ভিয়েনা ১১:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ইউরোপের অন্য কোনও দেশে রাশিয়ার হামলার ইচ্ছা নেই নিশ্চয়তা পুতিনের রোমানিয়া-বুলগেরিয়ার যৌথ অভিযানে ৮ মানবপাচারকারী গ্রেপ্তার মাধবপুরে ইঞ্জিন বিকল, ৩ ঘন্টা পর কালনী এক্সপ্রেস ট্রেন পুনরায় যাত্রা বেগম খালেদা জিয়ার অবস্থা অত্যন্ত সংকটময় সেতুসহ পাঁচ দাবিতে শাহবাগে ভোলাবাসীর অবস্থান পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে ৭০,৬৬০ প্রবাসীর নিবন্ধন বাউল শিল্পী আবুল সরকারের ফাঁসির দাবিতে লালমোহনে বিক্ষোভ লালমোহনে এসটিএস ডায়াগনস্টিক সেন্টারের উদ্বোধন অস্ট্রিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়ে পর্তুগালের অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপ জয়লাভ খাল–বিলহীন খিলগাতীতে সাড়ে ৯ কোটি টাকার ব্রিজ নির্মাণ, প্রশ্ন স্থানীয়দের

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর থানার ওসি বদলি হওয়ায় থানার সোফা, টেলিভিশন খুলে নিলেন

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৫:১২:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৩
  • ২৩ সময় দেখুন
স্টাফ রিপোর্টারঃ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলামের বদলি হওয়ায় থানায় লাগানো এসি, টেলিভিশন, আইপিএস ও সোফা খুলে নিয়েছেন। পরে আসবাবপত্রগুলো থানা হতে তার কোয়াটারের সামনে রাখা হয়। এভাবে থানার জিনিষগুলো খুলে নেয়ার ঘটনায় আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে।

এদিকে থানার সৌন্দর্য্য বর্ধনের জন্য যারা জিনিষগুলো উপহার দিয়েছেন তারা বিরূপ মন্তব্য করেছেন।শুক্রবার (২৫ আগষ্ট) রাত ৯টার দিকে থানার পুলিশ সদস্য উদয় ও বহিরাগত আরিফ এবং ভ্যান চালকের সহায়তায় থানার জিনিষপত্রগুলো খোলা হয়। এরপর সেগুলো থানা হতে ভ্যানযোগে ওসির কোয়াটারে নেয়া হয়।

জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (২৪ আগষ্ট) পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার স্বাক্ষরিত স্মারক নং ৫১৭০/১ (৪৯)(আরওআই) আদেশে ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলামকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। তার এই বদলির আদেশের পরেরদিন শুক্রবার রাতে থানার এসি, টেলিভিশন, সোফা ও আইপিএস খুলে নেয়া হয়।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক ব্যবসায়ীরা জানান, জিনিষপত্র ব্যক্তিগত কাউকে দেয়া হয় না। থানায় যে ওসি আসবে সেই ব্যবহার করবে এজন্যই জিনিষপত্রগুলো কেনার জন্য টাকা দেয়া হয়েছে। এতো নিচু মন মানসিকতার ওসি সেটা জানা ছিল না।
থানার পুলিশ সদস্য উদয় বলেন, ওসি স্যারের নির্দেশে জিনিষপত্রগুলো খুলে নেয়া হয়েছে। এরপর সেগুলো ভ্যানযোগে ওসির কোয়াটারে রাখা হয়েছে।
নিকরাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভপতি জুরান মন্ডল বলেন, থানার সৌন্দর্য্য বর্ধন ও থানার যেই ওসি আসুক তারা যেন সুবিধাটা ভোগ করতে পারে সেজন্য বালু মহালের টাকা দিয়ে জিনিষপত্রগুলো দেয়া হয়েছে থানার স্বার্থে কারো ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য নয়। শুনেছি তিনি সেগুলো খুলে নিয়ে যাচ্ছেন এটা ঠিক না। তাকে ব্যক্তিগতভাবে দেয়া হয়নি তার চেয়ারটাকে সম্মান করে দেয়া হয়েছে।

ভূঞাপুর থানার ওসি (তদন্ত) মো. লুৎফর রহমান জানান, ওসির টাকায় কেনা জিনিষপত্র হলেতো সে নিতেই পারে। এই বিষয়ে আমার কোন মন্তব্য নেই।

