ভিয়েনা ১১:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পিরোজপুর ও বাগেরহাট দুই জেলার সীমানা নিয়ে বিরোধে ৯টি বসত ঘর ভাংচুর ও লুট-পাট

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৩:২২:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৩
  • ২৪ সময় দেখুন

পিরোজপুর প্রতিনিধি: পিরোজপুর ও বাগেরহাট এ দুই জেলার সীমানাবর্তী জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় জেলার নাজিরপুর উপজেলার ৯ বসত ঘর ভাংচুর সহ ঘরে থাকা মালামাল লুট করার অভিযোগ উঠেছে।

ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (২৭ নভেম্বর) জেলার নাজিরপুর উপজেলার মাটিভাঙ্গা ও বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়নের পশ্চিম বানিয়ারী গ্রামের সীমানাবর্তী স্থানে।

এ ঘটনায় ওই দিন দুপুরে ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন নাজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডাক্তার সঞ্জীব দাশ, বাগেরহাট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রাসেল উর রহমান, পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রবিউল ইসলাম, চিতলমারি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বেদবতী মিস্ত্রী, ওই থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) তরিকুল ইসলাম, নাজিরপুর থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির, সন্তোষপুর ইউপি চেয়ারম্যান বিউটি বেগম প্রমুখ।

স্থানীয়রা জানান, ওই দিন সকালে কিছু লোকজন অতর্কিতভাবে হামলা করে বিবাদমান জমিতে থাকা মো. নাজমুল ইসলাম, মুনসুর শিকদার, রবিউল ইসলাম সরদার, ছালাম সর্দার, রাকাইদ মোল্লা, সিরাজ মোল্লা, শামিম মোল্লা, রাজ্জাক মল্লিক, রমজান শেখের ৯টি বসত বসত ভাংচুর করেন। এ সময় হামলাকারীরা ঘরে থাকা মালামাল ভাংচুর করেন। এ ছাড়া রাস্তার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে সেখানের খালে থাকা সেতু ভেঙ্গে ফেলে।

ওই জমিতে থাকা স্থানীয় নাজমুল সর্দার ওই জমি তাদের (নাজমুল) নিজেদের দাবী করে জানান, ওই দিন সকালে স্থানীয় পশ্চিম চর বানিয়ারী গ্রামের আনসার কমান্ডার পলি মোল্লা, মিন্টু বিশ্বাস, রতিন বিশ্বাসের নেতৃত্বে ৭০-৮০ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। এ সময় সেখানের থাকা বসত ঘর ভাংচুর সহ ঘরের মামলামাল ও আসবাবপত্র ভাংচুর সহ লুট করে। এ সময় ঘরে থাকা নারী পুরুষদের ধাওয়া করে। তারা ভয়ে প্রান রক্ষার্থে পালিয়ে যায়। এ সময় হামলাকারীরা ৪টি গরু লুট করে নেয়।

এ ব্যাপারে নাজিরপুর থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির বলেন, দুই উপজেলার সীমানাবর্তী জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। ধান পাকার মৌসুমকে কেন্দ্র করে প্রায় প্রতিবছরই এমন ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে এমন ঘটনা ঘটতে পারে। তবে তদন্ত করে এর কারন জানা যাবে।

নাজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডাক্তার সঞ্জীব কুমার দাশ বলেন, হামলাকারীদের সনাক্ত করা যায় নি। তবে ভুক্তভোগীদের দেওয়া তথ্য মতে প্রতিপক্ষ ওই হামলা করেছে। ওই জমি নিয়ে বিরোধ মীমাংশায় দুই জেলা ইতিমধ্যে কয়েকবার বৈঠকে বসেছে। এ নিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা রয়েছে।

মাটিভাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাহিদুল ইসলাম বিলু বলেন, দুই উপজেলার সীমানার জমি নিয়ে গত প্রায় ৬০-৭০ বছর ধরে বিরোধ চলছে। বিরোধ মীমাংশায় আমার পিতা সাবকে ইউপি ও উপজেলা চেয়ারম্যান সহ দুই জেলা এবং উপজেলার প্রশাসন ও জন প্রতিনিধিদের নিয়ে কয়েকবার বৈঠক হয়েছে। সম্প্রতি আমিও বৈঠক করেছি। কিন্তু তা মীমাংশা সম্ভব হয় নি।

