ভিয়েনা ১২:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভোলার উপকূল এলাকায় দুর্ভোগে হাজারো মানুষ, টানা ৩ দিন ধরে জোয়ারে ভাসছে

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০২:৪৮:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৩
  • ৬ সময় দেখুন

 মনজুর রহমান,ভোলা: ভোলায় টানা ৩ দিন ধরে  জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে বাঁধের বাইরে থাকা নিম্নাঞ্চলের অন্তত ১৫ টি গ্রাম। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন সেখানবার ৩৫ হাজার মানুষ।

বিদৎসীসার ওপরে পানি প্রবাহিত হওয়ায় ফলে বেড়েছে মেঘনার পানি। এতে  ক্ষতিগ্রস্থ উপকূলের মানুষ। জলবদ্ধতায় বাড়ছে অসুখ-বিসুখ। পানিতে ঘরবাড়ি তলিয়ে যাওয়ায় রান্নার চুলো জ্বলেনি অনেকের ঘরে।

টানা ৩ দিন ধরে এ অবস্থা চললেও স্থানীয় প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, খুব দ্রুতই এসব গ্রামকে বাঁধের আওতায় আনা হবে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, একদিকে প্রবল পানির চাপ অন্যদিকে জলাদ্ধতার দুর্ভোগ। পানিতে ভাসছে ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, রাস্তা-ঘাটসহ বিভিন্ন স্খপনা। এমনি চিত্র ভোলা সদরের রাজাপুর, ধনিয়া, ইলিশার ১৫ গ্রামের।

নিম্নচাপ এবং পূর্নিমার প্রভাবে মেঘনার পানি বিপদ সীমার ৬৪ সেন্টিমিটার উপরে প্রবাহিত হওয়ায় টানা তৃতীয় দিনের মত বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানি বন্দি হয়ে পড়েছেন এসব মানুষ। অনেকে ঘরে জ্বলেনি রান্নাঘরের চুলো। শিশুদের বাড়ছে ওষুখ। তবুও নেই প্রশাসনের কোন উদ্যোগ এমন অভিযোগ পানি বন্দি মানুষের।

দক্ষিন রাজাপুর গ্রামের সাথী আক্তার, ইয়ানুর ও হালিমা বেগমের অভিযোগ, জোয়ারের পানিতে এভাবে দুর্ভোগ পোহালেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি, বাধে আশ্রয় নিয়ে অনেক কষ্টে আছেন।

তারা আরও বলেন, পানিতে হাস-মুরগীসহ অনেকই কিছু ভেসে গেছে, চুলো ডুবে যাওয়ায় রান্না হয়নি। ছেলে মেয়েরাও স্কুলে যেতে পারছে না।
এদিকে বেড়ি বাঁধ না থাকায় এক যুগেরও বেশী সময় ধরে পুরো বর্ষা মওসুম জুড়ে দুর্ভোগ আর অসহায় জীবন যাপন করলেও নজর নেই।

ইউপি সদস্য মাসুদ রানা বলেন, পুরো এলাকা ডুবে আছে, এসব মানুষের জন্য ত্রান সহায়তা দরকার। মানুষ অনেক কষ্টে আছে।

ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম মিঠু চৌধূরি বলেন, ২/৩ দিন ধরে জোয়ারে ভাসছে বাধের বাইরের মানুষ। কষ্ট আর দুর্ভোগে দিন কাটছে তাদের।
এ ব্যাপারে ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) মু. হাসানুজ্জামান বলেন, বাধের বাইরের রাজাপুর ও শিবপুর অংশে সমীক্ষা চলছে, এ কার্যক্রম শেষ আমরা বাযবস্থা নিতে পারবে। তখন হয়ত খুব দ্রুত এসব এলাকাকে বিকল্প বন্যা নিয়ন্ত্রন বাধের আওতায় আনা হবে।

এ মৌসুমে মেঘনার সর্বোচ্চা জোয়ার হয়েছে। উচু বাধ নির্মানের মাধ্যমে উপকূলকে রক্ষার দাবী পানি বন্দি মানুষের।

