ভিয়েনা ১০:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ২৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
অভিবাসী পুনর্বণ্টনে ইইউর বিশেষ সহায়তা পাবে চার সদস্য দেশ জার্মানিতে স্বেচ্ছাসেবী সামরিক পরিষেবা মডেল চালু লন্ডনে ১২ বছর পর পুনরায় সিরিয়ার দূতাবাস সার্ভিস টাঙ্গাইলে রিকশা শ্রমিকদের সাথে বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশীর মতবিনিময় সভা টাঙ্গাইলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্লে গ্রাউন্ড স্থাপন, আনন্দমুখর পরিবেশে শিক্ষার নতুন দিগন্ত ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে চলন্ত যাত্রীবাহী বাসে আগুন গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার রায় ১৭ নভেম্বর  বর্ণবাদ আবার ব্রিটিশ রাজনীতিতে ফিরে এসেছে-বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী তুরস্কে আবারও ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তি আলোচনা শুরু করতে আগ্রহী রাশিয়া

লালমোহনে গরুর খামারে স্বপ্ন দেখছেন মনিরুজ্জামান মনির

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৫:২১:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ ২০২৪
  • ১৫ সময় দেখুন

ভোলা দক্ষিণ প্রতিনিধি: মো. মনিরুজ্জামান মনির। ২০০২ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ছিলেন ভোলার লালমোহন পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। তিনি ওই ওয়ার্ডেরই স্থায়ী বাসিন্দা। কাউন্সিলর থাকাকালীন আন্তরিকতার সঙ্গে দিয়েছেন মানুষকে সেবা। এবার তিনি নিজে উদ্যোক্তা হয়ে গড়ে তুলেছেন গরুর খামার। উপজেলার পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের শাওন বাজার এলাকায় তার খামারটি। যেখানে রয়েছে বিভিন্ন জাতের গরু। মনিরুজ্জামান মনির তার খামারটির নাম রেখেছেন ‘নবনী এগ্রো ফার্ম’।

উদ্যোক্তা মো. মনিরুজ্জামান মনির জানান, এক সময় লালমোহন পৌরসভার কাউন্সিলর ছিলাম। তখন নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করেছি মানুষের পাশে থেকে সেবা করার। গত ৮ মাস আগে আমার মেজো ভাই বিশিষ্ট ঠিকাদার মো. রাশেদুজ্জামান পিটারের অনুপ্রেরণায় শুরু করি গরুর খামার। শুরুতে খামারে মাত্র ১৭টি গরু ছিল। বর্তমানে গরুর সংখ্যা ৫১টি। যেখানে রয়েছে- অস্ট্রেলিয়ান, শাহিওয়াল এবং দেশীয় জাতের গরু। যার মধ্যে ১২টি গাভী এবং ৩৯টি ষাঁড়। এসব ষাঁড়ের মধ্যে ২৫টিকে এ বছরের কোরবানীতে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।

তিনি জানান, খামারের গরুগুলোকে খাওয়ার জন্য বয়লার, ভুসি, খড়-কুটা ও ঘাঁস দেওয়া হয়। গরুর পরিচর্যা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রতিদিন চারজন শ্রমিক নিয়মিত কাজ করেন। প্রতি মাসে গরুর খাবার ব্যয় ও শ্রমিকদের মজুরি বাবদ অন্তত আড়াই লাখ টাকার মতো খরচ হচ্ছে। এ বছরের কোরবানীতে প্রায় চল্লিশ লাখ টাকার গরু বিক্রি করার আশা করছি। সেখান থেকে খরচ বাদে আট থেকে দশ লাখ টাকার মতো লাভ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

উদ্যোক্তা মো. মনিরুজ্জামান মনির আরো জানান, সরকারিভাবে বিনাসুদে ঋণ পেলে অনেক সুবিধা হতো। বিনাসুদে ঋণ পেলে খামার আরো সম্প্রসারণ করতে পারতাম। একইসঙ্গে প্রত্যন্ত এলাকার অসংখ্য বেকার তরুণ-যুবকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হতো। তাই সরকারের কাছে আমাদের মতো উদ্যোক্তাদের জন্য বিনাসুদে ঋণের ব্যবস্থা করার দাবি জানাচ্ছি।

উদ্যোক্তা মনিরুজ্জামানের খামারের শ্রমিক মো. কুদ্দুস, হেলাল ও মো. মিলন বলেন, আমরা শুরু থেকেই এই গরুর খামারে কাজ করছি। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গরুগুলোর পরিচর্যা করাসহ নিয়মিত খাবার দিই। এ জন্য খামারের মালিক মনির মিয়া আমাদের নিয়মিত বেতন দেন। যা দিয়ে মা-বাবা, স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে সুন্দরভাবে সংসার চালাতে পারছি।