এইচ এম লাহেল মাহমুদ/ইবিটাইমস 

জনপ্রিয়
Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

পিরোজপুর ও বাগেরহাট দুই জেলার সীমানা নিয়ে বিরোধে ৯টি বসত ঘর ভাংচুর ও লুট-পাট

আপডেটের সময় ০৩:২২:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৩

পিরোজপুর প্রতিনিধি: পিরোজপুর ও বাগেরহাট এ দুই জেলার সীমানাবর্তী জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় জেলার নাজিরপুর উপজেলার ৯ বসত ঘর ভাংচুর সহ ঘরে থাকা মালামাল লুট করার অভিযোগ উঠেছে।

ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (২৭ নভেম্বর) জেলার নাজিরপুর উপজেলার মাটিভাঙ্গা ও বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়নের পশ্চিম বানিয়ারী গ্রামের সীমানাবর্তী স্থানে।

এ ঘটনায় ওই দিন দুপুরে ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন নাজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডাক্তার সঞ্জীব দাশ, বাগেরহাট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রাসেল উর রহমান, পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রবিউল ইসলাম, চিতলমারি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বেদবতী মিস্ত্রী, ওই থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) তরিকুল ইসলাম, নাজিরপুর থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির, সন্তোষপুর ইউপি চেয়ারম্যান বিউটি বেগম প্রমুখ।

স্থানীয়রা জানান, ওই দিন সকালে কিছু লোকজন অতর্কিতভাবে হামলা করে বিবাদমান জমিতে থাকা মো. নাজমুল ইসলাম, মুনসুর শিকদার, রবিউল ইসলাম সরদার, ছালাম সর্দার, রাকাইদ মোল্লা, সিরাজ মোল্লা, শামিম মোল্লা, রাজ্জাক মল্লিক, রমজান শেখের ৯টি বসত বসত ভাংচুর করেন। এ সময় হামলাকারীরা ঘরে থাকা মালামাল ভাংচুর করেন। এ ছাড়া রাস্তার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে সেখানের খালে থাকা সেতু ভেঙ্গে ফেলে।

ওই জমিতে থাকা স্থানীয় নাজমুল সর্দার ওই জমি তাদের (নাজমুল) নিজেদের দাবী করে জানান, ওই দিন সকালে স্থানীয় পশ্চিম চর বানিয়ারী গ্রামের আনসার কমান্ডার পলি মোল্লা, মিন্টু বিশ্বাস, রতিন বিশ্বাসের নেতৃত্বে ৭০-৮০ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। এ সময় সেখানের থাকা বসত ঘর ভাংচুর সহ ঘরের মামলামাল ও আসবাবপত্র ভাংচুর সহ লুট করে। এ সময় ঘরে থাকা নারী পুরুষদের ধাওয়া করে। তারা ভয়ে প্রান রক্ষার্থে পালিয়ে যায়। এ সময় হামলাকারীরা ৪টি গরু লুট করে নেয়।

এ ব্যাপারে নাজিরপুর থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির বলেন, দুই উপজেলার সীমানাবর্তী জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। ধান পাকার মৌসুমকে কেন্দ্র করে প্রায় প্রতিবছরই এমন ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে এমন ঘটনা ঘটতে পারে। তবে তদন্ত করে এর কারন জানা যাবে।

নাজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডাক্তার সঞ্জীব কুমার দাশ বলেন, হামলাকারীদের সনাক্ত করা যায় নি। তবে ভুক্তভোগীদের দেওয়া তথ্য মতে প্রতিপক্ষ ওই হামলা করেছে। ওই জমি নিয়ে বিরোধ মীমাংশায় দুই জেলা ইতিমধ্যে কয়েকবার বৈঠকে বসেছে। এ নিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা রয়েছে।

মাটিভাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাহিদুল ইসলাম বিলু বলেন, দুই উপজেলার সীমানার জমি নিয়ে গত প্রায় ৬০-৭০ বছর ধরে বিরোধ চলছে। বিরোধ মীমাংশায় আমার পিতা সাবকে ইউপি ও উপজেলা চেয়ারম্যান সহ দুই জেলা এবং উপজেলার প্রশাসন ও জন প্রতিনিধিদের নিয়ে কয়েকবার বৈঠক হয়েছে। সম্প্রতি আমিও বৈঠক করেছি। কিন্তু তা মীমাংশা সম্ভব হয় নি।

এইচ এম লাহেল মাহমুদ/ইবিটাইমস