ভিয়েনা ১১:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভিয়েনায় জাতীয় শোক দিবস এবং বঙ্গবন্ধুর ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী পালিত

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৬:৩৫:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৩
  • ৯ সময় দেখুন

ভিয়েনা ডেস্কঃ ভিয়েনাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস এবং স্থায়ী মিশনের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়।

এ উপলক্ষ্যে ১৫ আগস্ট ২০২৩ তারিখে দূতাবাস প্রাঙ্গণে এক বিশেষ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী জাতীয় শোক দিবসের এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন।

প্রত্যুষে দূতালয়ে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণের মাধ্যমে দিবসের কার্যক্রম শুরু হয় এবং পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে বিকেল পাঁচটায় দূতাবাস কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এরপর জাতির পিতা ও ১৫ই আগস্টের সকল শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তারা পরম শ্রদ্ধায় বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সকল শহিদদের স্মরণ করেন। তাঁদের বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ও কর্মময় জীবনের বিভিন্ন দিক এবং তাঁর ঐতিহাসিক অবদান তুলে ধরা হয়।

বক্তারা পঁচাত্তরের বর্বরোচিত ঘৃণ্য হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা জানান এবং বিদেশে পলাতক খুনীদের দেশে ফেরত এনে তাদের শাস্তি কার্যকর করার জোর দাবি জানান। বক্তাগণ জাতির পিতার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দেশমাতৃকার উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে সম্পৃক্ত হতে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের সকল শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

তিনি বঙ্গবন্ধুর কর্মময় সংগ্রামী জীবন, রাজনৈতিক দূরদর্শিতার বর্ণনা দেন। তিনি বলেন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্মের অল্প সময়ের মধ্যেই স্বাধীন বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্বস্বীকৃতি আদায় করতে সক্ষম হন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন বিষয়ক দর্শনকে হৃদয়ে ধারণ করেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার কাজে নিবেদিত তাঁর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ঐক্যবদ্ধভাবে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদক্ষ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ একটি সুখী-সমৃদ্ধ উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। তিনি প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের আমলে বাংলাদেশের অগ্রগতি ও অর্জন বিদেশিদের সামনে তুলে ধরা ও বঙ্গবন্ধুর খুনীদের বাংলাদেশে ফিরিয়ে নিয়ে আইনানুগ শাস্তি নিশ্চিতকরণে বিশ্ব জনমত গঠন করায় অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে দূতাবাসের চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স রাহাত বিন জামান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সকল শহিদ এবং মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

তিনি বঙ্গবন্ধুর অসামান্য নেত্বত্বের বর্ণনা দিয়ে বলেন বঙ্গবন্ধু আজীবন শোষিত মানুষের অধিকার আদায়ে সংগ্রাম করে গেছেন। তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বেই নিরস্ত্র বাঙালি শক্তিশালী পাক-হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণে অনুপ্রাণিত হয়। তিনি বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সবাইকে একসাথে কাজ করতে আহ্বান জানান।

সবশেষে, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শাহাদাতবরণকারী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সকল শহিদ ও মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা; এবং দেশ ও জাতির শান্তি, অগ্রগতি এবং সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে আপ্যায়নের মাধ্যমে দিবসটির কার্যক্রমের সমাপ্তি ঘটে।

ডেস্ক/ইবিটাইমস 

জনপ্রিয়
Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

ভিয়েনায় জাতীয় শোক দিবস এবং বঙ্গবন্ধুর ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী পালিত

আপডেটের সময় ০৬:৩৫:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৩

ভিয়েনা ডেস্কঃ ভিয়েনাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস এবং স্থায়ী মিশনের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়।

এ উপলক্ষ্যে ১৫ আগস্ট ২০২৩ তারিখে দূতাবাস প্রাঙ্গণে এক বিশেষ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী জাতীয় শোক দিবসের এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন।

প্রত্যুষে দূতালয়ে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণের মাধ্যমে দিবসের কার্যক্রম শুরু হয় এবং পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে বিকেল পাঁচটায় দূতাবাস কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এরপর জাতির পিতা ও ১৫ই আগস্টের সকল শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তারা পরম শ্রদ্ধায় বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সকল শহিদদের স্মরণ করেন। তাঁদের বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ও কর্মময় জীবনের বিভিন্ন দিক এবং তাঁর ঐতিহাসিক অবদান তুলে ধরা হয়।

বক্তারা পঁচাত্তরের বর্বরোচিত ঘৃণ্য হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা জানান এবং বিদেশে পলাতক খুনীদের দেশে ফেরত এনে তাদের শাস্তি কার্যকর করার জোর দাবি জানান। বক্তাগণ জাতির পিতার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দেশমাতৃকার উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে সম্পৃক্ত হতে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের সকল শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

তিনি বঙ্গবন্ধুর কর্মময় সংগ্রামী জীবন, রাজনৈতিক দূরদর্শিতার বর্ণনা দেন। তিনি বলেন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্মের অল্প সময়ের মধ্যেই স্বাধীন বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্বস্বীকৃতি আদায় করতে সক্ষম হন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন বিষয়ক দর্শনকে হৃদয়ে ধারণ করেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার কাজে নিবেদিত তাঁর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ঐক্যবদ্ধভাবে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদক্ষ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ একটি সুখী-সমৃদ্ধ উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। তিনি প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের আমলে বাংলাদেশের অগ্রগতি ও অর্জন বিদেশিদের সামনে তুলে ধরা ও বঙ্গবন্ধুর খুনীদের বাংলাদেশে ফিরিয়ে নিয়ে আইনানুগ শাস্তি নিশ্চিতকরণে বিশ্ব জনমত গঠন করায় অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে দূতাবাসের চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স রাহাত বিন জামান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সকল শহিদ এবং মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

তিনি বঙ্গবন্ধুর অসামান্য নেত্বত্বের বর্ণনা দিয়ে বলেন বঙ্গবন্ধু আজীবন শোষিত মানুষের অধিকার আদায়ে সংগ্রাম করে গেছেন। তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বেই নিরস্ত্র বাঙালি শক্তিশালী পাক-হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণে অনুপ্রাণিত হয়। তিনি বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সবাইকে একসাথে কাজ করতে আহ্বান জানান।

সবশেষে, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শাহাদাতবরণকারী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সকল শহিদ ও মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা; এবং দেশ ও জাতির শান্তি, অগ্রগতি এবং সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে আপ্যায়নের মাধ্যমে দিবসটির কার্যক্রমের সমাপ্তি ঘটে।

ডেস্ক/ইবিটাইমস