ভিয়েনা ০১:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
রাস্তার মাঝে বিদ্যুতের খুঁটি, ভোগান্তিতে এলাকাবাসী টাঙ্গাইলে প্রিণ্ট মিডিয়া আসোসিয়েশন নিন্দা ও প্রতিবাদ সিইসির সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধিদলের বৈঠক আগামী নির্বাচনে সৎ ও যোগ্য প্রার্থী বেছে নেওয়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার এডাব ঝালকাঠি জেলা শাখার সভাপতি শাহ্ আলম, সম্পাদক হোসাইন আহমেদ ‎ ঝালকাঠির দুটি আসনে ৭ জনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ লাবীব গ্রুপের চেয়ারম্যানকে গ্রেফতারের দাবিতে টাঙ্গাইলে মানববন্ধন নির্বাচনের আগে যে কোনো মূল্যে আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করলেন তিন বাহিনী প্রধান সুদানে শাহাদাত বরণকারী শান্তিরক্ষীদের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত

গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে যুক্তরাষ্ট্র মিত্র দেশ সমূহের বাড়তি সমর্থন চাইছে

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৮:২২:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুন ২০২৪
  • ৬০ সময় দেখুন

গাজার সংঘাতে সাময়িক বিরতি, মানবিক ত্রাণের প্রবাহ বাড়ানো ও হামাসের হাতে বন্দি কিছু জিম্মি মুক্তির প্রস্তাবের ভাগ্য মঙ্গলবারও অনিশ্চিয়তা যায় নি

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ মঙ্গলবার (৪ জুন) যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ মাধ্যম ভয়েস অফ আমেরিকা তাদের এক প্রতিবেদনে জানায়, ফিলিস্তিনের হামাস এখনো যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাবে কোনো সাড়া দেয়নি। ভোয়া আরও জানায়, ইসরায়েলি কর্মকর্তারা কিছু বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এবং যুক্তরাষ্ট্র এই চুক্তি মেনে নেওয়া ও বাস্তবায়নে জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের সমর্থন চেয়েছে।

ভায়া আরও জানায়,জাতিসংঘে উপস্থাপনের উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি করা একটি খসড়া প্রস্তাবের কপি তাদের হাতে এসেছে। সেখানে হামাসকে “অবিলম্বে ও শর্তহীনভাবে” এই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মেনে নিয়ে তা বাস্তবায়নের আহ্বান জানানো হয়েছে। উক্ত খসড়ায় বলা হয়েছে, “এই চুক্তি দ্রুত বাস্তবায়ন করা হলে যুদ্ধবিরতি, গাজার জনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার, জিম্মিদের মুক্তি, মানবিক ত্রাণের প্রবাহ বৃদ্ধি, মৌলিক সেবাগুলো আবারও চালু করা এবং উত্তর গাজায় ফিলিস্তিনি বেসামরিক ব্যক্তিদের ফিরে আসা সম্ভব হবে।”

যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা গতকাল সোমবার(৩ জুন) আবারও জানান, এই যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত সপ্তাহে জনসম্মুখে উপস্থাপন করলেও বস্তুত এটি একটি ইসরায়েলি প্রস্তাব। সাত শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রধান রাষ্ট্রের জোট জি-সেভেনের নেতারা সোমবার এক যৌথ বিবৃতিতে এই যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব বাস্তবায়নের সুপারিশ করেছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, “আমরা হামাসকে আহ্বান জানাই এই চুক্তি মেনে নিতে। ইসরায়েল এই চুক্তি অনুযায়ী এগিয়ে যেতে প্রস্তুত। আমরা হামাসের ওপর প্রভাব রয়েছে এমন সব দেশকে অনুরোধ জানাই তারা যেন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ও বাস্তবায়নে তাদেরকে সহায়তা করে।” সোমবার এক ভার্চুয়াল বৈঠকের পর মিশর, জর্ডান, সৌদি আরব, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বলেন, তারা স্থায়ী যুদ্ধবিরতির দরকষাকষিকে সমর্থন করেন। তবে তারা একই সঙ্গে বাইডেনের দেওয়া প্রস্তাবকে “গুরত্ব সহকারে ও ইতিবাচকভাবে বিবেচনায় নেওয়ার” অনুরোধ করেন।

মন্ত্রীরা গাজা ভূখণ্ড থেকে ইসরায়েলের পূর্ণাঙ্গ প্রত্যাহার, পালিয়ে যেতে বাধ্য হওয়া ফিলিস্তিনিদের নিজ অঞ্চলে ফিরে যেতে দেওয়া, গাজায় মেরামত ও সংস্কার প্রক্রিয়া শুরু এবং দুই-রাষ্ট্র সমাধান বাস্তবায়নের দাবি জানান। জর্ডানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানা গেছে।

উল্লেখ্য যে,গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামাসের হামলায় প্রায় ১,২০০ ইসরায়েলের নাগরিক নিহত হয়। তাছাড়াও হামাস ২৫০ জনকে জিম্মি করে। ইসরায়েলের গোয়েন্দাদের তথ্য অনুযায়ে তাদের মধ্যে ১২০জন এখনো গাজায় আছেন। অপর ৩৭ জিম্মি ইতোমধ্যেই নিহত হয়েছেন বলে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে।

