ভিয়েনা ০৮:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাশিয়ায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ১০:৫১:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ১৮ সময় দেখুন

পুতিনকে শস্য চুক্তিতে ফেরাতে ব্যর্থ এরদোগান

ইউরোপ ডেস্কঃ সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) টানা তিন ঘন্টা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনা করেও শেষ পর্যন্ত তাকে শস্য চুক্তিতে ফেরাতে পারলেন না তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আরআইএ এ খবর দিয়েছে।

এদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের বৈঠকের পর ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ
সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, বৈঠকে তাদের মধ্যে কোন চুক্তি সই হয়নি। উল্লেখ্য যে,কৃষ্ণসাগর শস্য চুক্তিতে রাশিয়াকে ফিরিয়ে আনতে আপ্রাণ চেষ্টা
করে আসছিলেন এরদোগান। তবে সোমবার রাশিয়ার সোচিতে ব্যর্থতায় পর্যবসিত হলো তার সব প্রচেষ্টা।

বৈঠকের শুরুতে এরদোগান বলেছিলেন, পুতিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে শস্য চুক্তি নিয়ে খুব গুরুত্বপূর্ণ খবর দেওয়া হবে। তবে কোন সুখবর দিতে পারলেন না তিনি। বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এরদোগান বলেন, শস্য চুক্তি নিয়ে পুতিনের সঙ্গে আমার আলোচনা হয়েছে। আশা করি দ্রুত কৃষ্ণসাগর শস্য চুক্তির সমাধান হবে। তিনি আরও বলেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের আরও নরম হওয়া উচিত।

বৈঠকের শুরুতে শস্য চুক্তি নিয়ে এরদোগানের আগ্রহকে স্বাগত জানান পুতিন। বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, রাশিয়াকে কৃষ্ণসাগর শস্য চুক্তি থেকে বেরিয়ে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। এ সময় তুরস্ক-রাশিয়া সম্পর্ককে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে নিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দেন পুতিন।

জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় করা শস্য চুক্তি থেকে গত জুলাইয়ে বেরিয়ে আসে রাশিয়া। এরপর থেকে চুক্তি আর নবায়ন হয়নি।দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু বলেন, শস্য চুক্তি ব্যর্থ হওয়া রাশিয়ার দোষ নয়। রাশিয়ার শর্ত পূরণ হলে মস্কো এতে ফিরে আসবে।

শস্য চুক্তিতে ফিরে আসার জন্য রাশিয়ার শর্তগুলো হলো— রাশিয়ার সার, কৃষি ও খাদ্যপণ্য রপ্তানির ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা যেসব নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, তা প্রত্যাহার করতে হবে। রাশিয়ার কৃষি উৎপাদনের সঙ্গে যেসব আর্থিক প্রতিষ্ঠান যুক্ত রয়েছে, সেসবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে। আন্তর্জাতিক অর্থ লেনদেন ব্যবস্থা সুইফটে রাশিয়াকে পুনরায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এবং কৃষি ও খাদ্যপণ্য রপ্তানি থেকে উপার্জিত অর্থ ইউরোপের বিভিন্ন ব্যাংকে জমা আছে, সেসবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে।

কবির আহমেদ/ইবিটাইমস 

জনপ্রিয়
Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

রাশিয়ায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান

আপডেটের সময় ১০:৫১:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

পুতিনকে শস্য চুক্তিতে ফেরাতে ব্যর্থ এরদোগান

ইউরোপ ডেস্কঃ সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) টানা তিন ঘন্টা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনা করেও শেষ পর্যন্ত তাকে শস্য চুক্তিতে ফেরাতে পারলেন না তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আরআইএ এ খবর দিয়েছে।

এদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের বৈঠকের পর ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ
সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, বৈঠকে তাদের মধ্যে কোন চুক্তি সই হয়নি। উল্লেখ্য যে,কৃষ্ণসাগর শস্য চুক্তিতে রাশিয়াকে ফিরিয়ে আনতে আপ্রাণ চেষ্টা
করে আসছিলেন এরদোগান। তবে সোমবার রাশিয়ার সোচিতে ব্যর্থতায় পর্যবসিত হলো তার সব প্রচেষ্টা।

বৈঠকের শুরুতে এরদোগান বলেছিলেন, পুতিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে শস্য চুক্তি নিয়ে খুব গুরুত্বপূর্ণ খবর দেওয়া হবে। তবে কোন সুখবর দিতে পারলেন না তিনি। বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এরদোগান বলেন, শস্য চুক্তি নিয়ে পুতিনের সঙ্গে আমার আলোচনা হয়েছে। আশা করি দ্রুত কৃষ্ণসাগর শস্য চুক্তির সমাধান হবে। তিনি আরও বলেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের আরও নরম হওয়া উচিত।

বৈঠকের শুরুতে শস্য চুক্তি নিয়ে এরদোগানের আগ্রহকে স্বাগত জানান পুতিন। বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, রাশিয়াকে কৃষ্ণসাগর শস্য চুক্তি থেকে বেরিয়ে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। এ সময় তুরস্ক-রাশিয়া সম্পর্ককে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে নিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দেন পুতিন।

জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় করা শস্য চুক্তি থেকে গত জুলাইয়ে বেরিয়ে আসে রাশিয়া। এরপর থেকে চুক্তি আর নবায়ন হয়নি।দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু বলেন, শস্য চুক্তি ব্যর্থ হওয়া রাশিয়ার দোষ নয়। রাশিয়ার শর্ত পূরণ হলে মস্কো এতে ফিরে আসবে।

শস্য চুক্তিতে ফিরে আসার জন্য রাশিয়ার শর্তগুলো হলো— রাশিয়ার সার, কৃষি ও খাদ্যপণ্য রপ্তানির ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা যেসব নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, তা প্রত্যাহার করতে হবে। রাশিয়ার কৃষি উৎপাদনের সঙ্গে যেসব আর্থিক প্রতিষ্ঠান যুক্ত রয়েছে, সেসবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে। আন্তর্জাতিক অর্থ লেনদেন ব্যবস্থা সুইফটে রাশিয়াকে পুনরায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এবং কৃষি ও খাদ্যপণ্য রপ্তানি থেকে উপার্জিত অর্থ ইউরোপের বিভিন্ন ব্যাংকে জমা আছে, সেসবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে।

কবির আহমেদ/ইবিটাইমস