ভিয়েনা ০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
রাস্তার মাঝে বিদ্যুতের খুঁটি, ভোগান্তিতে এলাকাবাসী টাঙ্গাইলে প্রিণ্ট মিডিয়া আসোসিয়েশন নিন্দা ও প্রতিবাদ সিইসির সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধিদলের বৈঠক আগামী নির্বাচনে সৎ ও যোগ্য প্রার্থী বেছে নেওয়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার এডাব ঝালকাঠি জেলা শাখার সভাপতি শাহ্ আলম, সম্পাদক হোসাইন আহমেদ ‎ ঝালকাঠির দুটি আসনে ৭ জনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ লাবীব গ্রুপের চেয়ারম্যানকে গ্রেফতারের দাবিতে টাঙ্গাইলে মানববন্ধন নির্বাচনের আগে যে কোনো মূল্যে আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করলেন তিন বাহিনী প্রধান সুদানে শাহাদাত বরণকারী শান্তিরক্ষীদের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত

কলা চাষে ভাগ্যবদল করতে চান লালমোহনের ফয়সাল

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৭:৪৬:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৩
  • ২৬ সময় দেখুন

ভোলা দক্ষিণ প্রতিনিধি: নেপালি ও দেশী জাতের সাগর কলায় স্বপ্ন বুনছেন ভোলার লালমোহনের মো. ফয়সাল নামের এক কৃষক। পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ ছেড়াং বাড়ি এলাকায় ৬০ শতাংশ জমি লিজ নিয়ে এবারই প্রথম কলার বাগান গড়ে তুলেন ওই কৃষক। কৃষক ফয়সাল ওই এলাকার মৃত মো. ইউনূছের ছেলে।

কলা চাষি ফয়সাল জানান, বাজারে কলার চাহিদা ও ভালো দাম দেখে কলা চাষে আগ্রহী হই। এরপর এ বছরের প্রথম দিকে এলাকায় ৬০ শতাংশ জমি ১০ বছরের জন্য লিজ নিয়ে কলা চাষের জন্য প্রস্তুত করি। পরে স্থানীয় একটি বাজার থেকে দুই জাতের চারা কিনে বাগানে লাগাই। যেখানে রয়েছে নেপালি ও দেশীয় জাতের সাগর কলা। চারা লাগানোর সাত মাসের মাথায় গাছ থেকে কলা কাটার উপযোগী হয়। ইতোমধ্যে বাজারে লক্ষাধিক টাকার কলা বিক্রি করেছি। এখনও বাগানে প্রায় তিন লক্ষ টাকার মতো কলা রয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে এসব কলা বিক্রি হয়ে যাবে। বাগানের সব কলা বিক্রি হয়ে গেলে আগামী বছরের জন্য আবার প্রস্তুতি নিবো।

চাষি ফয়সাল আরো জানান, কলাগুলো বাগান থেকে এসে বেপারীরা কিনে নেন। এছাড়া মাঝে মধ্যে নিজেই নিয়ে বাজারে বিক্রি করি। প্রতি কুড়ি কলা ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এরমধ্যে এক ছড়া কলা সর্বনি¤œ তিনশত টাকা ও সর্বোচ্চ ১২শত টাকায় বিক্রি করেছি। এছাড়া বাগান থেকে কলার চারা বিক্রি করেছি অর্ধলক্ষাধিক টাকার। উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে এসে লোকজন কলার চারা কিনছেন। পুরো বছর জুড়েই এ চারা বিক্রি চলমান থাকবে।
কলা চাষি ফয়সাল বলেন, এই বাগান তৈরি করতে জমি লিজের টাকা এবং শ্রমিকসহ যাবতীয় খরচ হয়েছে প্রায় সাড়ে চার লাখ টাকার মতো। এ বছরের কলা ও চারা বিক্রির টাকায় সেই খরচ মিটে লাভবান হবো ইনশাআল্লাহ। সামনের বছরগুলোতে আরো বেশি লাভবান হতে পারবো। এই কলার বাগান আরো বৃদ্ধি করার খেয়াল রয়েছে। এ জন্য সরকারি-বেসরকারি আর্থিক সহযোগিতা পেলে বাগান বৃদ্ধি করতে সহজ হবে। যার জন্য আমি সহযোগিতা কামনা করছি।

স্থানীয় মো. তাজল ইসলাম, আনিছল হক ও মো. সেলিম জানান, এবার প্রথম কলা চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছেন ফয়সাল। এতে করে তিনি ভালো লাভবান হবেন বলে মনে হচ্ছে। চাষি ফয়সালের দেখাদেখি স্থানীয় অনেকে ইতোমধ্যে কলা চাষের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। এ বছরের মধ্যে এই এলাকায় কলার চাষ আরো বাড়বে।

