ভিয়েনা ০৬:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
টাঙ্গাইলে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা ও শামছুল হকের স্মরণে দোয়া ইসলামি সমাজকল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে ওসি সিরাজুলইসলামকে বিদায় সংবর্ধনা ঢাকা প্রেসক্লাব নির্বাচনে সভাপতি শাহীন ও সম্পাদক বাচ্চু জার্মানির সংসদে নতুন সামরিক পরিষেবা আইন অনুমোদন লালমোহনে পাহারাদারদের নিরাপত্তা সরঞ্জাম প্রদান বেগম খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা পিছিয়ে যাচ্ছে বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ারে ডা. জুবাইদা নিউজিল্যান্ড হয়ে আর্জেন্টিনায় বিশ্বের ‘দীর্ঘতম’ ফ্লাইট শুরু করল চীন শৈলকুপায় পেঁয়াজ রোপন মৌসুমে সারের কৃত্রিম সংকট; ক্ষোভ কৃষকদের টাঙ্গাইলে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল

সোনালী ব্যাংকের অর্থ আত্মসাৎ মামলায় প্রিন্সিপাল অফিসারের ১৭ বছরের কারাদণ্ড

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০২:২১:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৩
  • ১৭ সময় দেখুন

স্টাফ রিপোর্টারঃ আজ মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৫ এ প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে রাজধানীর মতিঝিল থানায় করা মামলায় সোনালী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার মো. নাইমুল ইসলামকে দুটি পৃথক ধারায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। এ ছাড়া একই মামলার অপর তিন আসামিকে পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

আজ ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৫-এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে আসামি নাইমুলের প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের দুটি পৃথক ধারায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড দেন। পাশাপাশি অর্থ আত্মসাতের ধারায় তাকে ৮১ লাখ টাকা জরিমানা করেন। অপর ধারায় তার ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ছয় মাসের সাজা দেওয়া হয়েছে। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন— সোনালী ব্যাংকের হিসাবধারী রফিকুল ইসলাম, মো. আল আমিন ও মোছা. লিপি বেগম।

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে অপর তিন আসামির পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্রত্যেককে ৮১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

এদিন কারাগারে আটক আসামি নাইমুল ও রফিকুলকে আদালতে হাজির করা হয়। জামিনে থাকা আল-আমিন উপস্থিত হন। তাদের উপস্থিতিতে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। তবে আসামি লিপি উপস্থিত না থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে সাজাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৭ সালের ২৬ ডিসেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ২১ জুন পর্যন্ত আসামিরা বিভিন্ন তারিখে ১ কোটি ১৯ লাখ ১৯ হাজার ২০৪ টাকা নির্বারিত হিসাবে জমা না করে চারটি হিসাবে পরস্পর যোগসাজশে স্থানান্তর করে প্রতারণামূলকভাবে আত্মসাৎ করেন।

এ ঘটনায় ২০১৮ সালের ২৩ জুন সোনালি ব্যাংকের বি ওয়াপদা ভবন করপোরেট শাখার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে  মতিঝিল থানায় মামলাটি করেন। তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি দুদকের উপসহকারী পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ চারজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।

পরে ২০২২ সালের ৮ মার্চ পলাতক লিপি বেগমের অনুপস্থিতিতেই আসামিদের বিচার শুরু হয়। মামলাটির বিচার চলাকালে বিভিন্ন সময়ে ১৭ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

মোঃ সোয়েব মেজবাহউদ্দিন/ইবিটাইমস 

জনপ্রিয়

টাঙ্গাইলে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা ও শামছুল হকের স্মরণে দোয়া

Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

সোনালী ব্যাংকের অর্থ আত্মসাৎ মামলায় প্রিন্সিপাল অফিসারের ১৭ বছরের কারাদণ্ড

আপডেটের সময় ০২:২১:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৩

স্টাফ রিপোর্টারঃ আজ মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৫ এ প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে রাজধানীর মতিঝিল থানায় করা মামলায় সোনালী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার মো. নাইমুল ইসলামকে দুটি পৃথক ধারায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। এ ছাড়া একই মামলার অপর তিন আসামিকে পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

আজ ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৫-এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে আসামি নাইমুলের প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের দুটি পৃথক ধারায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড দেন। পাশাপাশি অর্থ আত্মসাতের ধারায় তাকে ৮১ লাখ টাকা জরিমানা করেন। অপর ধারায় তার ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ছয় মাসের সাজা দেওয়া হয়েছে। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন— সোনালী ব্যাংকের হিসাবধারী রফিকুল ইসলাম, মো. আল আমিন ও মোছা. লিপি বেগম।

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে অপর তিন আসামির পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্রত্যেককে ৮১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

এদিন কারাগারে আটক আসামি নাইমুল ও রফিকুলকে আদালতে হাজির করা হয়। জামিনে থাকা আল-আমিন উপস্থিত হন। তাদের উপস্থিতিতে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। তবে আসামি লিপি উপস্থিত না থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে সাজাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৭ সালের ২৬ ডিসেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ২১ জুন পর্যন্ত আসামিরা বিভিন্ন তারিখে ১ কোটি ১৯ লাখ ১৯ হাজার ২০৪ টাকা নির্বারিত হিসাবে জমা না করে চারটি হিসাবে পরস্পর যোগসাজশে স্থানান্তর করে প্রতারণামূলকভাবে আত্মসাৎ করেন।

এ ঘটনায় ২০১৮ সালের ২৩ জুন সোনালি ব্যাংকের বি ওয়াপদা ভবন করপোরেট শাখার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে  মতিঝিল থানায় মামলাটি করেন। তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি দুদকের উপসহকারী পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ চারজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।

পরে ২০২২ সালের ৮ মার্চ পলাতক লিপি বেগমের অনুপস্থিতিতেই আসামিদের বিচার শুরু হয়। মামলাটির বিচার চলাকালে বিভিন্ন সময়ে ১৭ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

মোঃ সোয়েব মেজবাহউদ্দিন/ইবিটাইমস