বদলি হওয়া ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, যেগুলো থানা হতে খোলা হয়েছে সেগুলো ব্যক্তিগত টাকা দিয়ে কেনা। সুতরাং সেগুলো আমি নিতেই পারি।
জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, কারো অনুদানের টাকায় কিনে থাকলে সেগুলো ওসি নিতে পারেন না। যদি ব্যক্তিগত টাকায় কেনা হয় তাহলে নিতে পারবেন। যদিও এই বিষয়ে কিছুই জানি না।
মো: সোয়েব মেজবাহউদ্দিন/ইবিটাইমস 
জনপ্রিয়

ইউরোপের অন্য কোনও দেশে রাশিয়ার হামলার ইচ্ছা নেই নিশ্চয়তা পুতিনের

Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর থানার ওসি বদলি হওয়ায় থানার সোফা, টেলিভিশন খুলে নিলেন

আপডেটের সময় ০৫:১২:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৩
স্টাফ রিপোর্টারঃ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলামের বদলি হওয়ায় থানায় লাগানো এসি, টেলিভিশন, আইপিএস ও সোফা খুলে নিয়েছেন। পরে আসবাবপত্রগুলো থানা হতে তার কোয়াটারের সামনে রাখা হয়। এভাবে থানার জিনিষগুলো খুলে নেয়ার ঘটনায় আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে।

এদিকে থানার সৌন্দর্য্য বর্ধনের জন্য যারা জিনিষগুলো উপহার দিয়েছেন তারা বিরূপ মন্তব্য করেছেন।শুক্রবার (২৫ আগষ্ট) রাত ৯টার দিকে থানার পুলিশ সদস্য উদয় ও বহিরাগত আরিফ এবং ভ্যান চালকের সহায়তায় থানার জিনিষপত্রগুলো খোলা হয়। এরপর সেগুলো থানা হতে ভ্যানযোগে ওসির কোয়াটারে নেয়া হয়।

জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (২৪ আগষ্ট) পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার স্বাক্ষরিত স্মারক নং ৫১৭০/১ (৪৯)(আরওআই) আদেশে ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলামকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। তার এই বদলির আদেশের পরেরদিন শুক্রবার রাতে থানার এসি, টেলিভিশন, সোফা ও আইপিএস খুলে নেয়া হয়।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক ব্যবসায়ীরা জানান, জিনিষপত্র ব্যক্তিগত কাউকে দেয়া হয় না। থানায় যে ওসি আসবে সেই ব্যবহার করবে এজন্যই জিনিষপত্রগুলো কেনার জন্য টাকা দেয়া হয়েছে। এতো নিচু মন মানসিকতার ওসি সেটা জানা ছিল না।
থানার পুলিশ সদস্য উদয় বলেন, ওসি স্যারের নির্দেশে জিনিষপত্রগুলো খুলে নেয়া হয়েছে। এরপর সেগুলো ভ্যানযোগে ওসির কোয়াটারে রাখা হয়েছে।
নিকরাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভপতি জুরান মন্ডল বলেন, থানার সৌন্দর্য্য বর্ধন ও থানার যেই ওসি আসুক তারা যেন সুবিধাটা ভোগ করতে পারে সেজন্য বালু মহালের টাকা দিয়ে জিনিষপত্রগুলো দেয়া হয়েছে থানার স্বার্থে কারো ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য নয়। শুনেছি তিনি সেগুলো খুলে নিয়ে যাচ্ছেন এটা ঠিক না। তাকে ব্যক্তিগতভাবে দেয়া হয়নি তার চেয়ারটাকে সম্মান করে দেয়া হয়েছে।

ভূঞাপুর থানার ওসি (তদন্ত) মো. লুৎফর রহমান জানান, ওসির টাকায় কেনা জিনিষপত্র হলেতো সে নিতেই পারে। এই বিষয়ে আমার কোন মন্তব্য নেই।

বদলি হওয়া ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, যেগুলো থানা হতে খোলা হয়েছে সেগুলো ব্যক্তিগত টাকা দিয়ে কেনা। সুতরাং সেগুলো আমি নিতেই পারি।
জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, কারো অনুদানের টাকায় কিনে থাকলে সেগুলো ওসি নিতে পারেন না। যদি ব্যক্তিগত টাকায় কেনা হয় তাহলে নিতে পারবেন। যদিও এই বিষয়ে কিছুই জানি না।
মো: সোয়েব মেজবাহউদ্দিন/ইবিটাইমস