এ বিষয়ে লালমোহন উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উপ-সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. বেলাল উদ্দিন জানান, আমরা সব সময় খামারিদের পাশে রয়েছি। খামারিদের যেকোনো সমস্যায় তাদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। মনিরুজ্জামান নামে ওই ব্যক্তি নতুন করে গরুর খামার দিয়েছেন। আমরা তার খামারটিও নিয়মিত পরিদর্শন করছি। তার যেকোনো সমস্যায় তাকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে পাশে থাকার চেষ্টা করছি। এছাড়া নতুন করেও যদি কেউ খামার করতে আগ্রহী হয় তার পাশেও সব সময় উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কর্মকর্তারা থাকবেন।

জাহিদুল ইসলাম দুলাল/ইবিটাইমস 

জনপ্রিয়

অভিবাসী পুনর্বণ্টনে ইইউর বিশেষ সহায়তা পাবে চার সদস্য দেশ

Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

লালমোহনে গরুর খামারে স্বপ্ন দেখছেন মনিরুজ্জামান মনির

আপডেটের সময় ০৫:২১:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ ২০২৪

ভোলা দক্ষিণ প্রতিনিধি: মো. মনিরুজ্জামান মনির। ২০০২ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ছিলেন ভোলার লালমোহন পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। তিনি ওই ওয়ার্ডেরই স্থায়ী বাসিন্দা। কাউন্সিলর থাকাকালীন আন্তরিকতার সঙ্গে দিয়েছেন মানুষকে সেবা। এবার তিনি নিজে উদ্যোক্তা হয়ে গড়ে তুলেছেন গরুর খামার। উপজেলার পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের শাওন বাজার এলাকায় তার খামারটি। যেখানে রয়েছে বিভিন্ন জাতের গরু। মনিরুজ্জামান মনির তার খামারটির নাম রেখেছেন ‘নবনী এগ্রো ফার্ম’।

উদ্যোক্তা মো. মনিরুজ্জামান মনির জানান, এক সময় লালমোহন পৌরসভার কাউন্সিলর ছিলাম। তখন নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করেছি মানুষের পাশে থেকে সেবা করার। গত ৮ মাস আগে আমার মেজো ভাই বিশিষ্ট ঠিকাদার মো. রাশেদুজ্জামান পিটারের অনুপ্রেরণায় শুরু করি গরুর খামার। শুরুতে খামারে মাত্র ১৭টি গরু ছিল। বর্তমানে গরুর সংখ্যা ৫১টি। যেখানে রয়েছে- অস্ট্রেলিয়ান, শাহিওয়াল এবং দেশীয় জাতের গরু। যার মধ্যে ১২টি গাভী এবং ৩৯টি ষাঁড়। এসব ষাঁড়ের মধ্যে ২৫টিকে এ বছরের কোরবানীতে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।

তিনি জানান, খামারের গরুগুলোকে খাওয়ার জন্য বয়লার, ভুসি, খড়-কুটা ও ঘাঁস দেওয়া হয়। গরুর পরিচর্যা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রতিদিন চারজন শ্রমিক নিয়মিত কাজ করেন। প্রতি মাসে গরুর খাবার ব্যয় ও শ্রমিকদের মজুরি বাবদ অন্তত আড়াই লাখ টাকার মতো খরচ হচ্ছে। এ বছরের কোরবানীতে প্রায় চল্লিশ লাখ টাকার গরু বিক্রি করার আশা করছি। সেখান থেকে খরচ বাদে আট থেকে দশ লাখ টাকার মতো লাভ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

উদ্যোক্তা মো. মনিরুজ্জামান মনির আরো জানান, সরকারিভাবে বিনাসুদে ঋণ পেলে অনেক সুবিধা হতো। বিনাসুদে ঋণ পেলে খামার আরো সম্প্রসারণ করতে পারতাম। একইসঙ্গে প্রত্যন্ত এলাকার অসংখ্য বেকার তরুণ-যুবকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হতো। তাই সরকারের কাছে আমাদের মতো উদ্যোক্তাদের জন্য বিনাসুদে ঋণের ব্যবস্থা করার দাবি জানাচ্ছি।

উদ্যোক্তা মনিরুজ্জামানের খামারের শ্রমিক মো. কুদ্দুস, হেলাল ও মো. মিলন বলেন, আমরা শুরু থেকেই এই গরুর খামারে কাজ করছি। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গরুগুলোর পরিচর্যা করাসহ নিয়মিত খাবার দিই। এ জন্য খামারের মালিক মনির মিয়া আমাদের নিয়মিত বেতন দেন। যা দিয়ে মা-বাবা, স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে সুন্দরভাবে সংসার চালাতে পারছি।

এ বিষয়ে লালমোহন উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উপ-সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. বেলাল উদ্দিন জানান, আমরা সব সময় খামারিদের পাশে রয়েছি। খামারিদের যেকোনো সমস্যায় তাদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। মনিরুজ্জামান নামে ওই ব্যক্তি নতুন করে গরুর খামার দিয়েছেন। আমরা তার খামারটিও নিয়মিত পরিদর্শন করছি। তার যেকোনো সমস্যায় তাকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে পাশে থাকার চেষ্টা করছি। এছাড়া নতুন করেও যদি কেউ খামার করতে আগ্রহী হয় তার পাশেও সব সময় উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কর্মকর্তারা থাকবেন।

জাহিদুল ইসলাম দুলাল/ইবিটাইমস