ইংল্যান্ডকে হারিয়ে নারীদের ফুটবলে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন স্পেন

স্পোর্টস ডেস্ক: ফাইনালের মধ্য দিয়ে পর্দা নামলো নারী বিশ্বকাপ ফুটবলের। রোববার (২০ আগস্ট) অল-ইউরোপিয়ান ফাইনালে স্পেনের মুখোমুখি হয় বর্তমান ইউরো চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। অধিনায়ক ওলগা কারমোনার একমাত্র গোলে ইংল্যান্ডকে ১-০ গোলে হারিয়ে নারী বিশ্বকাপ নিজেদের করে নিয়েছে স্পেনের মেয়েরা।

স্পেনের প্রতিশোধের জন্য বোধহয় এর চেয়ে ভালো কোনো মঞ্চ ছিল না। এক বছর আগে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে এই ‘লা রোহা’দের বিদায় করেছিল ইংল্যান্ড। এবার বিশ্বকাপের ফাইনালেই যেন তার মধুর শোধ নিলো স্পেনের মেয়েরা। প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠেই বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তুলল স্প্যানিশ মেয়েরা।

ম্যাচের ২৯ মিনিটে স্পেনের ওলগা কারমনা গোল করেন। তার ওই গোলেই স্বপ্নের শিরোপা হাতে উঠেছে লা রোজিদের হাতে। বিশ্বকাপের সপ্তম ফুটবলার হিসেবে সেমিফাইনাল ও ফাইনালে গোল করার কীর্তি গড়েছেন তিনি। এছাড়া পঞ্চম দেশ হিসেবে স্পেনের নারীরা ফুটবল বিশ্বকাপ জিতেছে।

ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণে যায় ইংল্যান্ড। কোচ সারিনা উইগম্যানের শিষ্যরা গোল পেতে পারত ১৬তম মিনিটে। পুরো আসরে অসাধারণ খেলা ইংলিশ ফরোয়ার্ড লরেন হ্যাম্পের বল ফিরে আসে বারে লেগে। মিনিট চারেক বাদে দারুণ আরেকটি আক্রমণ সাজায় লায়োনিসরা। ইলা টুনের ডিফেন্সচেরা পাসে হ্যাম্পের চমৎকার শট রুখে দেন স্প্যানিশ গোলরক্ষক ক্যাটা কোল। উল্টো স্রোতের বিপরীতে ২৯ মিনিটে দলকে এগিয়ে নেন অধিনায়ক কারমোনা।

গোল হজম করে মরিয়া হয়ে ওঠে ইংল্যান্ড। বেশ কয়েকটি আক্রমণ করলেও প্রধমার্ধে আর গোল হয়নি। এক গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় স্পেন।

বিরতি থেকে ফিরে আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে স্পেন। ইংল্যান্ড বেশ কয়েকটি আক্রমণ শানালেও ভাঙতে পারেনি লা রোজাদের রক্ষণ। বরং, খেলার ধার বাড়িয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের দিকে নিয়ে নেয় স্পেন। ফলশ্রুতিতে, ৬৯ মিনিটে পায় পেনাল্টি। ডি বক্সের ভেতরে ইংলিশ ডিফেন্ডার কেইরা ওয়ালশ হ্যান্ডবল করলে পেনাল্টির নির্দেশ দেন রেফারি। তবে, স্পটকিক থেকে স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড জেনিফার হারমোসোকে গোলবঞ্চিত করেন লায়োনিস গোলরক্ষক আর্পস।

নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষে অতিরিক্ত সময় হিসেবে ১৩ মিনিট দেওয়া হয়। শেষ মিনিটে জোড়া আক্রমণ করে ইংল্যান্ড। প্রথম শট কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করে স্পেন। শেষ মুহূর্তের কর্নারে ম্যাচের হিরোইন বনে যান স্পেন গোলরক্ষক কোল। বাম দিকে ঝাঁপিয়ে দলকে বাঁচান। এরপরই রেফারির শেষ বাঁশি। স্টেডিয়াম অস্ট্রেলিয়া পরিণত হয় লাল উৎসবে।

ডেস্ক/ইবিটাইমস/ এনএল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Time limit exceeded. Please complete the captcha once again.

Translate »