ভিয়েনা ১২:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে এক্সরে মেশিনের প্রিন্টার সমস্যায় ভূগছে জনগণ

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ১০:৩১:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ নভেম্বর ২০২৩
  • ৩১ সময় দেখুন

ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ  ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে মূল্যবান ও উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন এক্সরে মেশিনের প্রিন্টারের ত্রুটির কারণে প্রায় ২মাসেরও অধিক সময় ধরে এক্সরের কাজ বন্ধ রয়েছে। প্রতিমাসে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দৈনিক গড় ১২ হাজার টাকা আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং এই বিভাগের অপারেটরদের প্রতি মাসে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা বেতনখাতে সরকারকে ব্যয় করতে হচ্ছে।

হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ হাসান মাহমুদ জানান, এ ব্যাপারে প্রিন্টারের ত্রুটি দেখার সাথে সাথে স্বাস্থ্য বিভাগের কেন্দ্রীয় পর্যায়ে কারিগরি বিভাগকে জানানো হয়েছে এবং তাদেরকে বারবার তাগিদ দেয়ার জন্য ফোন করেও সময়মত তাদেরকে পাওয়া যাচ্ছে না।

অন্যদিকে স্বাস্থ্য সেবা নিতে আসা রোগীরা বিভিন্ন পর্যায়ের রোগীরা এক্সরে মেশিন চালু না থাকায় নাজেহাল হয়ে ডায়াগনোষ্টিক সেন্টারগুলোতে উচ্চ মূল্যে এক্সরে করতে বাধ্য হচ্ছে। গড়ে বেসরকারি ডায়াগনোষ্টিক সেন্টারগুলোতে গড়ে ক্ষেত্র বিশেষে ৪০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিচ্ছে। স্থানীয়ভাবে ধারণা করা হয় এখানের ডায়াগনোষ্টিক সেন্টারগুলো আর্থিক ফায়দা লোটার জন্য স্বাস্থ্যবিভাগের প্রকৌশল শাখাতে যোগাযোগ করে দীর্ঘ সূত্রিতা বজায় রাখার জন্য এই কাজ করে চলেছে। এই হাসপাতালের রেকর্ড অনুযায়ী প্রতিদিন ৫০ থেকে ৬০জন রোগীকে এক্সরে করতে হতো এবং গড়ে ২০০ টাকা হারে প্রতিদিন ১২ হাজার টাকা আয় হাসপাতালের আয় আসতো। এই দুই মাসে প্রায় সাড়ে ৬ লাখ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে হাসপাতাল।

আরও জানা গেছে, নিয়ম অনুযায়ী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কেন্দ্রীয় প্রকৌশল শাখায় জানানোর পরে সেখান থেকে প্রকৌশলী সরজমিনে এসে মেরামত খরচ নির্ধারণ করে স্থানীয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও স্বাস্থ্য বিভাগের মহা পরিচালককে জানাবেন এবং দ্রুত অর্থ বরাদ্দ সাপেক্ষে এর মেরামত কাজ সম্পন্ন করে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করবেন। কিন্তু ২ মাসেরও অধিক সময়ের মধ্যে এই অবস্থার পরে আছে হাসপাতালের এক্সরে ইউনিট।

আরও জানা গেছে এই এক্সরে মেশিনটি প্রায় কোটি টাকা মূল্যের এক্সরে মেশিন। এর ক্ষমতা ১০০০এম.এ যা অত্যাধিক মূল্যবান হওয়ায় স্থানীয় ডায়াগনোষ্টিক সেন্টারগুলিতে ব্যবহার করা হয় না।

বাধন রায়/ইবিটাইমস 

জনপ্রিয়
Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে এক্সরে মেশিনের প্রিন্টার সমস্যায় ভূগছে জনগণ

আপডেটের সময় ১০:৩১:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ নভেম্বর ২০২৩

ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ  ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে মূল্যবান ও উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন এক্সরে মেশিনের প্রিন্টারের ত্রুটির কারণে প্রায় ২মাসেরও অধিক সময় ধরে এক্সরের কাজ বন্ধ রয়েছে। প্রতিমাসে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দৈনিক গড় ১২ হাজার টাকা আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং এই বিভাগের অপারেটরদের প্রতি মাসে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা বেতনখাতে সরকারকে ব্যয় করতে হচ্ছে।

হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ হাসান মাহমুদ জানান, এ ব্যাপারে প্রিন্টারের ত্রুটি দেখার সাথে সাথে স্বাস্থ্য বিভাগের কেন্দ্রীয় পর্যায়ে কারিগরি বিভাগকে জানানো হয়েছে এবং তাদেরকে বারবার তাগিদ দেয়ার জন্য ফোন করেও সময়মত তাদেরকে পাওয়া যাচ্ছে না।

অন্যদিকে স্বাস্থ্য সেবা নিতে আসা রোগীরা বিভিন্ন পর্যায়ের রোগীরা এক্সরে মেশিন চালু না থাকায় নাজেহাল হয়ে ডায়াগনোষ্টিক সেন্টারগুলোতে উচ্চ মূল্যে এক্সরে করতে বাধ্য হচ্ছে। গড়ে বেসরকারি ডায়াগনোষ্টিক সেন্টারগুলোতে গড়ে ক্ষেত্র বিশেষে ৪০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিচ্ছে। স্থানীয়ভাবে ধারণা করা হয় এখানের ডায়াগনোষ্টিক সেন্টারগুলো আর্থিক ফায়দা লোটার জন্য স্বাস্থ্যবিভাগের প্রকৌশল শাখাতে যোগাযোগ করে দীর্ঘ সূত্রিতা বজায় রাখার জন্য এই কাজ করে চলেছে। এই হাসপাতালের রেকর্ড অনুযায়ী প্রতিদিন ৫০ থেকে ৬০জন রোগীকে এক্সরে করতে হতো এবং গড়ে ২০০ টাকা হারে প্রতিদিন ১২ হাজার টাকা আয় হাসপাতালের আয় আসতো। এই দুই মাসে প্রায় সাড়ে ৬ লাখ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে হাসপাতাল।

আরও জানা গেছে, নিয়ম অনুযায়ী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কেন্দ্রীয় প্রকৌশল শাখায় জানানোর পরে সেখান থেকে প্রকৌশলী সরজমিনে এসে মেরামত খরচ নির্ধারণ করে স্থানীয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও স্বাস্থ্য বিভাগের মহা পরিচালককে জানাবেন এবং দ্রুত অর্থ বরাদ্দ সাপেক্ষে এর মেরামত কাজ সম্পন্ন করে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করবেন। কিন্তু ২ মাসেরও অধিক সময়ের মধ্যে এই অবস্থার পরে আছে হাসপাতালের এক্সরে ইউনিট।

আরও জানা গেছে এই এক্সরে মেশিনটি প্রায় কোটি টাকা মূল্যের এক্সরে মেশিন। এর ক্ষমতা ১০০০এম.এ যা অত্যাধিক মূল্যবান হওয়ায় স্থানীয় ডায়াগনোষ্টিক সেন্টারগুলিতে ব্যবহার করা হয় না।

বাধন রায়/ইবিটাইমস