এ বিষয়ে লালমোহন উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. রফিকুল আমিন বলেন, প্রথম থেকে এ পর্যন্ত ওই চাষির কলা বাগান বেশ কয়েকবার পরিদর্শন করেছি। তাকে প্রয়োজনীয় পরামর্শও প্রদান করা হয়েছে। যারা কৃষি কাজে উদ্যোগী হয়ে চাষাবাদে আগ্রহী হবে উপজেলা কৃষি অফিস সব সময় তাদের পাশে থাকবে।

জাহিদুল ইসলাম দুলাল/ইবিটাইমস 

জনপ্রিয়

রাস্তার মাঝে বিদ্যুতের খুঁটি, ভোগান্তিতে এলাকাবাসী

Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

কলা চাষে ভাগ্যবদল করতে চান লালমোহনের ফয়সাল

আপডেটের সময় ০৭:৪৬:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৩

ভোলা দক্ষিণ প্রতিনিধি: নেপালি ও দেশী জাতের সাগর কলায় স্বপ্ন বুনছেন ভোলার লালমোহনের মো. ফয়সাল নামের এক কৃষক। পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ ছেড়াং বাড়ি এলাকায় ৬০ শতাংশ জমি লিজ নিয়ে এবারই প্রথম কলার বাগান গড়ে তুলেন ওই কৃষক। কৃষক ফয়সাল ওই এলাকার মৃত মো. ইউনূছের ছেলে।

কলা চাষি ফয়সাল জানান, বাজারে কলার চাহিদা ও ভালো দাম দেখে কলা চাষে আগ্রহী হই। এরপর এ বছরের প্রথম দিকে এলাকায় ৬০ শতাংশ জমি ১০ বছরের জন্য লিজ নিয়ে কলা চাষের জন্য প্রস্তুত করি। পরে স্থানীয় একটি বাজার থেকে দুই জাতের চারা কিনে বাগানে লাগাই। যেখানে রয়েছে নেপালি ও দেশীয় জাতের সাগর কলা। চারা লাগানোর সাত মাসের মাথায় গাছ থেকে কলা কাটার উপযোগী হয়। ইতোমধ্যে বাজারে লক্ষাধিক টাকার কলা বিক্রি করেছি। এখনও বাগানে প্রায় তিন লক্ষ টাকার মতো কলা রয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে এসব কলা বিক্রি হয়ে যাবে। বাগানের সব কলা বিক্রি হয়ে গেলে আগামী বছরের জন্য আবার প্রস্তুতি নিবো।

চাষি ফয়সাল আরো জানান, কলাগুলো বাগান থেকে এসে বেপারীরা কিনে নেন। এছাড়া মাঝে মধ্যে নিজেই নিয়ে বাজারে বিক্রি করি। প্রতি কুড়ি কলা ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এরমধ্যে এক ছড়া কলা সর্বনি¤œ তিনশত টাকা ও সর্বোচ্চ ১২শত টাকায় বিক্রি করেছি। এছাড়া বাগান থেকে কলার চারা বিক্রি করেছি অর্ধলক্ষাধিক টাকার। উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে এসে লোকজন কলার চারা কিনছেন। পুরো বছর জুড়েই এ চারা বিক্রি চলমান থাকবে।
কলা চাষি ফয়সাল বলেন, এই বাগান তৈরি করতে জমি লিজের টাকা এবং শ্রমিকসহ যাবতীয় খরচ হয়েছে প্রায় সাড়ে চার লাখ টাকার মতো। এ বছরের কলা ও চারা বিক্রির টাকায় সেই খরচ মিটে লাভবান হবো ইনশাআল্লাহ। সামনের বছরগুলোতে আরো বেশি লাভবান হতে পারবো। এই কলার বাগান আরো বৃদ্ধি করার খেয়াল রয়েছে। এ জন্য সরকারি-বেসরকারি আর্থিক সহযোগিতা পেলে বাগান বৃদ্ধি করতে সহজ হবে। যার জন্য আমি সহযোগিতা কামনা করছি।

স্থানীয় মো. তাজল ইসলাম, আনিছল হক ও মো. সেলিম জানান, এবার প্রথম কলা চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছেন ফয়সাল। এতে করে তিনি ভালো লাভবান হবেন বলে মনে হচ্ছে। চাষি ফয়সালের দেখাদেখি স্থানীয় অনেকে ইতোমধ্যে কলা চাষের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। এ বছরের মধ্যে এই এলাকায় কলার চাষ আরো বাড়বে।

এ বিষয়ে লালমোহন উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. রফিকুল আমিন বলেন, প্রথম থেকে এ পর্যন্ত ওই চাষির কলা বাগান বেশ কয়েকবার পরিদর্শন করেছি। তাকে প্রয়োজনীয় পরামর্শও প্রদান করা হয়েছে। যারা কৃষি কাজে উদ্যোগী হয়ে চাষাবাদে আগ্রহী হবে উপজেলা কৃষি অফিস সব সময় তাদের পাশে থাকবে।

জাহিদুল ইসলাম দুলাল/ইবিটাইমস