এই ঘটনার প্রতিশোধে ইসরায়েল গাজায় নিরবচ্ছিন্ন ও নির্বিচার স্থল ও বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এসব হামলায় গাজায় ৩৬ হাজার ৪০০ মানুষ নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। নিহতদের এই সংখ্যায় বেসামরিক ও যোদ্ধারা অন্তর্ভুক্ত। যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।

কবির আহমেদ/ইবিটাইমস 

জনপ্রিয়

রাস্তার মাঝে বিদ্যুতের খুঁটি, ভোগান্তিতে এলাকাবাসী

Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে যুক্তরাষ্ট্র মিত্র দেশ সমূহের বাড়তি সমর্থন চাইছে

আপডেটের সময় ০৮:২২:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুন ২০২৪

গাজার সংঘাতে সাময়িক বিরতি, মানবিক ত্রাণের প্রবাহ বাড়ানো ও হামাসের হাতে বন্দি কিছু জিম্মি মুক্তির প্রস্তাবের ভাগ্য মঙ্গলবারও অনিশ্চিয়তা যায় নি

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ মঙ্গলবার (৪ জুন) যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ মাধ্যম ভয়েস অফ আমেরিকা তাদের এক প্রতিবেদনে জানায়, ফিলিস্তিনের হামাস এখনো যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাবে কোনো সাড়া দেয়নি। ভোয়া আরও জানায়, ইসরায়েলি কর্মকর্তারা কিছু বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এবং যুক্তরাষ্ট্র এই চুক্তি মেনে নেওয়া ও বাস্তবায়নে জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের সমর্থন চেয়েছে।

ভায়া আরও জানায়,জাতিসংঘে উপস্থাপনের উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি করা একটি খসড়া প্রস্তাবের কপি তাদের হাতে এসেছে। সেখানে হামাসকে “অবিলম্বে ও শর্তহীনভাবে” এই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মেনে নিয়ে তা বাস্তবায়নের আহ্বান জানানো হয়েছে। উক্ত খসড়ায় বলা হয়েছে, “এই চুক্তি দ্রুত বাস্তবায়ন করা হলে যুদ্ধবিরতি, গাজার জনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার, জিম্মিদের মুক্তি, মানবিক ত্রাণের প্রবাহ বৃদ্ধি, মৌলিক সেবাগুলো আবারও চালু করা এবং উত্তর গাজায় ফিলিস্তিনি বেসামরিক ব্যক্তিদের ফিরে আসা সম্ভব হবে।”

যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা গতকাল সোমবার(৩ জুন) আবারও জানান, এই যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত সপ্তাহে জনসম্মুখে উপস্থাপন করলেও বস্তুত এটি একটি ইসরায়েলি প্রস্তাব। সাত শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রধান রাষ্ট্রের জোট জি-সেভেনের নেতারা সোমবার এক যৌথ বিবৃতিতে এই যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব বাস্তবায়নের সুপারিশ করেছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, “আমরা হামাসকে আহ্বান জানাই এই চুক্তি মেনে নিতে। ইসরায়েল এই চুক্তি অনুযায়ী এগিয়ে যেতে প্রস্তুত। আমরা হামাসের ওপর প্রভাব রয়েছে এমন সব দেশকে অনুরোধ জানাই তারা যেন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ও বাস্তবায়নে তাদেরকে সহায়তা করে।” সোমবার এক ভার্চুয়াল বৈঠকের পর মিশর, জর্ডান, সৌদি আরব, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বলেন, তারা স্থায়ী যুদ্ধবিরতির দরকষাকষিকে সমর্থন করেন। তবে তারা একই সঙ্গে বাইডেনের দেওয়া প্রস্তাবকে “গুরত্ব সহকারে ও ইতিবাচকভাবে বিবেচনায় নেওয়ার” অনুরোধ করেন।

মন্ত্রীরা গাজা ভূখণ্ড থেকে ইসরায়েলের পূর্ণাঙ্গ প্রত্যাহার, পালিয়ে যেতে বাধ্য হওয়া ফিলিস্তিনিদের নিজ অঞ্চলে ফিরে যেতে দেওয়া, গাজায় মেরামত ও সংস্কার প্রক্রিয়া শুরু এবং দুই-রাষ্ট্র সমাধান বাস্তবায়নের দাবি জানান। জর্ডানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানা গেছে।

উল্লেখ্য যে,গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামাসের হামলায় প্রায় ১,২০০ ইসরায়েলের নাগরিক নিহত হয়। তাছাড়াও হামাস ২৫০ জনকে জিম্মি করে। ইসরায়েলের গোয়েন্দাদের তথ্য অনুযায়ে তাদের মধ্যে ১২০জন এখনো গাজায় আছেন। অপর ৩৭ জিম্মি ইতোমধ্যেই নিহত হয়েছেন বলে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে।

এই ঘটনার প্রতিশোধে ইসরায়েল গাজায় নিরবচ্ছিন্ন ও নির্বিচার স্থল ও বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এসব হামলায় গাজায় ৩৬ হাজার ৪০০ মানুষ নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। নিহতদের এই সংখ্যায় বেসামরিক ও যোদ্ধারা অন্তর্ভুক্ত। যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।

কবির আহমেদ/ইবিটাইমস