ইউরোপ ডেস্কঃ ইইউ বলেছে , “বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের উচিৎ জাতীয় কর্মপরিকল্পনা (এনএপি) ও আইএলও (আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা) রোডম্যাপে অন্তর্ভুক্ত শ্রম অধিকারের বিষয়ে, তার অঙ্গীকার বাস্তবায়নের গতি বৃদ্ধি করা।”
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদর দপ্তর বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে সম্প্রতি, “ইইউ এনহ্যান্সড এনগেজমেন্ট উইথ থ্রি এভরিথিং বাট আর্মস বেনিফিশিয়ারি কান্ট্রিজ: বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া অ্যান্ড মিয়ানমার” শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ইইউ।
প্রতিবেদনে, শ্রম অধিকার প্রশ্নে মূল উদ্বেগের বিষয়ে প্রদত্ত সময়সীমার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, এ বিষয়ে অর্জিত অগ্রগতি সম্পর্কে নিয়মিত প্রতিবেদন দেয়া অব্যাহত রাখার জন্য বাংলাদেশের প্রতি আহবান জানানো হয়েছে। ইইউ বলেছে, “সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আইএলও কনভেনশন অনুমোদনের ক্ষেত্রে অর্জিত অগ্রগতির জন্য ধন্যবাদ; বাংলাদেশ জিএসপি রেগুলেশনে উল্লিখিত ২৭টি জিএসপি-প্লাস আন্তর্জাতিক কনভেনশন অনুমোদন করেছে।”
মূল্যায়ন প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, “জিএসপি-প্লাস প্রাসঙ্গিক আন্তর্জাতিক কনভেনশনের পূর্ণ সম্মতি স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশের প্রত্যাশিত ভবিষ্যত উত্তরণের আলোকে দেখা উচিৎ। যার অর্থ হলো ‘এভরিথিং বাট আর্মস’ (ইবিএ) ব্যবস্থা থেকে স্ট্যান্ডার্ড জিএসপিতে চলে যাওয়া।”
প্রতিবেদনে বলা হয়, “এই প্রেক্ষাপটে এটি গুরুত্বপূর্ণ যে, উল্লিখিত জাতীয় কর্মপরিকল্পনার অধীনে শ্রম অধিকার সংস্কার এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকারমানকে বাংলাদেশ সম্মান করে। আর, ইইউ বাংলাদেশের জিএসপি অঙ্গীকার বাস্তবায়ন নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রাখবে এবং চলমান সম্পৃক্ততা জোরদার করবে।”
প্রতিবেদনের বাংলাদেশ অংশে বলা হয়েছে, মানবাধিকারের মূল উদ্বেগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উচিৎ মত প্রকাশের স্বাধীনতা, সমাবেশের স্বাধীনতা এবং সুশীল সমাজের স্থান উন্নত করা; কথিত নির্যাতন, দুর্ব্যবহার, বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং জোরপূর্বক গুমের মামলা তদন্ত করা; মানবাধিকার কাউন্সিলের ইউনিভার্সাল পিরিয়ডিক রিভিউয়ের (ইউপিআর) সুপারিশগুলো সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়ন করাম যার মধ্যে রয়েছে মৃত্যুণ্ডের বিলুপ্তি; পাশাপাশি জাতিসংঘের চুক্তি পর্যবেক্ষণ সংস্থার সিদ্ধান্তগুলোও সুপারিশেরঅন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এই মূল্যায়ন প্রতিবেদন, জিএসপি সুবিধাভোগী তিনটি দেশ; বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া ও মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পৃক্ততা বাড়ানোর লক্ষ্যে দ্বিতীয় জয়েন্ট স্টাফ ওয়ার্কিং ডকুমেন্ট (এসডব্লিউডি)।
কবির আহমেদ/ইবিটাইমস