুধু কোরবানির সময় আমাদের কাজ বেশি হয়। বেচাকেনা হয় ভালো। বাকী  সময়ই আমাদের অলস সময় কাটাতে হয়। নতুন জিনিস খুব কম মনুষই কিনছেন। সবাই পুরাতন দা, ছুরি ও বটি শান দিয়ে নিচ্ছেন। আশা করছি আরও কয়েকদিন পর বেচাকিনা আরো বাড়বে এবং নতুন সরঞ্জাম বিক্রি করতে পারবো।
জাহিদুল ইসলাম দুলাল/ইবিটাইমস 
Tag :
জনপ্রিয়
Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

লালমোহনে টুংটাং শব্দে মুখরিত কামারপট্টি

আপডেটের সময় ০৫:৫৭:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুন ২০২৪
ভোলা দক্ষিণ প্রতিনিধি: ভোলার লালমোহনে আসন্ন ঈদ উল আযহাকে সামনে রেখে কামার পট্টিতে দিন দিন বাড়ছে ব্যস্ততা। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত টুংটাং শব্দ বেজেই চলেছে কামার পট্রিতে। একদিকে হাপরে আগুনের শিখা অন্যদিকে হাতুরির টুংটাং শব্দে প্রতিদিনই তৈরী হচ্ছে নতুন দা, বটি, ছুরি ও চাপাতি। পুরাতন দা, বটি, ছুরি ও চাপাতিকে নতুন করে ধার দিতে নিয়ে আসছেন অনেকে। লালমোহন পৌর শহর থেকে শুরু করে গ্রামের বিভিন্ন বাজরের কামার পট্রিতে সবখানেই কামারদের এই ব্যস্ততা লক্ষনীয়। স্থায়ী কামারের দোকানের পাশাপাশি ঈদকে সামনে রেখে বিভিন্ন হাট-বাজারে বসেছে অস্থায়ী কামারের দোকানও।
উপজেলার নাজিরপুর, দেবিরচর, ডাওরী, গজারিয়া, কর্তারহাট, রায়চাঁদ, লর্ডহার্ডিঞ্জ, চতলা, মঙ্গলসিকদার, হরিগঞ্জসহ বিভিন্ন  হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে, লোকজন কোরবানির পশু কাঁটার জন্য দা, ছুরি ও বটিতে শান দেয়ার জন্য কামারদের কাছে আসছেন। এদের মধ্যে আবার কেউ কেউ নতুন করেই তৈরি করে নিচ্ছেন দা, ছুরি ও বটি। যার ফলে রাত-বিরাত বেড়েই চলছে কামারদের ব্যস্ততা।
পৌরসভার কামার পট্টিতে আসা ক্রেতা মাহমুদ লিটন ও রিয়াজ বলেন, প্রতি বছরই কোরবানি দিচ্ছি। আগের প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো শান দিতে এসেছি। কোরবানিকে সামনে রেখে কামাররা শান দেয়ার দাম একটু বেশি নিচ্ছেন। তবে আমাদের প্রয়োজনে আমরা মেনে নিচ্ছি।
লালমোহন পৌর শহরের কামার পট্টির তাপস, সুশীল আবিল, বাবুল ও বিপ্লব বলেন, বংশ পরম্পরায় আমারা কামার পেশার সাথে জড়িত। বছরে শুধু কোরবানির সময় আমাদের কাজ বেশি হয়। বেচাকেনা হয় ভালো। বাকী  সময়ই আমাদের অলস সময় কাটাতে হয়। নতুন জিনিস খুব কম মনুষই কিনছেন। সবাই পুরাতন দা, ছুরি ও বটি শান দিয়ে নিচ্ছেন। আশা করছি আরও কয়েকদিন পর বেচাকিনা আরো বাড়বে এবং নতুন সরঞ্জাম বিক্রি করতে পারবো।
জাহিদুল ইসলাম দুলাল/ইবিটাইমস