ভোলা/ইবিটাইমস 

জনপ্রিয়
Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

ভোলার উপকূল এলাকায় দুর্ভোগে হাজারো মানুষ, টানা ৩ দিন ধরে জোয়ারে ভাসছে

আপডেটের সময় ০২:৪৮:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৩

 মনজুর রহমান,ভোলা: ভোলায় টানা ৩ দিন ধরে  জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে বাঁধের বাইরে থাকা নিম্নাঞ্চলের অন্তত ১৫ টি গ্রাম। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন সেখানবার ৩৫ হাজার মানুষ।

বিদৎসীসার ওপরে পানি প্রবাহিত হওয়ায় ফলে বেড়েছে মেঘনার পানি। এতে  ক্ষতিগ্রস্থ উপকূলের মানুষ। জলবদ্ধতায় বাড়ছে অসুখ-বিসুখ। পানিতে ঘরবাড়ি তলিয়ে যাওয়ায় রান্নার চুলো জ্বলেনি অনেকের ঘরে।

টানা ৩ দিন ধরে এ অবস্থা চললেও স্থানীয় প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, খুব দ্রুতই এসব গ্রামকে বাঁধের আওতায় আনা হবে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, একদিকে প্রবল পানির চাপ অন্যদিকে জলাদ্ধতার দুর্ভোগ। পানিতে ভাসছে ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, রাস্তা-ঘাটসহ বিভিন্ন স্খপনা। এমনি চিত্র ভোলা সদরের রাজাপুর, ধনিয়া, ইলিশার ১৫ গ্রামের।

নিম্নচাপ এবং পূর্নিমার প্রভাবে মেঘনার পানি বিপদ সীমার ৬৪ সেন্টিমিটার উপরে প্রবাহিত হওয়ায় টানা তৃতীয় দিনের মত বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানি বন্দি হয়ে পড়েছেন এসব মানুষ। অনেকে ঘরে জ্বলেনি রান্নাঘরের চুলো। শিশুদের বাড়ছে ওষুখ। তবুও নেই প্রশাসনের কোন উদ্যোগ এমন অভিযোগ পানি বন্দি মানুষের।

দক্ষিন রাজাপুর গ্রামের সাথী আক্তার, ইয়ানুর ও হালিমা বেগমের অভিযোগ, জোয়ারের পানিতে এভাবে দুর্ভোগ পোহালেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি, বাধে আশ্রয় নিয়ে অনেক কষ্টে আছেন।

তারা আরও বলেন, পানিতে হাস-মুরগীসহ অনেকই কিছু ভেসে গেছে, চুলো ডুবে যাওয়ায় রান্না হয়নি। ছেলে মেয়েরাও স্কুলে যেতে পারছে না।
এদিকে বেড়ি বাঁধ না থাকায় এক যুগেরও বেশী সময় ধরে পুরো বর্ষা মওসুম জুড়ে দুর্ভোগ আর অসহায় জীবন যাপন করলেও নজর নেই।

ইউপি সদস্য মাসুদ রানা বলেন, পুরো এলাকা ডুবে আছে, এসব মানুষের জন্য ত্রান সহায়তা দরকার। মানুষ অনেক কষ্টে আছে।

ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম মিঠু চৌধূরি বলেন, ২/৩ দিন ধরে জোয়ারে ভাসছে বাধের বাইরের মানুষ। কষ্ট আর দুর্ভোগে দিন কাটছে তাদের।
এ ব্যাপারে ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) মু. হাসানুজ্জামান বলেন, বাধের বাইরের রাজাপুর ও শিবপুর অংশে সমীক্ষা চলছে, এ কার্যক্রম শেষ আমরা বাযবস্থা নিতে পারবে। তখন হয়ত খুব দ্রুত এসব এলাকাকে বিকল্প বন্যা নিয়ন্ত্রন বাধের আওতায় আনা হবে।

এ মৌসুমে মেঘনার সর্বোচ্চা জোয়ার হয়েছে। উচু বাধ নির্মানের মাধ্যমে উপকূলকে রক্ষার দাবী পানি বন্দি মানুষের।

ভোলা/ইবিটাইমস