ভোলা দক্ষিণ প্রতিনিধি: ভোলার লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া নিয়ে কারসাজি করার অভিযোগ ওঠেছে চালকের বিরুদ্ধে। সরকার নির্ধারিত ভাড়া গোপন রেখে দুই থেকে তিনগুণ বেশি অর্থ আদায় করছেন চালক মো. মিজানুর রহমান। এতে করে চরম দুর্ভোগে পড়ছেন উপজেলার হতদরিদ্র রোগীরা।
জানা যায়, সরকারিভাবে প্রতি কিলোমিটারের অ্যাম্বুলেন্স (আসা-যাওয়া) জন্য ১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে সরকারি এই নির্দেশনার তোয়াক্কা করছেন না লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের চালক মিজান। তিনি চুক্তি ছাড়া অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে কোথায়ও যাওয়া-আসা করেন না। এতে করে তার চুক্তিতে প্রতি কিলোমিটারের জন্য রোগীদের গুণতে হয় ২০ থেকে ৩০ টাকা। চুক্তিতে না মিললে রোগী বহন করেন না চালক মিজানুর রহমান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক রোগীর স্বজন জানান, কয়েকদিন আগে সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে করে আমার বোনকে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ভোলা সদর হাসপাতালে নেই। সেখান থেকে আবার লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনি। এর জন্য অ্যাম্বুলেন্স চালক আমাদের কাছে চার হাজার টাকা দাবি করেন। পরে অনেক অনুরোধ করে তাকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা দেই। এ ধরনের আরো একাধিক অভিযোগ রয়েছে অ্যাম্বুলেন্স চালক মিজানের বিরুদ্ধে।
অ্যাম্বুলেন্সের রোগী বহনে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের কথা স্বীকার করে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্সের চালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, সব সময় সরকারি নিয়ম মানা যায় না। যে টাকা অতিরিক্ত নেওয়া হয় তা অ্যাম্বুলেন্স মেরামতে ব্যয় করি।
তবে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) ডা. মো. তৈয়বুর রহমান জানান, অ্যাম্বুলেন্স সেবায় কোনো প্রকার অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের সুযোগ নেই। সরকারি নির্ধারিত যে মূল্য রয়েছে, রোগীদের থেকে তাই নিতে হবে। অ্যাম্বুলেন্সের কোনো সমস্যা হলে মেরামতের জন্য সরকারি বরাদ্দ রয়েছে। অ্যাম্বুলেন্স ভাড়ায় অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের বিষয়ে লিখিত কোনো অভিযোগ পেলে চালকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জাহিদ ইসলাম দুলাল/ইবিটাইমস