ভিয়েনা ০৮:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জুলাই মাসে ৫০৫ সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৭৬ জন নিহত, আহত ১০৫৫ জন

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০১:০১:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অগাস্ট ২০২৩
  • ২১ সময় দেখুন

স্টাফ রিপোর্টারঃ চলতি বছর শুধু জুলাই মাসে ৫০৫ সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৭৬ জন নিহত ও এক হাজার ৫৫ জন আহত হয়েছেন। একই সময় রেলপথে ৪৭টি দুর্ঘটনায় ৪৮ জন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন। নৌ-পথে ১৬টি দুর্ঘটনায় ২১ জন নিহত ও আহত ১৫ এবং ৩৮ জন নিখোঁজ রয়েছে। সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সর্বমোট ৫৬৮ দুর্ঘটনায় ৬৪৪ জন নিহত এবং ১০৭৫ জন আহত হয়েছেন।

শনিবার দুপুরে সংবাদ মাধ্যমে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর পাঠানো দুর্ঘটনা প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানিয়েছে। দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌ পথের দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এ সময়ে ১৮০ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৯৫ জন নিহত ও ১২২ জন আহত হয়েছেন। যা মোট দুর্ঘটনার ৩৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ, নিহতদের মধ্যে ৩৮.৬১ শতাংশ ও আহতের ২৪.১৫ শতাংশ। এ মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে ঢাকা বিভাগে। সেখানে ১৫৭ সড়ক দুর্ঘটনায় ১৭৩ জন নিহত ও ২৭১ জন আহত হয়েছেন। অন্যদিকে সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে বরিশাল বিভাগে। সেখানে ২৩ সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৮ জন নিহত ও ১৩৮ জন আহত হয়েছেন।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণের তথ্য মতে জুলাই মাসে সড়ক দুর্ঘটনার উল্লেখযোগ্য কারণগুলো হচ্ছে— দেশের সড়ক-মহাসড়কে মোটরসাইকেল ও ইজিবাইক অবাধ চলাচল; মোটরসাইকেল, ব্যাটারিচালিত রিকশা ও তিন চাকার যানের ব্যাপক বৃদ্ধি; সড়ক-মহাসড়কে রোড সাইন বা রোড মার্কিং, সড়কে বাতি না থাকা; মহাসড়কের নির্মাণ ত্রুটি, যানবাহনের ত্রুটি,  ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা; উল্টোপথে যানবাহন চালানো, সড়কে চাদাঁবাজি, পণ্যবাহী যানে যাত্রী পরিবহন; অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, বেপরোয়াভাবে যানবাহন চালানো; রেলক্রসিং-এ দায়িত্বরত ব্যাক্তির গাফিলতি। ফিডার রোড এবং আঞ্চলিক রোড থেকে হঠাৎ যানবাহন উঠে আসা।

দুর্ঘটনার প্রতিরোধে সুপারিশগুলো হচ্ছে— মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের মতো ছোট ছোট যানবাহন আমদানি ও নিবন্ধন বন্ধ করা; দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ, ডিজিটাল পদ্ধতিতে যানবাহনের ফিটনেস প্রদান; ধীরগতির যান ও দ্রুতগতির যানের জন্য আলাদা লেনের ব্যবস্থা করা; সড়কে চাদাঁবাজি বন্ধ করা, চালকদের বেতন ও কর্মঘণ্টা সুনিশ্চিত করা; সড়কে রোড সাইন, রোড মার্কিং অঙ্কন ও স্থাপন করা; সড়ক পরিবহণ আইন যথাযতভাবে বাস্তবায়ন করা ও ডিজিটাল পদ্ধতিতে ট্রাফিক আইন প্রয়োগ করা এবং গণপরিবহন বিকশিত করা, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।

মোঃ সোয়েব মেজবাহউদ্দিন/ইবিটাইমস 

জনপ্রিয়
Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

জুলাই মাসে ৫০৫ সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৭৬ জন নিহত, আহত ১০৫৫ জন

আপডেটের সময় ০১:০১:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অগাস্ট ২০২৩

স্টাফ রিপোর্টারঃ চলতি বছর শুধু জুলাই মাসে ৫০৫ সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৭৬ জন নিহত ও এক হাজার ৫৫ জন আহত হয়েছেন। একই সময় রেলপথে ৪৭টি দুর্ঘটনায় ৪৮ জন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন। নৌ-পথে ১৬টি দুর্ঘটনায় ২১ জন নিহত ও আহত ১৫ এবং ৩৮ জন নিখোঁজ রয়েছে। সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সর্বমোট ৫৬৮ দুর্ঘটনায় ৬৪৪ জন নিহত এবং ১০৭৫ জন আহত হয়েছেন।

শনিবার দুপুরে সংবাদ মাধ্যমে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর পাঠানো দুর্ঘটনা প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানিয়েছে। দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌ পথের দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এ সময়ে ১৮০ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৯৫ জন নিহত ও ১২২ জন আহত হয়েছেন। যা মোট দুর্ঘটনার ৩৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ, নিহতদের মধ্যে ৩৮.৬১ শতাংশ ও আহতের ২৪.১৫ শতাংশ। এ মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে ঢাকা বিভাগে। সেখানে ১৫৭ সড়ক দুর্ঘটনায় ১৭৩ জন নিহত ও ২৭১ জন আহত হয়েছেন। অন্যদিকে সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে বরিশাল বিভাগে। সেখানে ২৩ সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৮ জন নিহত ও ১৩৮ জন আহত হয়েছেন।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণের তথ্য মতে জুলাই মাসে সড়ক দুর্ঘটনার উল্লেখযোগ্য কারণগুলো হচ্ছে— দেশের সড়ক-মহাসড়কে মোটরসাইকেল ও ইজিবাইক অবাধ চলাচল; মোটরসাইকেল, ব্যাটারিচালিত রিকশা ও তিন চাকার যানের ব্যাপক বৃদ্ধি; সড়ক-মহাসড়কে রোড সাইন বা রোড মার্কিং, সড়কে বাতি না থাকা; মহাসড়কের নির্মাণ ত্রুটি, যানবাহনের ত্রুটি,  ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা; উল্টোপথে যানবাহন চালানো, সড়কে চাদাঁবাজি, পণ্যবাহী যানে যাত্রী পরিবহন; অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, বেপরোয়াভাবে যানবাহন চালানো; রেলক্রসিং-এ দায়িত্বরত ব্যাক্তির গাফিলতি। ফিডার রোড এবং আঞ্চলিক রোড থেকে হঠাৎ যানবাহন উঠে আসা।

দুর্ঘটনার প্রতিরোধে সুপারিশগুলো হচ্ছে— মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের মতো ছোট ছোট যানবাহন আমদানি ও নিবন্ধন বন্ধ করা; দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ, ডিজিটাল পদ্ধতিতে যানবাহনের ফিটনেস প্রদান; ধীরগতির যান ও দ্রুতগতির যানের জন্য আলাদা লেনের ব্যবস্থা করা; সড়কে চাদাঁবাজি বন্ধ করা, চালকদের বেতন ও কর্মঘণ্টা সুনিশ্চিত করা; সড়কে রোড সাইন, রোড মার্কিং অঙ্কন ও স্থাপন করা; সড়ক পরিবহণ আইন যথাযতভাবে বাস্তবায়ন করা ও ডিজিটাল পদ্ধতিতে ট্রাফিক আইন প্রয়োগ করা এবং গণপরিবহন বিকশিত করা, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।

মোঃ সোয়েব মেজবাহউদ্দিন/ইবিটাইমস