ভিয়েনা ০৯:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
রাস্তার মাঝে বিদ্যুতের খুঁটি, ভোগান্তিতে এলাকাবাসী টাঙ্গাইলে প্রিণ্ট মিডিয়া আসোসিয়েশন নিন্দা ও প্রতিবাদ সিইসির সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধিদলের বৈঠক আগামী নির্বাচনে সৎ ও যোগ্য প্রার্থী বেছে নেওয়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার এডাব ঝালকাঠি জেলা শাখার সভাপতি শাহ্ আলম, সম্পাদক হোসাইন আহমেদ ‎ ঝালকাঠির দুটি আসনে ৭ জনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ লাবীব গ্রুপের চেয়ারম্যানকে গ্রেফতারের দাবিতে টাঙ্গাইলে মানববন্ধন নির্বাচনের আগে যে কোনো মূল্যে আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করলেন তিন বাহিনী প্রধান সুদানে শাহাদাত বরণকারী শান্তিরক্ষীদের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত

বিড়াল নিয়ে প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে শিশু দিদার

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৭:১৪:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৩
  • ২৮ সময় দেখুন

ভোলা দক্ষিণ প্রতিনিধি:  মো. জাকি হাসান দিদার। বয়স প্রায় ১১ বছর। শখের বসে বাসায় পালন করছেন দেশীয় প্রজাতির বিড়াল। কিন্তু গতএক সপ্তাহ ধরে অসুস্থ্য নিজের শখের পোষা বিড়াল। নেই খাওয়া-ধাওয়া। দিন দিন জিমিয়ে পড়ছে বিড়ালটি। আগের মতো করছে না খেলাধুলা। বন্ধ হয়ে গেছে দুষ্টুমি। এতে করে মন খারাপ তার। সে ভোলার লালমোহন পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের সওদাগর চৌমুহনি এলাকার বাসিন্দা ও মাদরাসা শিক্ষক মো. জাহিদুল ইসলাম এর ছেলে। এছাড়া লালমোহন হাইস্কুল সংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বর্তমানে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী দিদার।

বিড়ালের অসুস্থতায় তার মনে শান্তি মিলছে না। যেন নিঃসঙ্গ হয়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থী জাকি হাসান দিদার। তাই নিজের শখের পোষা বিড়ালকে চিকিৎসা করাতে একাই নিয়ে যান উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সেখানে গিয়ে কর্তব্যরত ভেটেরিনারি চিকিৎসকের কাছে তার পোষা বিড়ালের অসুস্থতার কথা জানিয়ে চিকিৎসা করান।

শিশু জাকি হাসান দিদার জানান, বিড়ালটি আমার সঙ্গে দুষ্টুমি করতো। তাকে প্রতিদিন যতœ করে গোসল করিয়ে দেই। আবার বিড়ালটিকে নিজ হাতে ভাত-মাছ-মাংস খেতে দেই। তবে গত কয়েকদিন ধরে বিড়ালটির খাওয়া-ধাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। দিন দিন অসুস্থতা বাড়ছে বিড়ালটির। এ জন্য এটির চিকিৎসার জন্য পশু হাসপাতাল নিয়েছি। সেখানে নেওয়ার পর বিড়ালকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসহ বিনামূল্যে ওষুধও দেওয়া হয়েছে। এরপর বিড়ালটি নিয়ে বাড়িতে চলে আসি।

ওই শিক্ষার্থীর বাবা মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, গত বছর দুয়েক আগে সে তার নানা বাড়ি থেকে দেশীয়ও প্রজাতির একটি বিড়াল ছানা পালতে আনে। এর বছর খানেক পর হঠাৎ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায় ওই বিড়ালটি। এরপর আমার ছেলের মন খারাপ হয়ে যায়। তখন আমি নতুন করে আরেকটি দেশীয় প্রজাতির বিড়াল নিয়ে দেই তাকে। এক মাস পরে ওই বিড়ালটি হারিয়ে যায়। তখন মন মরা হয়ে পড়ে দিদার। পরে বিড়ালের বিষয়ে তার দাদির সঙ্গে আলোচনা করলে তিনি তাকে আরেকটি বিড়াল দেন। এরপর থেকে এই বিড়ালটি পরম যত্নে পালতে শুরু করে দিদার। বিড়ালটিই যেন তার সবকিছু। বিড়ালটিকে নিজ হাতে গোসল করানো থেকে খাওয়ানো, প্রতিদিন নিয়ম করে এর সবই করছে দিদার। এমনকি প্রতিনিয়ত বিড়ালটিকে সঙ্গে নিয়ে ঘুমায় সে।

মো. জাহিদুল ইসলাম আরো বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে বিড়ালটি অসুস্থ্য। এ জন্য মন খারাপ আমার ছেলের। ব্যস্ততার কারণে বিড়ালটিকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করাতে পারছিলাম না। বিষয়টি একজনের সঙ্গে আলোচনা করলে তিনি পরামর্শ দেন বিড়ালটিকে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে নিয়ে যেতে। চিকিৎসার বিষয়ে দিদারকে জানালে সে আমার অনুপস্থিতিতে একাই বিড়ালটিকে প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার বিকালে বাসায় এসে শুনি সে বিড়ালের চিকিৎসা করিয়ে এনেছে।

