অস্ট্রিয়া বাংলাদেশ কমিউনিটির প্রথম তরুন প্রশাসনিক পুলিশ কর্মকর্তার জাঁকজঁমক বিয়ে সম্পন্ন

ভিয়েনা থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ অস্ট্রিয়ার স্টায়ারমার্ক রাজ্যের রাজধানী গ্রাজে এই জাঁকজঁমক বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে

ইউরোপ ডেস্কঃ গত রবিবার (১৬ জুলাই) অস্ট্রিয়ার দক্ষিণের রাজ্য স্টায়ারমার্কের রাজধানী গ্রাজের স্থানীয় নূর মসজিদে ইসলামিক রীতিনীতি অনুযায়ী বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। পরে অস্ট্রিয়ান ম্যাজিস্ট্রেট অফিসে নিবন্ধন করা হয়। বিবাহ পড়ান রাজধানী ভিয়েনার ২০ নাম্বার ডিস্ট্রিক্টের বায়তুল মামুর মসজিদের সন্মানিত ইমাম ও খতিব শায়েখ মুমিনুল ইসলাম। বিয়েতে মোহরানা বাবদ নগদ €৫,০০০ ইউরো প্রদান করা হয় বরের পক্ষ থেকে।

বর সাজ্জাদ কবির ভিয়েনা পুলিশ প্রশাসনে একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসাবে কর্মরত আছেন। আর কনে সাইবা নাসির বর্তমানে ভিয়েনায় উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণ করছেন। বর সাজ্জাদ কবিরের পিতা সালমান কবির সোহাগ বৃহত্তর নোয়াখালী সমিতির বর্তমান সভাপতি এবং বাংলাদেশ অস্ট্রিয়া সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক। সালমান কবির সোহাগের পৈতৃক বাড়ি বাংলাদেশের নোয়াখালী জেলায়।

কনের পিতা মোহাম্মদ নাসির দীর্ঘদিন যাবত গ্রাজ (Graz) শহরে বসবাস করে আসছেন। তার পৈতৃক বাড়ি বাংলাদেশের মুন্শিগন্জ জেলায়। তিনি বড় মেয়ে সাইবা নাসির (কনে) সহ তিন কন্যা সন্তানের জনক।

বিবাহ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হওয়ার পর কনের বাবা মোহাম্মদ নাসির গ্রাজের একটি প্রসিদ্ধ রেস্টুরেন্টের হল রুমে আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। বিয়ের এই অনুষ্ঠানে ভিয়েনা, গ্রাজ ও লোয়ার অস্ট্রিয়া রাজ্যের ভিনার নয়াস্ট্যাড থেকে আত্মীয়-স্বজন,শুভাকান্খি সহ অস্ট্রিয়া বাংলাদেশ কমিউনিটির বিভিন্ন আঞ্চলিক, সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ পরিবার পরিজন সহ উপস্থিত ছিলেন।

আমন্ত্রিত অতিথিদের বাংলাদেশী স্টাইলে বিবাহের খাবার পরিবেশন করেন ভিয়েনার ১৬ নাম্বার ডিস্ট্রিক্টের বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত মালিকানাধীন ঢাকা রেস্টুরেন্ট। অনুষ্ঠানে অস্ট্রিয়া বাংলাদেশ কমিউনিটির প্রায় সাড়ে তিন শতাধিকের উপরে অতিথি উপস্থিত ছিলেন। খাবার দাবারের পর বিবাহের অনুষ্ঠানের অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা চলে প্রায় গভীর রাত পর্যন্ত।

কনের পিতা মোহাম্মদ নাসির এবং বরের পিতা সালমান কবির সোহাগ তাদের ছেলে-মেয়ের বিবাহে উপস্থিত হয়ে অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত করে তোলায় উপস্থিত অতিথি ও অস্ট্রিয়া বাংলাদেশ কমিউনিটির বিভিন্ন আঞ্চলিক, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

কনের পিতা মোহাম্মদ নাসির আমন্ত্রিত অতিথিদের মুখরোচক ও সুস্বাদু বাংলাদেশী খাবার পরিবেশনের জন্য ঢাকা রেস্টুরেন্টের স্বত্বাধিকারী শ্যামল হোসেন ও তার সহযোগী মুরাদের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

কবির আহমেদ/ইবিটাইমস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Time limit exceeded. Please complete the captcha once again.

Translate »