ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক আলহাজ্ব আমির হোসেন আমু এমপি বলেছেন, বনায়ন আমাদেরকে অক্সিজেন দিয়ে বাচিয়ে রেখেছে। গাছ লাগিয়ে বনায়ন সৃষ্টি সামাজিক নিরাপত্তার পাশাপাশি আর্থিকভাবেও মানুষকে সহযোগীতা করে। বিশেষ করে ফলজ গাছ থেকে ফরমালিন মুক্ত ফলমুল এবং ঔষধি গাছ বিভিন্ন রোগ ব্যধির নিরাময়ের ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করে। সুতরাং প্রত্যেক মানুষকেই তার বসত বাড়িসহ যেকানে একটু জায়গা পাওয়া যায় সেখানেই গাছ লাগিয়ে পরিবেশের নিরাপত্তার ঝুকি কমাতে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি সোমবার সকাল ১১টায় ঝালকাঠি শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে শিল্পকলা চত্বরে ৭দিনব্যাপী বৃক্ষরোপন অভিযান ও বৃক্ষমেলার উদ্ভোধন শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। তিনি ফিতা কেটে আনুষ্ঠানিক উদ্ভোধনের পরে বৃক্ষ মেলার বিভিন্ন ষ্টল ঘুরে দেখেন।
জেলা প্রশাসক ফারাহ্ গুল নিঝুমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আফরুজুল হক টুটুল, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব সরদার মোঃ শাহ আলম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাড. খান সাইফুল্লাহ পনির, উপজেলা চেয়ারম্যানদ্বয় খান আরিফুর রহমান ও সিদ্দিকুর রহমান, পৌর মেয়র আলহাজ্ব লিয়াকত আলী তালুকদার বিশেষ অতিথি ছিলেন। অন্যদের মধ্যে বরিশাল বিভাগীয় বন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ডঃ মোঃ আব্দুল আওয়াল স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
এর পূর্বে এ উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বর থেকে র্যালি বের হয় এবং র্যালিটি সড়ক ঘুরে শিল্পকলায় এসে শেষ হয়। জননেতা আলহাজ্ব আমির হোসেন আমু এই র্যালিটির নেতৃত্ব দেন। ২০টি ষ্টলে স্বরুপকাঠীসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে নার্সারী প্রতিষ্ঠান নতুন নতুন বনজ, ফলজ, ঔষধী ও ফুল-ফলের চারা মেলায় প্রদর্শন ও বিক্রির জন্য এনেছেন। ঝালকাঠি জেলায় সরকারিভাবে ব্যক্তি উদ্যোগের পাশাপাশি সরকারিভাবে সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির মাধ্যমে স্ট্রিপ বাগান সৃজন করেছে।
২৩৫৫ কিলোমিটারে সামাজিক বনায়ন কর্মসূচি রয়েছে। এর আওতায় উপকারভূগির সংখ্যা ১১ হাজার ৭৭৫জন তার ভিতরে ৪ হাজার ১৭৫জন মহিলা ও ৭ হাজার ৬০০ জন পুরুষ উপকারভোগী রয়েছে। এই সামাজিক বনায়নে গাছ পরিপূর্ণ হওয়ার পরে বিক্রী ৫৫% হিস্যা উপকারভোগীরা পেয়ে আসছেন। এবছর বন বিভাগ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, স্কুল কলেজ ও অফিস আদালত চত্বরে বনায়নের জন্য ব্যাপক সংখ্যক চারা বিতরণ করবেন বলে জানানো হয়েছে।
বাধন রায়/ইবিটাইমস