এ বিষয়ে লালমোহন প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. লোকমান জানান, দুপুরের দিকে একজন শিশু তার পোষা বিড়ালকে নিয়ে এখানে এসেছে। পরে বিড়ালের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান করি। এছাড়া বিড়ালের জন্য প্রাণিসম্পদ কার্যালয় থেকে বিনামূল্যে ওষুধও দিয়েছি। ওষুধগুলো ঠিকমতো খাওয়ালে আশা করছি বিড়ালটি দ্রুত সময়ের মধ্যে সুস্থ্য হয়ে উঠবে।

জাহিদুল ইসলাম দুলাল/ইবিটাইমস 

জনপ্রিয়

রাস্তার মাঝে বিদ্যুতের খুঁটি, ভোগান্তিতে এলাকাবাসী

Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

বিড়াল নিয়ে প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে শিশু দিদার

আপডেটের সময় ০৭:১৪:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৩

ভোলা দক্ষিণ প্রতিনিধি:  মো. জাকি হাসান দিদার। বয়স প্রায় ১১ বছর। শখের বসে বাসায় পালন করছেন দেশীয় প্রজাতির বিড়াল। কিন্তু গতএক সপ্তাহ ধরে অসুস্থ্য নিজের শখের পোষা বিড়াল। নেই খাওয়া-ধাওয়া। দিন দিন জিমিয়ে পড়ছে বিড়ালটি। আগের মতো করছে না খেলাধুলা। বন্ধ হয়ে গেছে দুষ্টুমি। এতে করে মন খারাপ তার। সে ভোলার লালমোহন পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের সওদাগর চৌমুহনি এলাকার বাসিন্দা ও মাদরাসা শিক্ষক মো. জাহিদুল ইসলাম এর ছেলে। এছাড়া লালমোহন হাইস্কুল সংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বর্তমানে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী দিদার।

বিড়ালের অসুস্থতায় তার মনে শান্তি মিলছে না। যেন নিঃসঙ্গ হয়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থী জাকি হাসান দিদার। তাই নিজের শখের পোষা বিড়ালকে চিকিৎসা করাতে একাই নিয়ে যান উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সেখানে গিয়ে কর্তব্যরত ভেটেরিনারি চিকিৎসকের কাছে তার পোষা বিড়ালের অসুস্থতার কথা জানিয়ে চিকিৎসা করান।

শিশু জাকি হাসান দিদার জানান, বিড়ালটি আমার সঙ্গে দুষ্টুমি করতো। তাকে প্রতিদিন যতœ করে গোসল করিয়ে দেই। আবার বিড়ালটিকে নিজ হাতে ভাত-মাছ-মাংস খেতে দেই। তবে গত কয়েকদিন ধরে বিড়ালটির খাওয়া-ধাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। দিন দিন অসুস্থতা বাড়ছে বিড়ালটির। এ জন্য এটির চিকিৎসার জন্য পশু হাসপাতাল নিয়েছি। সেখানে নেওয়ার পর বিড়ালকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসহ বিনামূল্যে ওষুধও দেওয়া হয়েছে। এরপর বিড়ালটি নিয়ে বাড়িতে চলে আসি।

ওই শিক্ষার্থীর বাবা মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, গত বছর দুয়েক আগে সে তার নানা বাড়ি থেকে দেশীয়ও প্রজাতির একটি বিড়াল ছানা পালতে আনে। এর বছর খানেক পর হঠাৎ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায় ওই বিড়ালটি। এরপর আমার ছেলের মন খারাপ হয়ে যায়। তখন আমি নতুন করে আরেকটি দেশীয় প্রজাতির বিড়াল নিয়ে দেই তাকে। এক মাস পরে ওই বিড়ালটি হারিয়ে যায়। তখন মন মরা হয়ে পড়ে দিদার। পরে বিড়ালের বিষয়ে তার দাদির সঙ্গে আলোচনা করলে তিনি তাকে আরেকটি বিড়াল দেন। এরপর থেকে এই বিড়ালটি পরম যত্নে পালতে শুরু করে দিদার। বিড়ালটিই যেন তার সবকিছু। বিড়ালটিকে নিজ হাতে গোসল করানো থেকে খাওয়ানো, প্রতিদিন নিয়ম করে এর সবই করছে দিদার। এমনকি প্রতিনিয়ত বিড়ালটিকে সঙ্গে নিয়ে ঘুমায় সে।

মো. জাহিদুল ইসলাম আরো বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে বিড়ালটি অসুস্থ্য। এ জন্য মন খারাপ আমার ছেলের। ব্যস্ততার কারণে বিড়ালটিকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করাতে পারছিলাম না। বিষয়টি একজনের সঙ্গে আলোচনা করলে তিনি পরামর্শ দেন বিড়ালটিকে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে নিয়ে যেতে। চিকিৎসার বিষয়ে দিদারকে জানালে সে আমার অনুপস্থিতিতে একাই বিড়ালটিকে প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার বিকালে বাসায় এসে শুনি সে বিড়ালের চিকিৎসা করিয়ে এনেছে।

এ বিষয়ে লালমোহন প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. লোকমান জানান, দুপুরের দিকে একজন শিশু তার পোষা বিড়ালকে নিয়ে এখানে এসেছে। পরে বিড়ালের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান করি। এছাড়া বিড়ালের জন্য প্রাণিসম্পদ কার্যালয় থেকে বিনামূল্যে ওষুধও দিয়েছি। ওষুধগুলো ঠিকমতো খাওয়ালে আশা করছি বিড়ালটি দ্রুত সময়ের মধ্যে সুস্থ্য হয়ে উঠবে।

জাহিদুল ইসলাম দুলাল/ইবিটাইমস